অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেকর্ড ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ২৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৬২৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো ১ হাজার ৯০৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকার।
অপরদিকে একক মাস হিসেবে নভেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। এ মাসে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৮৫৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার। এর আগের মাস অর্থাৎ অক্টোবর রমাসে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো ৮০৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিতরণ করা মোট ঋণের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গ্রামে বিতরণ করা হয়। আর শহরে বিতরণ করা হয় ১ হাজার ৩১০ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই ব্যাংকিং মাধ্যমে সিংহভাগ ঋণ গ্রামে বিতরণ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ।
আলোচ্য এ সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের পাশাপাশি আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে ২৫ হাজার ২২৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
যেসব অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে ও ব্যাংকিং সুবিধা কম এমন যায়গার মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। শুরুর দিকে পল্লী অঞ্চল থেকে সংগৃহীত আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণের হার খুবই কম ছিল। তবে ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। পাশাপাশি প্রান্তিক অঞ্চলে অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ ব্যাংকিং মাধ্যম। এতে আর্থিক সুবিধা যেমন মানুষের নাগালের মধ্যে চলে গেছে, তেমনি কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে। কম টাকায় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঝামেলামুক্তভাবে হিসাব খোলার কারণে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ হাজার ৯১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা রেমিট্যান্স বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পল্লী অঞ্চলে ৯ হাজার ৯৩৫ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং শহরে ৯৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়। যেকোন এলাকায় ব্যাংকের শাখা না থাকলেও এখন সারা দেশের মানুষ ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে।
এরপর দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ২০৫টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৮১টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৫০৬টি।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

অর্থনীতি
বাংলাদেশে মানসম্পন্ন গাড়ি উৎপাদনের জন্য চীনা কোম্পানিকে আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশে মানসম্মত যানবাহন উৎপাদন করার জন্য চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিম্নমানের বাণিজ্যিক যানবাহনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা এখন প্রায় মহামারীর রূপ নিয়েছে এবং এতে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যদি চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে এসে উচ্চমানের যানবাহন উৎপাদন করে, তবে সড়ক খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অর্ধ-ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে দ্রুত এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
শেখ বশিরউদ্দীন চীন-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রতি বছর চীন থেকে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, কিন্তু রফতানি হয় তার তুলনায় অনেক কম। তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতকে রফতানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ, যারা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তিনি জানান, গত এক বছরে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ২৫৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান জানান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ বলেন, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
এই দুই দিনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও চীনের ৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে ৩২টি চীনের। প্রদর্শনীতে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করা হয়েছে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন’–এ গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে আমাদের অগ্রসর হওয়ার সুযোগ আছে। তৈরি পোশাকসহ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হলেও সামগ্রিকভাবে এখনো পিছিয়ে।
সড়ক অবকাঠামো ও পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা চেয়েছেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বছরে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় যে পরিমাণ মানুষ মারা সেটি ভয়াবহ। এক্ষেত্রে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী চীনের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকল ট্যারিফ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগামী রোববার ট্যারিফ ইস্যুতে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। তাদের সঙ্গে ট্যারিফের কাঠামোগত রূপ কীভাবে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
চীনা দূতাবাস আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৮টি ও চীনের ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, টেলিকম, স্বাস্থ্য, কৃষি, শক্তি, পরিবহন ও লজিস্টিকসসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
অর্থনীতি
সবজি-চালের বাজার চড়া, বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

রাজধানীর বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলু ছাড়া প্রায় সব সবজির দামই এখন চড়া। এরমধ্যে মুরগি ও মাছের দামও আরও বেড়েছে। চালের বাজারও যথারীতি চড়া। তবে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিত্যপণ্যের বাজারে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু সবজিই নয়, নিত্যপণ্যের বাজারে অনেক পণ্যের দামই এখন চড়া। বিশেষত বাজারে মাছ, শাক, ডাল, আটা, ময়দা ও চা পাতার দাম বেড়েছে শেষ দুই সপ্তাহে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০-২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৭০-১৮০ টাকা।
অন্যদিকে, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশুর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম বাড়েনি।
গত এক সপ্তাহে সামুদ্রিক ও খাল-নদীর বেশ কয়েকটি মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। সুপারশপগুলোতেও চড়া দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, আজকের বাজারে কোরাল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) আকারভেদে ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট চিংড়ির দাম কেজিপ্রতি প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।
এ ছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০-২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০-২৮০ টাকা, কৈ ২০০-২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ২৫০–২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের চাষের রুই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
হাজিপাড়া বউ বাজারে মুরগি বিক্রেতা আবু সাইদ আহমেদ বলেন, সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বেশি। যে কারণে দামও সামান্য বেড়েছে। তবে ২০০ টাকা পযন্ত মুরগির দাম স্বাভাবিক বলা যায়।
এদিকে, বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম এলাকাভেদে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির ডিম (লাল) যেখানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যদিও কিছু খুচরা দোকানে এখনো এক হালি ডিম ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে।
তবে অধিকাংশ বিক্রেতারা বলেছেন, সরবরাহ বাড়ার কারণে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫-১০ টাকা কম।
সবজির দামে অস্থিরতা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা ও বিক্রেতারা। আলু, পেঁপে ছাড়াও ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া কষ্টকর। বাজারে নতুন গোলাকৃতির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা কেজি দরে। বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা, কচুর লতি বাজারভেদে দাম ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত। এক কেজি ধুন্দল কিনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। ঝিঙ্গা, পটল, ঢ্যাঁড়সও ৮০ টাকার আশেপাশে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে আলু দাম। এই নিত্যপণ্যটি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঢাকার বাজারগুলোতে। এ ছাড়া বাজারে কম দামের সবজির মধ্যে রয়েছে শুধু পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শাকের দামও বেশি এখন বাজারে। লাল শাক, কলমি বা হেলেঞ্চা শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, পুঁইশাক কিনতে চাইলে প্রতি আঁটিতে ৪০-৫০ টাকা খরচ পড়ছে ভোক্তার।
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৮০ টাকার আশপাশে।
বাজারে চালের দাম এখনো বাড়তি। অবশ্য গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে এক-দুই টাকা কমেছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চালের দাম এখন ৭৫-৯৫ টাকা। ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা ও মোটা ধরনের স্বর্ণা চাল ৫৮-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থনীতি
রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৫৮ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
তৃতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা বাড়লো স্বর্ণমুদ্রার দাম

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে সোনার দাম। এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর তৃতীয় দফায় স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রতিটি মুদ্রার দাম ২০ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। যা এতোদিন ছিল এক লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ার কারণে এ দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ দাম ১১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে কার্যকর হয়েছে।
এখন থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা ১০ গ্রাম ওজনের স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা (বাক্সসহ) প্রতিটি বিক্রি হবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়।
এ ছাড়া, বর্তমানে বাজারে ১১টি স্মারক রৌপ্যমুদ্রা (ফাইন সিলভার) রয়েছে। এসব রূপার স্মারক মুদ্রার ওজন ২০ গ্রাম থেকে ৩১ দশমিক ৪৭ গ্রাম। এসব স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম ৮ হাজার ৫০০ টাকা। যা এতদিন ছিল ৭ হাজার টাকা।