বিনোদন
গানম্যান চান হিরো আলম
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এরপর থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করতে যাচ্ছেন শিগগিরই।
তিনি নিরাপত্তার জন্য একজন গানম্যান চেয়ে আবেদন করবেন।
হিরো আলম জানান, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত এবং বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। এতে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সে কারণে প্রধান উপদেষ্টার নিকট একজন নিরাপত্তাকর্মী (গানম্যান) চেয়ে অনুরোধ করে আবেদন করবেন তিনি।
পাশাপাশি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হিরো আলম।
গেল মাসে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন হিরো আলম। তবে কোন দল থেকে তিনি প্রার্থী হবেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। এদিকে ৪টি দল থেকে প্রার্থী হওয়ারও প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবে আমি কয়েকবার নির্বাচন করেছি। এবার কিছু রাজনৈতিক দল আমাকে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। তবে কোন দল থেকে নির্বাচন করব এটা এখনই বলতে চাই না। সময় হলে জানাবো।
কোন কোন দল যোগাযোগ করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যে চারটি দলের নাম উল্লেখ করেন সেগুলো হলো- গণঅধিকার পরিষদ, আমজনতার দল, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি।
হিরো আলম বলেন, দল যেটিই হোক, আমার মূল লক্ষ্য জনগণের জন্য কাজ করা। আমাকে যে দলই নিক, আমি যেন মানুষের পাশে থাকতে পারি, সেটাই মূখ্য। তিনি জানান, ঢাকা ও বগুড়া থেকে দুটি আসনে লড়বেন বলে প্রস্তুত হচ্ছেন হিরো আলম।
রাজনৈতিক অঙ্গনে হিরো আলমের সক্রিয়তা, সাহসী অবস্থান ও নিয়মিত প্রচারণা তাকে বারবার আলোচনায় এনে দিয়েছে। এবার দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালে তার রাজনৈতিক যাত্রায় এটি হবে নতুন অধ্যায়।
বিনোদন
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নোরা ফাতেহি
মুম্বাইয়ের ব্যস্ত সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলিউড সেনসেশন নোরা ফাতেহি। মার্কিন ডিজে ডেভিড গেটার কনসার্টে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এক মদ্যপ গাড়িচালকের ধাক্কায় আহত হন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দুর্ঘটনায় নোরার মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘কনকাশন’ বলা হয়।
সানবার্ন ফেস্টিভ্যালে ডেভিড গেটার সঙ্গে পারফর্ম করার কথা রয়েছে নোরার। সেই লক্ষ্যেই অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে হঠাৎ একটি দ্রুতগামী গাড়ি নোরার গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পুলিশি তদন্তে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে যে, ঘাতক গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপরই নোরাকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। সৌভাগ্যবশত নোরার শরীরে কোনো অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা বড় কোনো আঘাত পাওয়া যায়নি। তবে মস্তিষ্কে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি বা চোট হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।
অসুস্থ শরীর ও চিকিৎসকদের বারণ সত্ত্বেও ভক্তদের নিরাশ না করতে সানবার্ন ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন তিনি। এই কনসার্টে ডেভিড গেটা ও আমেরিকান গায়িকা সিয়ারার সঙ্গে তার নতুন আন্তর্জাতিক সিঙ্গেলের এক ঝলক ভক্তদের উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি নোরার ক্যারিয়ারে বইছে সাফল্যের সুবাতাস। প্রথম বলিউড অভিনেত্রী হিসেবে বিখ্যাত ‘দ্য জিমি ফ্যালন শো’-তে অংশ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছেন তিনি। জ্যামাইকান গায়িকা শেনসিয়ার সঙ্গে তার পারফরম্যান্স দারুণ প্রশংসিত হয়।
মিউজিকের পাশাপাশি বড় পর্দাতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন নোরা। দক্ষিণী সিনেমা ‘কাঞ্চনা ৪’ এবং ‘কেডি: দ্য ডেভিল’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এছাড়া চলতি বছর ‘বি হ্যাপি’, ‘উফ ইয়ে সিয়াপা’ এবং ইশান খাট্টারের বিপরীতে ওয়েব সিরিজ ‘দ্য রয়্যালস’-এ তার উপস্থিতি নিয়ে ভক্তদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
এমকে
বিনোদন
ঢাকায় এসেও কনসার্ট করতে পারল না পাকিস্তানি ব্যান্ড
ঢাকায় এসেও কনসার্ট করতে পারল না পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাভিশ’। আয়োজন ঘিরে সব প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে ভেন্যুর অনুমতি না পাওয়ায় অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ওয়েভ কমিউনিকেশনস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পুরো আয়োজন বাতিল করা হয়নি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ শিরোনামের এই কনসার্টটি হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলে। কাভিশ ছাড়াও এতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ব্যান্ড শিরোনামহীন, মেঘদলসহ আরও কয়েকজন শিল্পীর। ভেন্যু হিসেবে ঠিক করা হয়েছিল ঢাকার মাদানী অ্যাভিনিউয়ের কোর্টসাইড।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার কাভিশ ঢাকায় পৌঁছে। ব্যান্ড সদস্যদের বিমানবন্দরের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে আয়োজকরা সামাজিক মাধ্যমে জানায় যে ব্যান্ডটি দেশে এসে গেছে।
পরে কনসার্ট স্থগিত হওয়ার বিষয়ে ব্যান্ডটির পক্ষ থেকেও একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। সেখানে তারা জানায়, সব ধরনের প্রস্তুতি, ভেন্যু, কাগজপত্র, শিল্পীদের পারিশ্রমিক এবং প্রয়োজনীয় অনুমতির জটিলতা অতিক্রম করা সত্ত্বেও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুষ্ঠানটি আপাতত পুনঃনির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা অনুষ্ঠানটি করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
আয়োজকদের ভাষ্যে, অনুষ্ঠানটি কেবল স্থগিত হয়েছে, বাতিল করা হয়নি। এ কারণে ভক্তদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে কাভিশের পাঠানো একটি ভিডিও বার্তাও, যেখানে দলটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এ বছরের জানুয়ারিতেও ঢাকায় এসে ‘ঢাকা ড্রিমস’ কনসার্টে গান পরিবেশন করেছিল কাভিশ। ‘বাচপান’, ‘তেরে পেয়ার মে’সহ একাধিক জনপ্রিয় গানের জন্য দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে পরিচিত এই ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালে।
বিনোদন
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় লেডি বাইকার ক্যারেন সোফিয়ার মৃত্যু
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দক্ষিণ আমেরিকার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ক্যারেন সোফিয়া কুইরোজ রামিরেজ। কলম্বিয়ার ফ্লোরিডাব্লাঙ্কাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোফিয়া ‘বাইকারগার্ল’ নামে বেশি পরিচিত। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর গুরুতর সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এই ইনফ্লুয়েন্সার। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, রামিরেজ তাঁর মোটরসাইকেল চালানোর সময় লেন পরিবর্তন করতে গিয়ে দুইটি ট্রাকের মাঝখানে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এর পর দুর্ঘটনার শিকার হন।
প্রতিবেদন অনুসারে, রাস্তার একপাশে একটি গাড়ির সাথে সংঘর্ষের পর অন্য পাশ থেকে আসা একটি ট্রাক রামিরেজ চাপা দেয়।
কলম্বিয়ার একজন পরিবহন কর্মকর্তা জাহির আন্দ্রেস কাস্তেলানোস গণমাধ্যমকে জানান, রামিরেজ দুটি গাড়ির মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
এই দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রামিরেজ তার মৃত্যু সম্পর্কে একটি চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, আমি আশা করছি যেন ক্র্যাশ না করি, কারণ আমি আমার চশমা ছাড়াই মাটর সাইকেল চালাচ্ছি।
ডেইলি মেইল স্থানীয় প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আরও জানায়, বাইক চালানোর সময় তিনি যে চশমা ব্যবহার করতেন সেটি তিনি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
পরিবহন কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এই তদন্তের মূল লক্ষ্য হলো কলম্বিয়ান এই ইনফ্লুয়েন্সারের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য অন্য কোনো চালক দায়ী কি না, তা নিশ্চিত করা।
বিনোদন
পেট্রল দিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট বানাতে গিয়ে দগ্ধ আল-আমিন, নেওয়া হলো ঢাকায়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য হাস্যরস, বাস্তব ও অবাস্তব মিলে কনটেন্ট তৈরি করে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিন (৪০)। এ অবস্থায় দুই দিন আগে আগুন নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে গিয়ে সেই আগুনেই মারাত্মক দগ্ধ হয়ে এখন তিনি মৃত্যুশয্যায়। তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইটখলার মোড় সংলগ্ন কৃত্রিম চৌবাচ্চায় মাচা তৈরি করে আগুন পোহাতে পোহাতে গোসল করার কনটেন্ট তৈরি করার সময় তিনি অগ্নিদগ্ধ হন।
ওই সময় তিনি একটি চৌবাচ্চার পানিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন পোহাতে পোহাতে গোসলের দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে তার শরীরে আগুনের অত্যধিক তাপে শরীর দগ্ধ হয়ে যায়। এ সময় নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি পেট্রোল ঢেলে দেওয়ায় আগুন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অধিক উচ্চতায় উঠে যায়।
এই আগুনে দগ্ধ হয়ে তার শরীরের ৩৫-৪০ ভাগ দগ্ধ হয় বলে জানিয়েছেন আল-আমিনের সহকারীরা। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, আগুন বেপরোয়া জ্বলা অবস্থাতেই তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পানিতে ঝাঁপ দেন। তারপরও রক্ষা পাননি।
এ বিষয়ে কনটেন্ট ধারাভাষ্যকর আজাদ হোসেন জনি জানান, বর্তমানে বারডেম হাসপাতালের সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে সারিয়ে তুলতে চেষ্টা করছেন।
আল-আমীনের সহকারী সুবল চন্দ্র অধিকারী তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। আল-আমিনের এ ধরনের দুর্ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে। তার আরোগ্য লাভের জন্য সবাই দোয়ার আবেদন করে পোস্ট দিচ্ছেন।
বিনোদন
অভিযোগের প্রমাণহীনতা তুলে ধরে অফিসিয়াল বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলাকে “প্রমাণহীন” দাবি করে বিস্তারিত অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার ও তার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও গত নয় মাসে তিনি এর কোনো নোটিশ বা তথ্য পাননি।
বিবৃতিতে মেহজাবীন জানান, অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে তার সঠিক ফোন নম্বর, ঠিকানা কিংবা যাচাইকৃত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে তারা “ব্যবসা” করছিলেন—কিন্তু মেহজাবীনের দাবি, ফেসবুক মেসেজ, কল, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো যোগাযোগের একটি স্ক্রিনশট পর্যন্ত দেখাতে পারেননি অভিযোগকারী।
তিনি জানান, অভিযোগকারীর পূর্ণ পরিচয়পত্র বা এনআইডি পর্যন্ত জমা পড়েনি। সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগকারী ও তার আইনজীবীর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থের লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২৭ লক্ষ টাকা দেয়ার দাবি করা হলেও অভিযোগকারী কোনো ব্যাংক লেনদেন, বিকাশ রেকর্ড, চেক, রশিদ, লিখিত চুক্তি বা সাক্ষী—কিছুই দেখাতে পারেননি।
১১ ফেব্রুয়ারির কথিত ঘটনার প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, হাতিরঝিলের মতো সিসিটিভি-ঘেরা এলাকায় ঘটনার একটি সেকেন্ডের ফুটেজও উপস্থাপন করতে পারেননি অভিযোগকারী। কোনো সাক্ষী বা দৃশ্যমান প্রমাণও নেই।
তিনি আরও জানান, গত নয় মাসে তিনি কোনো থানার ফোনকল, কোর্টের নোটিশ বা আইনগত কোনো কাগজপত্র পাননি। তবে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্টের তথ্য জানতে পারার পর তিনি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছেন।
মেহজাবীন বলেন, “প্রমাণ ছাড়া দায়ের করা মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না। সত্য খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
তিনি সবাইকে মানবিক ও সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাউকে না জেনে সামাজিক বা মিডিয়া ট্রায়াল শুরু না করতে।
১৫ বছরের ক্যারিয়ার নিয়ে এই পরিস্থিতিতে ব্যাখ্যা দিতে হওয়াটাকেই তিনি সবচেয়ে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
মামলার পরবর্তী অগ্রগতি আদালতের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এমকে




