সারাদেশ
একটি নদীর মৃত্যু মানে একটি সভ্যতার মৃত্যু: চাঁদপুর জেলা প্রশাসক

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, একটি নদীর মৃত্যু মানে একটি সভ্যতার মৃত্যু। নদীকে তার গতিতে বাঁচতে দিতে হবে। কোন দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার নেই কেউ কি বলতে পারবেন? পৃথিবীর সকল দেশেই প্লাস্টিকের ব্যবহার আছে। পৃথিবীর সকল দেশেই প্লাস্টিক, বালির যথাযথ ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যা আমাদের দেশে নেই।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দ্বিতীয় পর্বে ‘নদ-নদীকে জীবন্ত স্বত্ত্বা ঘোষণা-কিভাবে নদীর অধিকারের স্থায়ী ভিত্তি নির্মাণ করা যাবে?’ বিষয়ে গণশুনানি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে। নদী দূষনের ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবস্থাপনার সমস্যা রয়েছে। আর নদী দখলের ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। প্রতি মাসে আমরা পানির মান পরীক্ষা করি। আমাদের ডাকাতিয়া নদীর মান ভাল আছে। আপনার আমার ফেলে দেয়া পলিথিন সবশেষে যাচ্ছে ফসলি জমিতে। যার কারণে আমাদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। নদীতে পলিথিন ফেললে নদী দূষণ হচ্ছে। পলিথিনের কারণে আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমাদের পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
ডিসি বলেন, চরের কারণে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির সম্মুক্ষিণ হবে। আমাদের ডুবোচরগুলো কেটে দিতে হবে এবং কাটানো দরকার।
তিনি আরও বলেন, দেশ, প্রকৃতি ও সভ্যতাকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীগুলো বাঁচাতে হবে। নদী দখলের নামে আমাদের দেশে একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করা হয়ে থাকে। নদী ভাঙা-গড়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। নদীকে শাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। নদীকে যদি আমরা দখল না করি, পলিথিন না ফেলি তাহলে নদী ভাল থাকবে। আমাদের নদী, খাল ভরাট হয়ে গেছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। নদীকে কেন আমরা বাঁচিয়ে রাখবো তা প্রথমেই জানতে হবে।
এই পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুর এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. ফজলুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচারক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক লে. মো. শোয়েব, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল গাজী প্রমূখ।
গণশুনানি পর্বে সভাপতিত্ব করেন পরিবশে ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন এবং উপস্থাপনায় ছিলেন স্থানীয় আয়োজক মুসাদ্দেক আল-আকিব। একই সাথে সঞ্চালক বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ পাঠ করেন।
এছাড়াও বেলা আড়াইটায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রথম পর্বে ‘বালুমহাল ও বালুব্যবস্থাপনা কিভাবে টেকসই, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক হতে পারে?’ বিষয়ে বহুপক্ষীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ি দেশে নদী সংখ্যা ১১৫৬। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নদীর সংখ্যা ছিলো দুই হাজার। পদ্মা-মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বৈধ-অবৈধ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। নদীর বালু উত্তোলন করাও প্রয়োজন। এসব বিষয়গুলো একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিয়েছে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। তারই অংশ হিসেবে অংশীজনদের নিয়ে চাঁদপুরে দুই পর্বের এ সভা ও গণশুনানি অনুষ্ঠত হয়।
প্রথম পর্বের সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুরিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, নদীর পরিবেশ রক্ষায় অনেকেই জড়িত। এর মধ্যে নৌ পুলিশও কাজ করে। মূলত আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে পুলিশ। তবে নদীর বালু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের মতামত লাগবে। এছাড়া যারা এটি নিয়ে গবেষণা করেন তাদের মতামত নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবে। যেহেতু চাঁদপুরে বর্তমানে কোন বৈধ বালু মহাল নেই, সেকারণে আমরা বালু কাটার সংবাদ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বলতে পারি অবৈধভাবে বালুকাটা অনেকটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
এসপি আরও বলেন, চলতি জানুয়ারি মাসে পদ্মা-মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ৩৪টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৮৮জন। এজহার নামীয় আসামী হলেন ৮৪জন। তিনি বলেন, এই ধরণের ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা প্রয়োজন। বিগত মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আমি জনগণের মধ্যে সচেতনতা পাইনি। বালুমহাল ও বালুউত্তোলনের ক্ষেত্রে একটি ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে হলে সবার আগে স্থানীয় জনগণকে সচেতন হতে হবে। এরপর বহুমুখী সমন্বয় প্রয়োজন। এটি বন্ধ করার জন্য নীতিমালা প্রনোয়নে আমরা কাজ করতে চাই।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইমরান খাঁন, চাঁবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. বাইজিদ আহমেদ রনি, চাঁসকের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সুলতানা তৌফিকা আক্তার, চাঁদপুর নদী বন্দরের অভ্যন্তরীণ জাহাজ পরিচালনা বিভাগের পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ গাজী, বাংলাদেশ নৌ-যান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ।
প্রথম পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন আয়োজকদের পক্ষে মো. মনির হোসেন। টেকসই বালু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা নিয়ে বক্তব্য দেন পরিবশে ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর ও প্রয়োজনীয়তা বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন চাঁদপুর পরিবেশ সংরক্ষন আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক খান। আর এই বিষয় লিখেছেন অনুষ্ঠানের স্থানীয় আয়োজক মুসাদ্দেক আল আকিব। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আল-আমিন মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ন.ম ফখরুল ইসলাম মাছুম।
এই পর্বে জেলে, বালুবাহী বলগেট মালিক সমিতির নেতা ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। বক্তারা বালু উত্তোলনের ভিন্ন মত দিলেও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঐক্যমত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পরামর্শমূলক এই সভায় বক্তাদের আলোচনায় জানা গেছে, চাঁদপুরে ৭টি বৈধ বালুমহাল ছিলো। কিন্তু এখন একটি বালুমহালের অনুমোদন নেই। উচ্চ আদালত থেকে দুটির জন্য অনুমোদন এনে জেলা প্রশাসনের নিকট দেয়া হলেও সেগুলোর জন্য নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে বালু উত্তোলনের সমস্যাগুলো তুলে ধরে জবাব দেয়া হয়। এছাড়াও জানাগেল সেলিম চেয়ারম্যান থেকে এখন পর্যন্ত পূর্বের বালু তোলার রাজস্ব বকেয় আছে ২৭৪ কোটি টাকা।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানে আরডিআরসি ছাড়াও সহযোগী আয়োজক সংগঠন ছিলো সিএনআরএস, আরডিআরএস, অক্সপাম এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
কাফি

ধর্ম ও জীবন
সৌদি আরবে কক্সবাজারের ওয়াহিদুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

কক্সবাজারের কৃতী সন্তান আ.ফ.ম.ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন, গর্জনীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হেড মাওলানা। তার দাদা মাওলানা ওবায়দুল হক চট্টগ্রামের বিখ্যাত দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
অ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান বর্তমানে পবিত্র হারামাইন শরীফাইন সৌদি আরবের অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা বিভাগে অনুবাদক, ভাষ্যকার ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল- ‘ইমাম আল-বায়হাকী আস-সুনান আল-কুবরায় যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ডাকার আইনশাস্ত্র’।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল তাফসির বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উম্মুল মাদারিস খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হন।
তিনি ১৯৯৯-২০০৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আ.ফ.ম.ওয়াহীদুর রহমান মাক্কী সৌদি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ পৃথিবীর ২০টি ভাষায় খুতবাতুল আরাফার তথা হজের খুতবাহ সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা ভাষ্যকার হিসেবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ও তিনি মক্কায় ইসলামিক সেন্টার এর একজন দায়ী হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে দাওয়াতী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
কাফি
সারাদেশ
পাবনায় ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট

পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুটি কম্পিউটার ভাঙচুর ও হার্ডডিস্ক লুট করা হয়। প্রমাণ ধ্বংস করতে এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার টেবুনিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয়, পুলিশ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শেষে ব্যাংক বন্ধ করে চলে যান শাখা সংশ্লিষ্টরা। পরদিন ব্যাংকের অফিস সহকারী (মেসেঞ্জার) রাসেল এসে ব্যাংক খুলে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা এবং পুরো ব্যাংক তছনছ অবস্থায় রয়েছে। পরে সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে দেখা যায়, ভল্টে থাকা টাকা, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে ব্যাংকের অফিস সহকারী রাসেল প্রামাণিক বলেন, রাতের কোনো একটি সময় এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সকালে অফিসে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, কম্পিউটার ভাঙা ও চেয়ার ছড়ানো। এরপর আমি স্যারদের জানাই।
এজেন্ট শাখার ইনচার্জ নাঈম হাসান বলেন, খবর পেয়ে অফিসে এসে দেখি ভল্ট ভাঙা ও তাতে থাকা ১২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেই। অফিসের দুটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এবং সিসিটিভি সিস্টেমও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় চেয়ারে ঘটনায় জড়িতদের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভল্ট ভেঙে টাকা ও কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে দাবি শাখা সংশ্লিষ্টদের। তবে ভল্ট ভাঙা হয়েছে বলে মনে হয়নি। ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের দ্বন্দ্বেও এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
সারাদেশ
২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে নতুন করে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে সিলেটে ছয়জন করোনা আক্রান্ত হলেন। বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জন। তাদের মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে তিনজন, নর্থইস্ট হাসপাতালে একজন, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও সীমান্তিকে একজন।
এদিকে নতুন করে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু হওয়ায় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে করোনার পরীক্ষার কিটসহ সব সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনিসুর রহমান জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার চাহিদা কম থাকায় শুধুমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চলবে পরীক্ষা। রোগী বাড়লে বাকি দুটি ল্যাবও ব্যবহার করা হবে।
সারাদেশ
বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

কক্সবাজার রামুতে যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে রামু রশিদ নগর ইউনিয়নের জেটিরঘাটা রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকার বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ (৫৫), তার ৯ বছরের শিশু রিয়াদ, রামু এলাকার বাসিন্দা রিমঝিম বড়ুয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী কুদ্দুস জানান, কক্সবাজার শহর থেকে ছেড়ে আসা পূরবী বাস ও বিপরীত থেকে আসা কার্ভারভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহতদের বাস কেটে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
সারাদেশ
গোপালগঞ্জে তিন বাসের সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে তিনটি বাসের পরপর সংঘর্ষে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও বাসের এক সহকারী নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুল ইসলাম (৫২) নিহত দুইজনের একজন। তিনি উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় চতুর্মুখী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এবং পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত অপর ব্যক্তি আরমান পরিবহনের বাস হেল্পার। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান মোরাদ জানান, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে প্রথমে ধাক্কা দেয় আরমান পরিবহনের একটি বাস। সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে এসপি গ্রীন লাইনের আরেকটি বাস এসে ধাক্কা দিলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী নিউ বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাস ও ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দিলে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে উদ্ধার কাজে থাকা এটিএসআই রফিকুলসহ আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধার কাজে অংশ নেয় গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, যার নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র স্টেশন অফিসার মালেক আলী সরদার। প্রায় দুই ঘণ্টা পর, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাফি