পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ৭-১৫ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, পুঁজিবাজারে আজ পর্যন্ত যত সুবিধাই দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে তার বেনিফিট পাওয়া যায়নি। বরং গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে তারা ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছে।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এমন মন্তব্য করেন।
বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সংগঠনগুলো পুঁজিবাজারে কর অব্যাহতির প্রস্তাব দেয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, সারাজীবন কর অব্যাহতি দিলাম, রেজাল্ট তো আসে না। আগেই কেন অব্যাহতির কথা আসে। সবার আগে কেন ট্যাক্স হলিডে লাগবে? কর অব্যাহতির সংস্কৃতিতে আর থাকতে চাই না। অব্যাহতি দিতে দিতে নিন্ম কর জিডিপি অনুপাত থেকে বের হতে পারছি না। আমাদের বদনাম হয়ে গেছে যে, রাজস্ব যা আদায় করি, তার সমপরিমাণ অব্যাহতি দেই।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে তার বেনিফিট পাওয়া যায়নি। গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে তাদের ৭ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যাপিটাল হারিয়েছে। আমরা অব্যাহতি সংস্কৃতি থেকে বের হচ্ছি। আমরা পণ করেছি অব্যাহতি আর দেব না। অব্যাহতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি কর্তৃক মূলধনী মুনাফার উপর সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি।
এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস, উৎসে লভ্যাংশ আয়ের উপর কর হ্রাস এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা, তালিকাভুক্ত বন্ড থেকে অর্জিত আয় বা সুদের উপর কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে আসছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিদর্শনে আসছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে পৌঁছে ড. আনিসুজ্জামান দুটি পৃথক বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রথম বৈঠকে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করবেন তিনি। এরপর ডিএসইর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বসবেন বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায়। বৈঠক শেষে, তিনি ডিএসইর বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখবেন।
দেশের পুঁজিবাজার যখন এক নাজুক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর এই ডিএসই পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকানো গেছে এবং তা ক্রমশ বাড়ছে। ডলার ও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়েও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে ফিরেছে শৃঙ্খলা। তবে ব্যতিক্রম শুধু পুঁজিবাজার। অর্থনীতির এই ইতিবাচক ধারার কোনো প্রভাব এখানে পড়েনি, বরং বাজারে দরপতন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। লেনদেনও তলানিতে ঠেকেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা একাধিকবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন, যা সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছে সরকার। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে এই বৈঠক করতে চলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এপেক্স ফুডসের আয় কমেছে ৩৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ফুডস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৩২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫২ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ৪ টাকা ৬৪ পয়সা আয় হয়েছিল। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল মাইনাস ২৬ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ১৪ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা।
এমএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইউনাইটেড পাওয়ারের আয় বেড়েছে ৩৪ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ২১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৩৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৪-মার্চ ২৫) মিলিয়ে কোম্পানিটির ১৯ টাকা ৩২ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ১৩ টাকা ২২ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭২ টাকা ৫৫ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আফতাব অটোর লোকসান কমেছে ২৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছর একই সময়ে তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ২৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩৩ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১ পয়সা লোকসান হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ১ টাকা ৪০ পয়সা লোকসান হয়েছিল। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বসুন্ধরা পেপারের মুনাফায় ধস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৫৬ পয়সা। তবে গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৫৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১০ টাকা ৬০ পয়সা লোকসান হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ১ টাকা ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৮ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৯৬ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭৭ টাকা ৬ পয়সা।
কাফি