রাজনীতি
জামায়াতে যোগ দিলেন শিবিরের সদ্যোবিদায়ি সভাপতি জাহিদুল ইসলাম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন ছাত্রশিবিরের সদ্যোবিদায়ি কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জামায়াতের বসুন্ধরার কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে জামায়াতে যুক্ত হন তিনি।
জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
জাহিদুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।
রাজনীতি
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোন সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা মন্তব্য করেছিলেন জামায়াতের জুলাইয়ের স্পিরিট, বাংলাদেশের নিয়ে পরিকল্পনা নিয়ে একমত হলে জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে আসতে পারে যে কোনো দল।
সামান্তা শারমিন আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির এত দিনের অবস্থান অনুযায়ী তার মূলনীতি, রাষ্ট্রকল্প জামায়েত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন তথা সেকেন্ড রিপাবলিককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দল এনসিপি। ফলে এই তিনটি বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান যেকোনো রাজনৈতিক মিত্রতার পূর্বশর্ত।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, আমার বর্তমান অবস্থান পার্টির গত দেড় বছরের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিম্নকক্ষে পি আর আওয়াজ তুলে সংস্কারকে ব্যাহত করায় লিপ্ত হয়েছিল জামায়াত। ফলত এনসিপির আহ্বায়ক বলেছিলেন ‘যারা সংস্কারের পক্ষে নয় তাদের সাথে জোটও সম্ভব নয়’। তাই জুলাই পদযাত্রার পর থেকে ‘৩০০’ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয় আহ্বায়কসহ একাধিক বরাতে এবং স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে এনসিপি- এই মর্মে সারা দেশ থেকে প্রার্থীদের আহ্বান করা হয়।
সবশেষ তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট করার সমস্যাসমূহ তুলে ধরা মানেই বিএনপির পক্ষে অবস্থান বোঝায় না। বরং বিভিন্ন বিষয়ে এতদিন ধরে প্রকাশিত ও নানান মহলে প্রশংসিত এনসিপির অবস্থান আমি সঠিক মনে করি ও নিজেকে এই আদর্শের সৈনিক মনে করি। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনটির সঙ্গে জোট এনসিপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পলিসি থেকে সরে গিয়ে তৈরি হচ্ছে।
এমকে
রাজনীতি
খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন: ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত জটিল। তিনি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে, রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। মায়ের শয্যাপাশে তারা দীর্ঘ সময় ছিলেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই উনার (খালেদা জিয়া) অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না।… উনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা অত্যন্ত জটিল, এবং উনি একটা সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন। চিকিৎসা এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তিনি যদি এই সংকটটা উতরিয়ে যেতে পারেন, তাহলে হয়তো আমরা ভালো কিছু পাব।
স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতির কারণেই খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউ এবং সেখানে থেকে পরবর্তীতে আইসিইউতে নেওয়া হয় জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, সত্যিকার অর্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি হয়েছেন; ভর্তি হওয়ার পরবর্তীতে উনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান তাতে যুক্ত রয়েছেন।
খালেদা জিয়া ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। তারেক রহমান এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। সেই দোয়া সব সময় দেশের মানুষ করছেন। সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসক ও নার্সরা সব সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, সেজন্যও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এমকে
রাজনীতি
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে জাতীয় পার্টি : শামীম হায়দার
ভোটের মাঠে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশনের উন্নতি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে জাতীয় পার্টি।’
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪৩ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন দলটির (জি এম কাদের) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময়ই এ দেশের জনগণের রায়ের ওপর শ্রদ্ধাশীল।
জনগণের যেকোনো রায় আমরা অতীতেও মেনে নিয়েছি। জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করার পূর্বশর্ত হলো ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন (আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি) স্থিতিশীল রেখে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এটা করার দায়িত্ব ইন্টেরিম সরকারের।
কিন্তু আমরা আশঙ্কাজনকভাবে দেখতে পাচ্ছি যে সরকার যথাযথভাবে এই কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা সবার অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। অনেক আসনেই একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে আমরা প্রার্থী মনোনায়নে হিমশিম খাচ্ছিলাম। যাচাই-বাছাই শেষে আজ আমরা আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছি।
আমরা এখনো আশা করি যে, ইন্টেরিম সরকার জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে সমান সুযোগ দেবেন।’
সংবাদ সন্মেলনে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, এস এম আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, এমরান হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, ইকবাল হোসেন তাপস, শেরীফা কাদের, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আলমগীর সিকদার লোটন, মইনুর রাব্বি চৌধুরী, নুরুন নাহার বেগম, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, মো. আবু তাহের প্রমুখ।
রাজনীতি
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাসনিম জারা
এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
ওই পোস্টে জারা বলেন, ‘প্রিয় খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসী, আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। খিলগাঁওয়েই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা।
আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়বো। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তাই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-৯ থেকে অংশগ্রহণ করবো।’
তিনি বলেন, ‘একটা দলের প্রার্থী হলে সেই দলের স্থানীয় অফিস থাকে, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী থাকে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বা অন্যান্য বিষয়ে আপত্তি ও শঙ্কা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে। তবে আমি যেহেতু কোনো দলের সাথে থাকছি না, তাই আমার সে সব কিছুই থাকবে না।
আমার একমাত্র ভরসা আপনারা। আপনাদের মেয়ে হিসেবে আমার সততা, নিষ্ঠা এবং নতুন রাজনীতি করার অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রেক্ষিতে আপনারা যদি স্নেহ ও সমর্থন দেন, তবেই আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাবো।
তিনি আরো বলেন, ‘দুইটি বিশেষ বিষয় : এক. নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমাদের ঢাকা-৯ আসনের ৪৬৯৩ জন ভোটারের সমর্থনযুক্ত স্বাক্ষর একটি নির্দিষ্ট ফর্মে প্রয়োজন। আগামীকাল এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু করবো। মাত্র এক দিনে এত মানুষের সাক্ষর গোছানো প্রায় অসম্ভব একটি কাজ।
আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য ছাড়া এটা করতে পারবো না। এই কাজে যারা আগামীকাল বসার জায়গা দিয়ে বা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে সাহায্য করতে চান, তারা অনুগ্রহ করে এই গ্রুপে যুক্ত হন। আপনাদেরকে নির্দিষ্ট স্থান ও লোকেশন জানিয়ে দেওয়া হবে: https://www.facebook.com/share/g/1DCkLvMvRX/ দুই. কিছুদিন আগে নির্বাচনী ফান্ডরেইজিংয়ের সময় আপনারা অনেকে ডোনেট করেছেন। আমার এই পরিবর্তিত সিদ্ধান্তের কারণে (স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা) যারা ডোনেট করা অর্থ ফেরত পেতে চান, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। যারা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন তারা অর্থ ফেরত পেতে নিচে দেওয়া এই ফর্মটি পূরণ করুন : https://forms.gle/NKTkkNVZvUvyrsGYA
আপনাদের ট্রাঞ্জাকশন আইডি ও ডিটেইলস ভেরিফাই করার পরে অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। আর যারা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন, তাদেরকে শীঘ্রই জানাবো কী প্রক্রিয়ায় আপনাদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে।’
রাজনীতি
সারা দেশে বেশ কিছু আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের কয়েকটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সমঝোতার মাধ্যমে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ঢাকা-১২ আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও আকবর শাহ-পাহাড়তলী আংশিক) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আসলাম চৌধুরী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে শনিবার সকালে সীতাকুণ্ডের নিজ বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি বলেন, দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, তা আপনাদের ত্যাগের ফসল।
এদিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বর্তমানে তাকে চট্টগ্রাম-১১ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা পর্বে এ আসনটি ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। অপরদিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে এখন দলটির প্রার্থী করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাইদ আল নোমানকে। তিনি বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে।
যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপি প্রথমে মনোনয়ন দেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে। পরিবর্তন করে সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর উপজেলা ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে প্রথমে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব। নতুন করে পেয়েছেন দলের অভয়নগর উপজেলা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পান দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন। পরে জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। কিন্তু তাকে পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেয় দলটি।
পিরোজপুর-১ আসন (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানী) থেকে ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।




