জাতীয়
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ
ঢাকায় সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির নেতারা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে দুপক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দায়িত্বশীল নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন।
এমকে
জাতীয়
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও দিতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান
নির্বাচনী হলফনামায় দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশি সম্পদের হিসাব বিবরণীও দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশি সম্পদের হিসেব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি যাদের অনুপার্জিত সম্পদ থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ সময় দুদকের নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার ৫ দশমিক ২১ একর কৃষি সম্পত্তি ছিল। তবে অনুসন্ধানে ২৯ একর সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যায়। সে সময় দুদক তদন্ত করে এটি বের করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
এমকে
জাতীয়
সন্ধ্যায় রাজধানীতে দুবার ভূমিকম্প
রাজধানীতে আজ শনিবার সন্ধ্যায় দুবার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প দুটির উৎপত্তিস্থল রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আজ সন্ধ্যায় রাজধানীতে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এর এক সেকেন্ড পর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ৪ দশমিক ৩। দুটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার বাড্ডা এলাকা।
এর আগে আজ সকালে নরসিংদীতে আরও একটি মৃদু ভূমিকম্প হয়। জেলার পলাশ উপজেলায় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা। শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পের ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ৬ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি—পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে এবং ফাটল দেখা দেয়।
জাতীয়
ভুটানের সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক সই
ভুটানের সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ। শনিবার (২২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা এবং ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে এ দুই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমঝোতায় সই করেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথড ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সেবা বাণিজ্যসংক্রান্ত সমঝোতায় সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।
প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে শেরিং তোবগের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একান্ত বৈঠক করেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
শনিবার সকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী তোবগে। ড্রুকএয়ারের বিমানে এসে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তাকে স্বাগত জানান।
জাতীয়
ভূমিকম্প আমাদের অহংকার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে আসে : আজহারী
গতকালের ভূমিকম্প নিয়ে দেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ‘সকালের ভূমিকম্পে যখন আমাদের বিল্ডিংটা দুলছে, তখন কিছু মূহূর্তের জন্য একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আতঙ্কে বুকটা কাঁপছিল। আর কয়েকটা ঝাঁকুনি দিলে ঢাকায় হয়তো আজকে লাশের মিছিল হতো। নিমেষেই গোটা শহর পরিণত হতো নিস্তব্ধ এক গোরস্থানে! দয়াময় এই যাত্রায় আমাদের রক্ষা করেছেন।
প্রভু হে, তুমি বড়ই মেহেরবান!
তিনি বলেন, এমন অপরিকল্পিত নগরী, সারি সারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, দুর্বল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট; আল্লাহর দয়া ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় আমাদের নাই। এই দুর্যোগগুলো আমাদের জন্য গভীর সতর্কবার্তা। গোটা জনপদবাসীকে সামান্য এক ঝাঁকুনি দিয়ে তিনি রিমাইন্ডার দিচ্ছেন। বোঝাতে চাচ্ছেন— বাড়াবাড়ি সীমালঙ্ঘন যা-ই করো না কেন, নাটাই কিন্তু আমার হাতে।
চাইলে-ই যে কোনো মুহূর্তে তোমাদের আমি ধুলিস্যাৎ করে দিতে পারি। তছনছ করে দিতে পারি তোমাদের এই চোখ ধাঁধানো সভ্যতা।
তিনি বলেন, কোরআনের ভাষ্যমতে— মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। আসলে ভূমিকম্প আমাদের অহংকার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে আসে।
আমাদের অক্ষমতা দেখিয়ে দিতে আসে। আসে মহাশক্তিধর, মহাপ্রতাপশালী রাজাধিরাজ আল্লাহর সামনে আমরা কতোটা অসহায় আর নিরূপায় তার নমুনা হিসেবে। তিনি তো সেই মহাপরাক্রমশালী সত্তা যার মোকাবেলায় কেউ মাথা তুলতে পারে না, যার সিদ্ধান্তসমূহের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর সাধ্য কারো নেই এবং যার ক্ষমতার সামনে সবাই অসহায় ও শক্তিহীন৷ আল্লাহু আকবার!
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুমার দিনের (শুক্রবার, ২১ নভেম্বর) কতো প্ল্যান নিয়ে কিছু লোক আজ ঘর থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা না ফেরার দেশে।
আমাদের বেঁচে থাকাটাই যে আমাদের প্রতি আল্লাহর কত বড় দয়া; তা আমরা উপলব্ধি করি না। আচ্ছা বলুন তো, মৃত্যু কি আমাদের জীবনের পরিকল্পনায় থাকে? জীবনের এতো এতো কাজ, ব্যস্ততা, নানা পরিকল্পনা এগুলো কি আমরা মৃত্যুকে স্মরণ রেখে করি? অথচ মৃত্যুর নির্ধারিত সময় আসলে তো আমাদের সকল ব্যস্ততাই শেষ হয়ে যাবে। আমিহীন দুনিয়ায় সবকিছু চলবে ঠিক আগের মতোই।
মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, কার মৃত্যু কখন, কীভাবে আসবে সেটা কেউ জানে না। আমাদের উচিত সর্বদা প্রস্তুত থাকা। তওবা করে রবের কাছে ফিরে আসা। একনিষ্ঠভাবে তার-ই কাছে সমর্পিত হওয়া।
তিনি শেষে বলেন, এ ভূমিকম্প তো কিছুই না। আসল ভূমিকম্প তো সেটা— যখন জমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে। আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে। অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে। (সুরা আল ওয়াকিয়াহ : ৪-৬)
উল্লেখ্য, দেশ দুইদিনে তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার পূর্বে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায়। এরপর সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। এরপরে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ভূমিকম্পে মৃদু ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। এর মাত্রা ৩.৭ বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা, কবে কোথায় আঘাত হানবে
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা নিয়ে ‘ব্রেকিং নিউজ’ দিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
শনিবার (২২ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন, ‘২২ নভেম্বর পাওয়া সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২৫/২৬ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে আগামী ১-৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষকদের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ডিসেম্বরের ১-৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালাক থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাকসবজি চাষিরা সম্ভাব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুরো দেশে।
সমুদ্রগামী জেলাদের জন্য পরামর্শ দিয়ে এই আবহাওয়াবিদ লিখেছেন, নভেম্বরের ২৮ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। ২৯ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ২৮ নভেম্বরের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ৩০ নভেম্বরের থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে এই সময়ে পর্যটন সম্পর্কিত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।



