প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিল কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশন। মালয়েশিয়ায় অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশন পর্ব শেষ হলেও, এর বৈধকরণ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এতে কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সিলর মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্ট অফিসের পাশাপাশি আগামী ২০ থেকে ২১ জানুয়ারি এবং ২৭ থেকে ২৮ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের সিটি ব্যাংক লি. (সিবিএল) মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে হাতে হাতে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
আর ২০ থেকে ২১ জানুয়ারি হাতে হাতে পাসপোর্ট সেবা পেতে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে সবাইকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং ২৭ থেকে ২৮ জানুয়ারি হাতে হাতে পাসপোর্ট সেবা পেতে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে সবাইকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। তা ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটি চালু থাকবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
১৭ বাংলাদেশি বন্দিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সময়ে আটক ১৭ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, সাজা শেষ করে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) জোহর অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টার (রবিবার, ২১ এপ্রিল) থেকে ১৭ বাংলাদেশী আটককে সরাসরি তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ১৮ই এপ্রিল ভারত, ফিলিপিন ও পাকিস্তানের আরও ২৫ জনকে একইভাবে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে তারা যেন ফের মালয়েশিয়া প্রবেশে করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়। মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য তাদের সাজা শেষ হওয়ার পর আকাশপথে নিজ খরচে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও রমজানে পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ার জোহর বারু প্রদেশের ইমিগ্রেশন বিভাগ ১৫টি দোকানে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ২৬ জন নথিবিহীন বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে।
ইমিগ্রেশন পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির বলেন, সেখানে অনেক অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। স্থানীয়দের থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযানে ১১৫ জন বিদেশির মধ্যে বাংলাদেশের ২৩ জন, ভারতের দুজন এবং ইন্দোনেশিয়ার একজনকে আটক করা হয়েছে।
২১ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজনদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর অধীনে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ। তবে এর মাঝেও থেমে নেই ধরপাকড় অভিযান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
চীনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন
লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীনে ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) গুয়াংঝু শহরের সানইউয়ালি পার্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি গুয়াংঝু (বিসিজি) এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি কয়েকটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।
গোলাম কাদের সিদ্দীকি এবং আবু সায়েদ সায়েম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ড. মিরাজ আহম্মেদ, হুমায়ন কবির দুলাল, কল্লোল কান্তি দেবনাথ, মামুন শিকদার, সাখাওয়াত হোসেন, আতিকুল্লাহ, মাহাদী অমিতসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
হাজার মাইল দূরে থেকেও এই আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোনো কিছুরই কমতি ছিলো না। আড়ম্বর আয়োজনে ছিল- নববর্ষের র্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বড়দের দেশীয় ঘরোয়া খেলা, কবিতা আবৃত্তি, বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশন, আলোচনা সভা এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নানা পদের খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও লোক সংগীতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মিশরে প্রবাসীদের ঈদুল ফিতর উদযাপন
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) উৎসবমুখর পরিবেশে পিরামিড, নীলনদ আর সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর দেশ মিশরে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ধ্বনি আসতে থাকে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা যায় সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা হাতে জায়নামাজ নিয়ে ছুটে চলেছেন মসজিদ ও মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় রাজধানী কায়রোসহ দেশের সকল মসজিদ ও খোলা ময়দানে একযোগে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এতে মিশরের নাগরিক ছাড়াও সামিল হয়েছেন দেশটিতে অবস্থানরত মুসলমান প্রবাসীরা।
মিশরে বাংলাদেশের মতো ঈদের নামাজের জন্য আলাদা কোনো ঈদগাহ মাঠ নেই। ছোট-বড় সব মসজিদের ভেতর, স্কুল, বিভিন্ন ক্লাব সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির রাজধানীর ইসলামিক কায়রো এলাকায় অবস্থিত হযরত হোসাইন (রা.) হযরত অমর ইবনুল আস (রা.), ইমাম শাফী (রা.), আল-আজহার, সাঈদা জয়নব (রা.) সাইদা নাফিজা (রা.) মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় মসজিদে দেশের দূরদূরান্ত থেকে এসে বাংলাদেশি প্রবাসীরাও মিশরীয় মুসল্লিদের সাথে যোগ দেন ঈদের জামাতে। তাদের নিজ নিজ এলাকায় মসজিদ ও মাঠে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ প্রবাসী বাংলাদেশি, তাদের পরিবারবর্গ ও মিশরীয় নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বানীতে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত সকল ধর্মের সকলের প্রতি সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গাজার ভাই ও বোনদের জন্য বিশ্বের সকলের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমর্থন আশা প্রকাশ করেন।
পিরামিডের দেশটিতে এবার ঈদে ৪ দিনের ছুটির সঙ্গে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৬ দিনের ছুটি। এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনেক বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
ইতালিতে স্পন্সর ভিসার অনলাইন আবেদন শুরু
ইতালিতে এ বছরের স্পন্সর ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আওতায় আগামী ১৮, ২১ এবং ২৫ মার্চ হবে পূর্বনির্ধারিত ক্লিক ডে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে আবেদন কার্যক্রম শুরু হলেও ঢাকার ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভিসা ইস্যুতে নানা জটিলতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এদিকে, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে চরম বিপাকে রয়েছেন ইতালির কৃষি ব্যবসায়ীরা। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তাদের।
বিভিন্ন দেশের ভিসা জটিলতা দূর করতে ইতালি সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।
২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শ্রমিক সংকট দূর করতে ৪ লাখ ৫২ হাজার প্রবাসী নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। এর মধ্যে চলতি বছরই এক লাখ ৫১ হাজার শ্রমিক দেশটিতে পাড়ি জমানোর সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।