সারাদেশ
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের প্রার্থিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী, আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
অলিউল্লাহ নোমান তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের সিদ্ধান্তে আমি হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলাম। আমিরে জামায়াতের ফোনে আমি এ আসনে নির্বাচন করার জন্য রাজি হয়েছিলাম।
দাঁড়িপাল্লা মার্কায় আমার এ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ছিল ধূমকেতুর মতো। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম কাকতালীয়ভাবে। সংগঠনের সর্বস্তরের ভাই-বোন-শুভাকাঙ্ক্ষী-ছাত্র-যুবকরা নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। সত্যিই আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমি আজীবন স্মরণ রাখব। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করা যায় না।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে ১০ দলীয় জোট প্রার্থী খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের নির্বাচন করবেন।
সারাদেশ
লুৎফুজ্জামান বাবরের আসনে স্ত্রীও প্রার্থী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
সোমবার (২৯ তারিখ) বিকেল ৪টার দিকে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন লুৎফুজ্জামান বাবর। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
একই সংসদীয় আসনে স্বামী-স্ত্রীর পৃথক মনোনয়ন দাখিল নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনী রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মনোনয়ন দাখিলকালে বিএনপি ও সমর্থক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষ থেকে এ সময় কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সারাদেশ
দেরি হওয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র কিনলেও জমা দিতে পারেননি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। নির্ধারিত সময়ের পরে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা জমা নেননি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান।
এরআগে দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন তোলেন হিরো আলম। তিনি আমজনতা দল থেকে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র কেনেন।
হিরো আলম বলেন, ‘আমার ফরম পূরণ করতে ৩০ মিনিট সময় বেশি লেগেছে। আমি সাড়ে ৫টায় আসার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।’
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, তাকে (হিরো আলম) আগেই বলেছিলাম ৫টার মধ্যে জমা দিতে। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসতে পারেনি, নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়নি।
সারাদেশ
শরীয়তপুরে দারুস সালাম হাবিবুর রহমান নুরানী ও হাফিজায়া মাদ্রাসার উদ্বোধন
শরীয়তপুর জেলা সখিপুর থানা উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ছুরির চর, কাননগু সাহেবের কান্দি, ২ নং ওয়ার্ডে হোসেন সরকারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দারুস সালাম হাবিবুর রহমান নুরানী ও হাফিজায়া মাদ্রাসার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় মাদ্রাসার প্রায় একশত পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী উপস্থিতে এ মাদ্রাসার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবু সালেহ পীর সাহেব তারাবুনিয়া দরবার শরীফ। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা মো. হোসেন সরকার এবং পরিচালনায় রয়েছেন হাফেজ মো. হুমায়ুন কবির (টিটু)। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি ফজলুল হক সাহেব, হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মো. শাহিন, সুমন প্রাধানিয়া, মো. ইদ্রিস আলী প্রাধানিয়া, নুর মোহাম্মদ সরকারসহ স্থানীয় আলেম ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে দোয়া ও বই বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও স্থানীয় আলেম, শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. হোসেন সরকার বলেন, এই এলাকার আশপাশে আগে কোনো দিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার কথা চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই মাদ্রাসার মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। মাদ্রাসা উদ্বোধনের মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন ও সুন্দর শিক্ষামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এমকে
সারাদেশ
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ থেকে ২৫টির বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিটের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্যাম্পবাসীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা ও আলীখালী এলাকার ২৪ ও ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী অংশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার।
টেকনাফের লেদা ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্যাম্পের বাসিন্দা ফাতেমার একটি ঘরে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের ঝুপড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, আলীখালী ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, প্রশাসন ও ক্যাম্পবাসীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
সারাদেশ
শরীয়তপুরে দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির জানাজা অনুষ্ঠিত
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাঝি পরিবারের নাঈম ইসলাম শামীম মাঝীর বড় চাচা কালা মিয়া মাঝি এবং আ. রহমান গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) মরহুম নুরুল হক মাঝির বাজার খানকাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কালা মিয়া মাঝি স্ট্রোকজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি কালেমা পড়তে পড়তে ইন্তেকাল করেন এবং জীবদ্দশায় সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অপরদিকে, আ. রহমান গাজী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন।
জানাজা নামাজে ইমামতি করেন তারাবুনিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবু সালেহ। জানাজা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চান্দ্রা দরবার শরীফের নকশেবন্দী মুজাদ্দেদী সাইফী সাহেব (মা.জি.আ.) ড. এস. এম. হুজ্জাতুল্লাহ।
দোয়ায় মরহুমদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করার জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক এবং সকল কবরবাসীর জন্য দোয়া করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আ. মান্নান মাঝি, দেলোয়ার হোসেন মাঝি, মামুন সরকার, আল আমিন সুমন মাঝি, ইমরান সরকার, জহিরুল ইসলাম রোকন মাঝিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মুসল্লিবৃন্দ। এলাকাবাসী মরহুমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
অর্থসংবাদ/তাহের/এসএম




