অর্থনীতি
দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার
পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত সোমবার (৪ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্থাটি। আজ (৬ নভেম্বর) কর প্রত্যাহারের বিষয়টি জানা গেছে।
এনবিআর জানায়, মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কোন প্রকার শুল্ক-কর আরোপযোগ্য রইলো না। এতে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
জানা যায়, সম্প্রতি দেশে অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য পেঁয়াজের দামে পুনরায় অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যা সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে পেঁয়াজের স্থানীয় চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন দ্বারা দেশের চাহিদার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়।
অন্যদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকার বর্তমানে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্কারোপ করেছে। দেশে প্রয়োজনীয় চাহিদাপূরণ ও ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করা আবশ্যক হয়ে পেড়েছে। সেই কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাসের জন্য শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে ট্যারিফ কমিশন।
এর আগে ৩১ অক্টোবর পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মদ বিক্রিতে কেরুর ৮৫ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা!
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই মদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন এ কোম্পানি আগের বছরের তুলনায় ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কর্মকর্তারা জানান, শুধুমাত্র ডিস্টিলারি ব্যবসা থেকেই প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে কেরুর; তবে চিনি ইউনিটে প্রায় ৬০ কোটি টাকা লোকসানের কারণে মোট মুনাফা কমে ১০০ কোটি টাকার নিচে দাঁড়িয়েছে। কর্মকর্তারা মনে করেন, মূলত দাম বৃদ্ধির কারণে মুনাফা বেড়েছে। যদিও কোম্পানির রাজস্ব গত বছরের ৪৭৫ কোটি টাকা থেকে কিছুটা কমে এ বছর ৪৫৯ কোটি টাকা হয়েছে।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর কড়াকড়ির কারণে বিদেশি মদের আমদানি কমেছে, তাই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মদের চাহিদা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।”
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালে বিদেশি মদ আমদানির ওপর কঠোর নজরদারি শুরু করে এনবিআর, যার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত হয় এবং বিদেশি মদের আমদানি হ্রাস পায়। এ পরিস্থিতিতে কেরুর বিক্রি বেড়ে যায়।
কেরুর ডিস্টিলারি ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, চলতি ২০২৪ সালের জুন নাগাদ কেরুর স্পিরিট এবং অ্যালকোহল উৎপাদন সামান্য বেড়ে ৬০ লাখ প্রুফ লিটারে পৌঁছেছে। ২০২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৫৯ লাখের কিছুটা বেশি। “প্রুফ” শব্দটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের মধ্যে অ্যালকোহল উপাদানের পরিমাণ বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান বলেন, “যাত্রা শুরুর পর থেকে এত পরিমাণ লাভের মুখ দেখেনি কেরু। গত কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মদের উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে।”
তিনি বলেন, “কর্পোরেট ট্যাক্সের আগে, কোম্পানির মুনাফা ১১৫ কোটি টাকার বেশি ছিল; তবে ট্যাক্সের পরে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি টাকায়; আগের অর্থবছরে এই মুনাফা ছিল ৬৪ কোটি টাকা।”
রাব্বিক হাসান আরও বলেন, “২০২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে, গণ-অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে কেরুর স্পিরিট এবং অ্যালকোহল উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে চাহিদা মেটাতে বর্তমানে ডিস্টিলারি ইউনিট সম্পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করছে।”
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান পণ্য চিনি হলেও, আখ থেকে চিনি নিষ্কাশন করার পর অন্যান্য উপকরণও (বাই-প্রোডাক্ট) উৎপাদন করা হয়, যেমন- মদ, ভিনেগার, স্পিরিট এবং জৈব সার।
প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় মদ, পরিশোধিত স্পিরিট এবং বিকৃত স্পিরিট উৎপাদন করে থাকে। পাশাপাশি, দুই প্রকার ভিনেগার- মল্ট ভিনেগার এবং সাদা ভিনেগারও তৈরি করে।
কেরুর কারখানাগুলোর সম্মিলিত বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১.৩৫ কোটি প্রুফ লিটার।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি ইউনিটে রয়েছে ৯ প্রকারের মদ- ইয়েলো লেবেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্র্যান্ডি, চেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, অরেঞ্জ কুরাকাও, জারিনা ভদকা, রোসা রাম এবং ওল্ড রাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলম গোষ্ঠীর অনিয়ম তদন্তে ইসলামী ব্যাংকে নিরীক্ষক নিয়োগ
এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের দখল নেওয়ার পর যেসব অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো তদন্তের জন্য চারটি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামী ব্যাংকের সম্পদের হিসাব, ঋণ বিতরণের বৈধতা ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মাহফেল হক অ্যান্ড কোম্পানি, পি কে এফ হালিম খায়ের চৌধুরী, এ ওয়াহাব অ্যান্ড কোম্পানি ও জোহা জামান কবির রশিদ অ্যান্ড কোম্পানি।
প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিচালনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কোষাগারের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও অফশোর ব্যাংকিংসহ ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে।
এছাড়াও আইটি, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর), যাকাত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোও মূল্যায়ন করবে।
গত আগস্টে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
আগামী রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১১টি পণ্য আমদানি সহজ করতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা ১১টি ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র বা এলসির মার্জিন ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে ন্যূনতম পর্যায়ে কমাতে পারবেন। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এ সুবিধা পাবেন।
আজ বুধবার এক পরিপত্রের মাধ্যমে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, রমজান মাসে এ–জাতীয় ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমদানি সহজ করার মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্দেশ্যে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
যেসব পণ্যের জন্য এলসি মার্জিন শিথিল করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। এই ১১টি পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ঋণপত্র খুলতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ট্রাম্পের জয়ে নিম্নমুখী বৈশ্বিক পণ্যবাজার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জয়ে চাপের মুখে রয়েছে বৈশ্বিক পণ্যবাজার। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, ধাতু ও খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দাম আজ কমেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, আজ বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও সয়াবিনের দাম প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় চাপে রয়েছে এশিয়ার বাজার। এ সময় তামার দাম কমেছে ২ শতাংশের বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম গত কয়েক দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখেছিল। তবে আজ স্থিতিশীল ছিল মূল্যবান ধাতুটির দাম।
এ বিষয়ে স্যাক্সে ব্যাংকের কমোডিটি স্ট্র্যাটেজির প্রধান ওলে হ্যানসেন রয়টার্সকে বলেন, ‘আজকের বৈশ্বিক পণ্যবাজারের পরিস্থিতি মার্কিন ভোট গণনা ও ট্রাম্পের বিজয়ের পক্ষে প্রাথমিক ফলাফলের প্রথম প্রতিক্রিয়া। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়তে পারে। দেশটি তামা, লোহা ও ইস্পাতের শীর্ষ ব্যবহারকারী হওয়ায় তা নেতিবাচক। শুল্ক বাড়লে তা চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলে। এ আশঙ্কায় এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে।’
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই তিনি জয়ী হলে বিপদে পড়তে পারে চীনের শিল্প ধাতু ও ইস্পাত খাত।
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য হিস্যা রয়েছে ইরানের। খাতসংশ্লিষ্টদের ধারণা, ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির জ্বালানি তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী পণ্যটির সরবরাহ বিঘ্ন ঘটতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সয়াবিন রফতানি করে থাকে চীনে। বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে কৃষি খাতও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের ওপরও পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে চীন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৫৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেল দুর্বল ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোর কোনটাতে ভল্ট উপচে পড়ছে, কোনটাতে আবার অর্থ সংকটের হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিতে সবল ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ সংকটে থাকা এসব দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি টাস্কফোর্স ব্যাংক খাতে সংস্কার, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না।
অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সব ব্যাংকই সময় অনুসারে গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে সবল ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, ইস্টার্ন, সিটি, শাহজালাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, ঢাকা, ডাচ্-বাংলা ও ব্যাংক এশিয়া।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে ৩ দিনের মধ্যেই তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে চলতি রেটে।
এমআই