টেলিকম ও প্রযুক্তি
অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে রবিন রাফানের এআই মাস্টারক্লাস

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফানের উদ্যোগে আয়োজিত ‘এআই মাস্টারক্লাস ফর কনটেন্ট ক্রিয়েটর সিজন ১ ’ অনলাইন ওয়ার্কশপটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য এই অনন্য উদ্যোগটি প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতার এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিনের মধ্যেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০০ জনেরও বেশি বাঙালি কনটেন্ট ক্রিয়েটর এই মাস্টারক্লাসের জন্য নিবন্ধন করেন। এই বিপুল আগ্রহের কারণে কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নতুন নিবন্ধন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার এই বহুল প্রতীক্ষিত অনলাইন ওয়ার্কশপটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। লাইভ ক্লাসে প্রায় ৪০০ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটর একযোগে অংশগ্রহণ করেন। যারা সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারেননি, তাদের সুবিধার্থে রেকর্ডেড ভার্সন সরবরাহ করা হয়েছে।
এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি, আকর্ষণীয় ক্যাপশন ও প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ তৈরি, ইমেজ থেকে ভিডিও এবং অ্যানিমেশন সৃষ্টি, কার্যকর প্রম্পট জেনারেশন এবং এআই-এর মাধ্যমে সঙ্গীত তৈরি সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে মূল্যবান জ্ঞান অর্জন করেছেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রবিন রাফান বলেন, ‘প্রথমবার এত বৃহৎ সংখ্যক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে একসাথে এআই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পেরে আমি অভিভূত। এটি আমার জন্য একটি নতুন এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ছিল। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের ওয়ার্কশপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্রথম সিজনের এই আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর, রবিন রাফান ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় সিজনের ঘোষণা করেছেন। এই নতুন ওয়ার্কশপটি আগামী ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে এবং ইতোমধ্যেই ৩০০ জনেরও বেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
এআই-এর ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরির দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবিন রাফানের এই ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা তাদের সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং বিশ্ব মঞ্চে আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের উপস্থাপন করতে সহায়ক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিক্রি হয়ে গেল ইলন মাস্কের ‘এক্স’

নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই-এর কাছে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) বিক্রি করে দিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মাস্ক ঘোষণা করেছেন, তার কোম্পানি এক্স এখন তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই-এর অধীনে চলে যাবে।
২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনেছিলেন ইলন মাস্ক। বর্তমানে এক্স-এর ৬০০ মিলিয়ন (৬০ কোটি) গ্রাহক রয়েছে। এক্সএআই-এর বর্তমান বাজারমূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলার, এবং এক্স-এর বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির ঋণের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার। তবে, এটি এক্সএআই বহন করবে। মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, এই চুক্তির ফলে এক্স-এর মূল্যায়ন ৩৩ বিলিয়ন ডলার হবে।
মাস্ক এক্স-পোস্টে বলেছেন, এক্সএআই এবং এক্স-এর ভবিষ্যৎ একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আজ আমরা ডেটা, মডেল, গণনা এবং প্রতিভাকে একত্রিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই সমন্বয় এক্সএআই-এর উন্নত এআই ক্ষমতা এবং দক্ষতাকে এক্স-এর বিশাল ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে মিশিয়ে অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
তবে, মাস্ক এখন পর্যন্ত এক্স প্ল্যাটফর্মে কোন বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দেননি। যদিও এক্সএআই-এর Grok চ্যাটবট ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।
মাস্কের ভাষ্যমতে, সম্মিলিত এই প্ল্যাটফর্মটি আরও স্মার্ট এবং অর্থপূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। সম্মিলিত কোম্পানির মূল্য দাঁড়াবে ৮০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, ২০২২ সালে টুইটার কেনার পর থেকে মাস্ক কিছু বড় পরিবর্তন এনেছেন, যার ফলে কিছু বিজ্ঞাপনদাতা সরে গেছে। অধিগ্রহণের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি কোম্পানির ৮০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন এবং প্ল্যাটফর্মের মূলনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপির ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা, সতর্কতা

হোয়াটসঅ্যাপ আর নিরাপদ নেই! হ্যাকিং, ডেটা চুরি বা ম্যালওয়্যার আক্রমণের মতো সমস্যাগুলো দিন দিন বাড়ছে। হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই চক্রটি। হ্যাকারদের ফাঁদ পাতার বিষয়টা নতুন নয়। এক্সক্লুসিভ অফার, ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাকের মতো লোভনীয় সব প্রস্তাব দিয়ে বোকা বানানো হচ্ছে ইউজারদের। এবার ওটিপি কোডের মাধ্যমে পাতা হচ্ছে নতুন ফাঁদ। অসতর্ক হলেই হবে সর্বনাশ।
ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় একটি ওটিপি কোড। সঙ্গে বার্তা, ‘ভুল করে একটা কোড পাঠিয়ে ফেলেছি তোমার নম্বরে। দয়া করে এটা ফরোয়ার্ড করো।’ আর এই ফাঁদে পা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ওই ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপের পুরো দখলটাই চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে। কাজেই সতর্ক থাকুন। অন্যথায় বড়সড় বিপদে পড়তে পারেন।
কীভাবে বুজবেন হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হয়েছে
কোনও রহস্যময় ওটিপি ও এসএমএস পেলে। কোনো হুঁশিয়ারি ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ থেকে লগআউট হয়ে গেলে। বন্ধুর আইডি থেকে এমন বার্তা পেলেন যা রহস্যময়। কোনোভাবেই হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকতে না পারলে।
কি করবেন কি করবেন না
কখনও নিজের ওটিপি শেয়ার করবেন না। মনে রাখবেন ওটিপি কেবল আপনারই জন্য। কোনো সংস্থা বা অন্য কেউই তা চাইতে পারে না। এনাবেল করে রাখুন টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন। কোনও বন্ধুর থেকে রহস্যময় বার্তা পেলে বিশ্বাস করবেন না।তাকে সরাসরি ফোন করে জেনে নিবেন। লিঙ্কড ডিভাইসগুলিকে নিয়মিত চেক করুন। কোনো রকম সন্দেহজনক অ্যাক্টিভিটি দেখলে রিপোর্ট করুন। প্রয়োজনে বদলে ফেলুন প্রাইভেসি সেটিংস। কোনো অচেনা নম্বর যাতে আপনাকে হুটহাট কোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
সাবমেরিন ক্যাবলে ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। গতকাল শনিবার কোম্পানির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে। রোববার (২৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্য কমানো তার মধ্যে অন্যতম। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের জন্য দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে।
এছাড়া ব্যাকবন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে। যার ফলে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে, যোগ করেন আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই ৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তায় ‘হেল্প’ অ্যাপ চালু

ঢাকায় গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালু হয়েছে ‘হেল্প’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপে দেওয়া নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইতে পারবেন, জরুরি সেবা নিতে পারবেন এবং ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প রাজধানীর বছিলা থেকে সায়েদাবাদ সড়কে বাস্তবায়ন করা হবে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলাচলকারী বাসে কিউআর কোড স্থাপন ও এই অঞ্চলে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় সহিংসতার শিকার নারীরা এই সেবা নিতে পারবেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দ্য ডেইলি স্টার ভবনের হলরুমে অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘হেল্প’ অ্যাপে দাখিলকৃত নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা এখন থেকে ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারী ও শিশুদের ওপর যেকোনো ধরনের সহিংসতা পীড়াদায়ক। অনেক ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতেও দ্বিধা বোধ করেন। তা ছাড়া তাদের অভিভাবকরাও নানা কারণে ঘটনাগুলো গোপন রাখেন।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গৃহকর্মীরা আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত।
অনেক সময় তারাও শ্লীলতাহানির শিকার হন। সুনাগরিক হিসেবে গৃহকর্মীদের থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে এই অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনবাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশি কোম্পানি

বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। যার অংশ হিসেবে মার্কিন টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে এবং এরই মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠান যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই অংশীদারত্বের আওতায় মহাকাশে স্পেস বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্টারলিংক প্রতিনিধিদলের সফরের ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগ্রহী ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে। কিছু ক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহারে সহায়তা দেবে, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, লোকেশন নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা চলমান রয়েছে।
ফয়েজ আহমদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাঁধা থেকে মুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং অনেক দূরবর্তী এলাকায় এখনো লোডশেডিং সমস্যা রয়েছে, স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’
তিনি জানান, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে যৌক্তিক একটি মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়েজ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে তিনি দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন, যারা এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী হবেন।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেন যেন তিনি স্পেসএক্স দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করেন, যাতে আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, প্রধান উপদেষ্টা স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের সঙ্গে দীর্ঘ টেলিফোন আলোচনা করেন, যাতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর বিষয়ে অগ্রগতি অর্জন করা যায়।