রাজধানী
ঢাকায় গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী ৫২ শতাংশ সড়ক
![ঢাকায় গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী ৫২ শতাংশ সড়ক বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/01/সড়ক.jpg)
রাজধানী ঢাকায় মোট আয়তনের তুলনায় সড়কের হার তিনগুণ কম। বর্তমানে ঢাকা শহরে আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন সেখানে সড়ক আছে মাত্র ৮ শতাংশ। এরমধ্যে ৫২ শতাংশ সড়কই আবার গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী।এরমধ্যে ৫২ শতাংশ সড়কই আবার গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী। তাতে অপরিকল্পিত এই নগরায়নের কারণে বেড়েই চলেছে ঢাকার যানজট।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কসহ পরিবেশ সংগঠনগুলোর যৌথ আয়োজনে “স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। ১৩ জানুয়ারি (শনিবার) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনগুলো।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক রেহমান সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর গবেষণা কেন্দ্রের (সিইউএস) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক রেহমান সোবহান তার বক্তব্যে বলেন, অতি নগরায়নের ফলে যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নগরায়নের ঝুঁকি বাড়ছে। সমন্ময়হীনতার কারণে দ্রুত নগরায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। আবাসন কোম্পানিগুলোর চটকদার বিজ্ঞপ্তির ফলে দেশের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও বাপার সহ-সভাপতি ড. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে নগরায়ন সংকটের সম্মুখীন। শহরভিত্তিক উন্নয়ন ধারায় সারা দেশব্যাপী মানুষের শহর অভিমুখীতার ফলে দেশের শহরাঞ্চলগুলোর (বিশেষত রাজধানী ঢাকা) জনসংখ্যা অতিদ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ধিত এই জনসংখ্যার ভারবহনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অপ্রতুল সড়ক ব্যবস্থার কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে পরিবহন খাত।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শহর বা নগরাঞ্চলে বসবাস করছে এবং নগরবাসীর প্রায় ৩২ শতাংশই ঢাকায় বাস করে। রাজধানী ঢাকার ক্ষেত্রে সমগ্র রাজউক এলাকায় বর্তমান জনসংখ্যা ২৬ মিলিয়ন এবং জনশুমারি ২০২২ অনুযায়ী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিদ্যমান জনসংখ্যা প্রায় ১০.২৮ মিলিয়ন।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকায় যেমন অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে গ্রামগুলোও একইভাবে অপরিকল্পিত নগরায়ন এর দিকে যাচ্ছে। তাই এখনই সময় গ্রামগুলোকে পরিবেশ বান্ধব নগরায়নের জন্য পরিকল্পনা করা। স্থায়ীত্বশীল নগরায়নের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নগরের সুবিধাগুলো শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক না করে ভৌগোলিক সমতা বজায় রেখে প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপনা ও আলোচনায় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বুয়েটের অধ্যাপক ড. আফসানা হক, বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরও অনেকে। সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১৬টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
রাজধানী
বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অবস্থান কত?
![বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অবস্থান কত? বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/air-pollution-4.jpg)
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা। তবে শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানী ঢাকার বাতাসে দূষণ মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ৫৫ নিয়ে ৫৮তম স্থানে রয়েছে ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচিত। আগের দিন শুক্রবার (২৬ জুলাই) একিউআই স্কোর ৪৪ নিয়ে ৭৩তম অবস্থানে ছিল শহরটি, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো হিসেবে বিবেচিত।
এদিকে আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর, ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর মেদান, ১৪৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চিলির শহর সান্তিয়াগো এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের দিল্লি শহরের স্কোর ১৩৭।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা
![ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/curfew.jpg)
রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার (২৬ ও ২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান বলেন, আন্দোলনে নাশকতার সঙ্গে জড়িত সবাই গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চিরুনি অভিযান চলবে। শুক্র ও শনিবার (২৬ ও ২৭ জুলাই) ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী রোববার কারফিউ বহাল থাকবে কি না তা পরে জানানো হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলন ঘিরে অমানবিক সহিংসতা চালানো হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের পিএসকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এসব কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। যারা এসব করেছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
আগুনে পুড়ল ধানমন্ডির ফরেস্ট লাউঞ্জ
![আগুনে পুড়ল ধানমন্ডির ফরেস্ট লাউঞ্জ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/forest.jpg)
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ফরেস্ট লাউঞ্জ নামে একটি রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে লাগা আগুন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডি ১০/এ এলাকার ফরেস্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে মোহাম্মদপুর ও হাজারিবাগ ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি এ ফায়ার কর্মকর্তা। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ
![ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/bus.jpg)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা ও শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের শাস্তি, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে ঢাকার সঙ্গে সব জেলার বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে শুরু করে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ছাড়েনি দূরপাল্লার কোনো বাস। এছাড়া অন্যান্য জেলা থেকেও কোনো বাস রাজধানীতে আসেনি।
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ এদিন কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারের স্টাফরা।
তবে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের প্রায় সব টিকিট কাউন্টার ফাঁকা দেখা যায়। সেখানে বেশিরভাগ বাস কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে দূরপাল্লার সব বাসগুলো।
সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার থেকে মীর শওকত হোসেন জানান, আজ কোনো যাত্রীই টিকিট নিতে আসেননি।
তবে ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কিছু যাত্রী। অনেকে জানান, কাউন্টার থেকে তারা জানতে পারেন কোনো বাস ছাড়া হবে না। কারণ হিসেবে কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রী কম থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
কমপ্লিট শাটডাউনে স্বাভাবিক সূচিতে চলছে মেট্রোরেল
![কমপ্লিট শাটডাউনে স্বাভাবিক সূচিতে চলছে মেট্রোরেল বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/mettro-rail-metro.jpg)
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রাজধানীতে গণপরিবহন কম চলাচল করলেও স্বাভাবিক সূচিতে চলছে মেট্রোরেল।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকাল ১০টায় সায়দাবাদ থেকে মানিকনগর হয়ে মালিবাগ রোডে অল্পকিছু বাস চোখে পড়েছে। মতিঝিল শাপলা চত্বরেও বাস কম থাকায় মেট্রোরেলের দিকেই ছুটতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতিঝিল থেকে উত্তরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে ছেড়ে আসা মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম দেখা যায়।
আলিফ হাসান নামে এক ব্যাংকার জানান, তিনি থাকেন উত্তরায়। দিয়াবাড়ী থেকে কর্মস্থল ফার্মগেটে এসেছেন মেট্রোরেলে। আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম ছিল।
গতকাল বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।
কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে বলা হয় শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালকের কর্মসূচি সফল করুন।
এমআই