অর্থনীতি
এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলনের খরচ বাড়লো

এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চার্জ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন এ চার্জ ১০ থেকে ১৫ টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। এখন থেকে ভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। তবে এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে ইস্যুয়িং ব্যাংক আদায় করতে পারবে। ৫ টাকা অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে পরিশোধ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ’ থেকে বৃহস্পতিবার জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন করে নির্ধারিত ফি ও চার্জ প্রযোজ্য হবে।
এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনে চার্জ বাড়ানোর পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), বাংলা কিউআর, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার (আইবিএফটি) এবং সরকারি পরিসেবার চার্জ ও ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ নির্দেশনার ফলে কিছু ক্ষেত্রে চার্জ আগের মত থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা বাড়বে বলে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একটি ব্যাংকের গ্রাহক ভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনে ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ২০ টাকা চার্জ পরিশোধ করতে হবে। ব্যালেন্স স্থিতি অনুসন্ধান ও ক্ষুদে বিবরণী প্রদানের চার্জ হবে সর্বোচ্চ ৫ টাকা। আর এটিএম বুথের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তরে সর্বোচ্চ ১০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে। এই চার্জ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান অ্যাকোয়ারিং ব্যাংককে প্রদান করবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। অন্যান্য লেনদেনের সার্ভিস চার্জ বাবদ উল্লেখিত সম্পূর্ণ অর্থ কার্ড ইস্যূয়িং ব্যাংক নিজেদের গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে ভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১৫ টাকা চার্জ পরিশোধ করতে হয়। তবে আইএফআইসিসহ কিছু ব্যাংকে নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এ চার্জ পুরো ফ্রি করে দিয়েছে। অর্থাৎ ওই ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা ভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করলেও কোনো চার্জ পরিশোধ করতে হবে না।
পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), বাংলা কিউআর, ই-কমার্সের ফি বা চার্জ নির্ধারণ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভিন্ন বিশেষায়িত খাতে (যেমন-চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি) লেনদেনে ব্যবহৃত মার্চেন্ট ক্যাটাগরি কোডের (এমসিসি) ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত বিশেষ ফি বা চার্জ প্রযোজ্য হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে এনপিএসবির আওতায় পিওএস, বাংলা কিউআর, ই-কমার্স পরিশোধ ব্যবস্থা ব্যবহার করে মার্চেন্ট পেমেন্টে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মার্চেন্ট থেকে আদায়যোগ্য ফি প্রজ্ঞাপনে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তবে এসব লেনদেনের কোনো ফি বা সার্ভিস চার্জ গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে পিওএস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা অ্যাকোয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ইস্যুয়িং ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে উক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ হবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। এ চার্জ অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। এছাড়া প্রজ্ঞাপনে সরকারি পরিসেবার বিভিন্ন ফি ও চার্জও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।v

অর্থনীতি
আরেক দফা বাড়লো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এতে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে আজ থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে গেলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪৯৬ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৪৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা।
এর আগে গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে আজ সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৪০৯ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৭৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি সোনার দাম ৩ হাজার ২১৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা। আজ মঙ্গলবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা

চলতি অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১২৭ কোটি (১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকার প্রবাসী আয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এ বছরের অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০০ কোটি ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৮৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-১৩ অক্টোবর ২০২৪) রেমিট্যান্স এসেছিল ৭৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
একক কোনো মাস হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের (২০২৩-২৪) অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল—জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
অর্থনীতি
১১৫ টাকা কেজি দরে ১৫ হাজার টন চিনি কিনছে সরকার

দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১১৫ টাকা ৫৮ পয়সা দরে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) থেকে এ চিনি কিনতে ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১৫ হাজার মেট্রিক টন আখের সাদা চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) থেকে এ চিনি সংগ্রহে ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৫ টাকা ৫৮ পয়সা।
এদিকে বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (চতুর্থ সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের ডব্লিউ-২৩ প্যাকেজের আওতায় নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ রাইস সাইলোর নির্মাণকাজের প্রথম ও চূড়ান্ত ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৮ টাকা। ভেরিয়েশনে প্রকল্পটির ৪ কোটি ২৩ লাখ ৬৮০ টাকা কমানোর ফলে সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৯৩০ টাকা। যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ করছে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য জিএসআই গ্রুপ এলএলসি।
অর্থনীতি
৭২২ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সৌদি আরব ও কাফকো থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৭২২ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা। এর মধ্যে ৭০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি, ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ভার্চ্যুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৯বম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৮ম (ঐচ্ছিক-১ম) লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মরক্কো থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ২৪০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৬৮.৬৭ মার্কিন ডলার।
এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৪র্থ লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪২২.৬৬ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
কাফকো থেকে এই সার কিনতে ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯০.৭৫ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে, গতকাল (সোমবার) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম ওয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা করে। ৩ টাকা বাড়নো হয়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত আগস্টে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ব্যবসায়ীরা ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের মাত্র এক টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গনমাধ্যমকে জানাননি।
নতুন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ঠিক পরের দিন উপদেষ্টা জানালেন, তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। অর্থাৎ, বাজারে তেলের দাম বাড়নোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়নি।
কাফি