রাজনীতি
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট দিনে ৬৪ জেলায় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কোথায় বক্তব্য দেবেন তার তালিকা প্রকাশ করেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাট, নজরুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ফেনী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খুলনা, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ব্রাক্ষণবাড়িয়া, আসাদুজ্জামান রিপন রাজবাড়ি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পটুয়াখালী, আরিফুল হক চৌধুরী সুনামগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উ্ন নবী খান সোহেল জামালপুর।
১৭ ফেব্রুয়ারি: মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যশোর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান টাঙ্গাইল, সেলিমা রহমান মাদারীপুর, আবদুল আউয়াল মিন্টু চাঁদপুর, শামসুজ্জামান দুদু ঠাকুরগাঁও, আবদুস সালাম বগুড়া, আরিফুল হক চৌধুরী মৌলভীবাজার, জহির উদ্দিন স্বপন ভোলা।
১৮ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু পাবনা, শামসুজ্জামান দুদু পঞ্চগড়, জয়নুল আবদিন ফারুক কুমিল্লা দক্ষিণ, আবুল খায়ের ভুঁইয়া ঝিনাইদহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী হবিগঞ্জ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নেত্রকোনা।
১৯ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নোয়াখালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সিলেট, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ, মিজানুর রহমান মিনু কুষ্টিয়া, ফরহাদ হালিম ডোনার শরীয়তপুর, মজিবুর রহমান সারোয়ার পিরোজপুর, রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী।
২০ ফেব্রুয়ারি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লক্ষীপুর, সেলিমা রহমান বরিশাল দক্ষিণ, আবদুল আউয়াল মিন্টু ময়মনসিংহ দক্ষিণ, আসাদুজ্জামান রিপন ফরিদপুর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান চুয়াডাঙ্গা, মিজানুর রহমান মিনু নওগাঁ, আবদুস সালাম কুড়িগ্রাম।
২২ ফেব্রুয়ারি: জয়নাল আবেদীন ঝালকাঠি, আহমেদ আজম খান চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ময়মনসিংহ উত্তর, হারুনুর রশীদ জয়পুহাট, মাহবুব উদ্দিন খোকন কুমিল্লা উত্তর, আসলাম চৌধুরী বান্দরবান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া রংপুর, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ নরসিংদী।
২৪ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মুন্সিগঞ্জ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বরিশাল উত্তর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী নড়াইল, আহমেদ আজম খান নাটোর, হারুনুর রশীদ গাইবান্ধা, হাবিব উন নবী খান সোহেল রাঙ্গামাটি, আবদুস সালাম আজাদ মাগুরা, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সৈয়দপুর।
২৫ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নারায়ণগঞ্জ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গাজীপুর, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চট্টগ্রাম উত্তর, বরকত উল্লাহ বুলু বাগেরহাট, নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দিনাজপুর, আমান উল্লাহ আমান মেহেরপুর, জয়নুল আবদিন ফারুক নীলফামারী, মনিরুল হক চৌধুরী খাগড়াছড়ি, আবদুস সালাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
কাফি

রাজনীতি
ফজলুর রহমানের দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির একটি সূত্র। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, পদ স্থগিতের চিঠি ফজলুর রহমানকে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ফজলুর রহমানকে দেওয়া পদ স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট আপনার (ফজলুর রহমান) নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। আপনি নোটিশের লিখিত জবাব না দিয়ে সময় বর্ধিত করার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সময় আরও ২৪ ঘণ্টা বর্ধিত করা হয়। আপনি আজ নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়।
তথাপিও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিয়ে আপনার দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এখন থেকে আপনি টকশো বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলার সময় দেশের মর্যাদা ও দলের নীতিমালা যাতে ক্ষুণ্ন না হয় এবং দেশের জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে সে বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।
রাজনীতি
‘মবের শিকার’ হয়েছেন দাবি করে দোয়া চাইলেন ফজলুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান দাবি করেছেন, তিনি নিজ বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা ‘মবের শিকার’ হয়েছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, “মৃত্যু ছুঁয়েছি একাত্তর সনে, মব আর মৃত্যুভয় আমার নেই। দেশবাসী সবার কাছে দোয়া প্রার্থী, এই মুহূর্তে বাসায় মবের শিকার।”
এদিকে, আজ সকাল থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের কাছে তার বাসার সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করছেন। তারা ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। এই আন্দোলনকে ঘিরে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত ‘কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে গতকাল রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজনীতি
উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: সারজিস

উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
রোববার (২৪ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, জুলাই সনদের মাধ্যমে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করা হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তার পর অন্য আলাপের শুরু হতে পারে। তার আগে নয়।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এনসিপির এ নেতা বলেন, সাধু সাবধান। কে কী করছেন কিংবা করতে চাচ্ছেন, কোনো কিছুই গোপন থাকবে না। শেখ হাসিনা তো জান নিয়ে পালাইতে পারসে। আপনারা সেটাও পারবেন না। জনগণ এত ভালো না। কঙ্কালতন্ত্রের পশ্চাৎ অংশের মধ্যবর্তী মাংসল ক্ষেত্র দিয়ে সকল ক্ষমতা ভরে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত খসড়া পাঠায়। সেই সঙ্গে দলগুলোকে ২০ আগস্টের মধ্যে মতামত জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, জনগণের যে কোনো অধিকার, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করব না। অতীতেও করিনি, এখনো করব না ইনশাআল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়াম হলরুমে বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বাবর বলেন, দলকে যারা ভালোবাসেন, দলকে যারা পছন্দ করেন, দলের আদর্শ যারা ধারণ করেন, তাদের দলের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে আপনাদের তা মানতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অনেক কঠিন পথ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে সব বিভেদ ভুলে সংগঠিত থাকবে হবে, ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী দিনের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে দলকে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। এই সহযোগিতা হলো—প্রথমে নিজেরা ঠিক থাকব। নিজেরা অন্যায় কাজ করব না, অন্যকেও করতে দেব না। অন্য কেউ করলে তা জানিয়ে দেওয়া। এর পরও কেউ অন্যায় কাজ করলে তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা ভুল বুঝবেন না।
রাজনীতি
সংস্কারের পরই আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাববো: নাহিদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, সংস্কারের পরই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাববেন তারা।
গত রোববার এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স, মালয়েশিয়ার আয়োজনে ‘২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বীরত্বগাথা ও বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ গঠনে প্রবাসীদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমে আমরা নির্বাচন; যেটা গণপরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমরা মনে করি, এর বাইরে কোনো নির্বাচন হবে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কখনোই পক্ষ বিপক্ষ করি নাই। আমরা শুধু বলেছি- সংস্কারের নিশ্চয়তা এবং বিচারের নিশ্চয়তা নিয়ে যদি ডিসেম্বরেও নির্বাচন হয়, সেটাতেও আমাদের আপত্তি নাই।’
বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন পেছানো বা এ ধরনের কথাগুলো কেবলই গালগল্প। আসন সমঝোতা নিয়েও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সফলতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি সংস্কারকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লবের পর জনগণের কাছে আমরা যাতে বলতে পারি— দেশের এই পরিবর্তনটা আমরা নিয়ে এসেছি বা জুলাইয়ের ফলে পরিবর্তনটা নিয়ে এসেছি। ফলে সংস্কারটাই আমাদের প্রধান এজেন্ডা। সংস্কারের পরই আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাববো।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মাদ। সভাপতিত্ব করেন এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স, মালয়েশিয়ার সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আলমগীর চৌধুরী আকাশ।
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকায় সফররত পাকিস্তান উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবন ফিরোজায় গেছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইসহাক দার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে পৌঁছান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
দুই দিনের সফরে গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় আসেন ইসহাক দার। এদিন বেলা দুইটার দিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম।
ইসহাক দার তার ঢাকা সফরের প্রথম দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক পরিসরসহ নানা ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে পাকিস্তানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
রোববার সকালে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেন ইসহাক দার। পরে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। এরপর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ইসহাক দারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি, চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি কর্মসূচি (প্রোগ্রাম) সই হয়েছে।
কাফি