পুঁজিবাজার
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কারখানা বন্ধের গুজব
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কারখানা ৬ মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার যে খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেটি গুজব বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কোম্পানি সচিব ইশতিয়াক আহমেদ জানান, আজ দুপুরের দিকে দেখতে পেলাম কে বা কাহারা আমাদের কোম্পানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এমন একটি তথ্য ছড়িয়েছে। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের কারখানা বন্ধ হয়নি বা এমন কোনো ঘোষণাও দেয়া হয়নি। কারোর প্রয়োজন হলে আমাদের কারখানা ভিজিট করে সত্যতা দেখে যেতে পারেন।
যারা এমন তথ্য ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পর্ষদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
‘এশিয়াটিক ল্যাবের কারখানা ৬ মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা’, ‘এশিয়াটিকের কারখানায় তালা’ ইত্যাদি শিরোনামে তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির উৎপাদন বা কারখানা বন্ধ রাখতে হলে স্টক একচেঞ্জকে জানাতে হয়। কোম্পানির এসব তথ্য আবার ডিএসই ও সিএসই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে ডিএসই বা সিএসইসির ওয়েবসাইটে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কারখানা বন্ধ হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে লেনদেন করছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৫। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ৩৬ দশমিক ২৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
একীভূত হওয়ায় মনোস্পুল পেপারের মূলধন বেড়ে ৪ গুণ
পার্ল পেপার এন্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের সাথে সম্প্রতি একীভূত হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড। দুই কোম্পানি একীভূত হওয়ায় কোম্পানিটির মূলধন প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড পার্ল পেপার এন্ড বোর্ড মিলস লিমিটিড শিল্প প্রকল্প দুইটি একীভূত হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, একীভূত হওয়ার পূর্বে ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৬ টাকা। আর একীভূত হওয়ার পর ৩১ মার্চ,২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার ১৬ টাকা।
কোম্পানির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক প্রতিবেদনের তুলনামূলক চিত্র বর্তমান বর্ধিত মূলধনের আলোকে তরলীকৃত করে প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানীর ৩য় প্রান্তিক ০১ জুলাই,২০২৩ হতে ৩১ মার্চ,২০২৪ পর্যন্ত ০৯ মাসে ইপিএস ২ টাকা ৭১ পয়সা হয়েছে যার বিপরীতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ শতাংশ।
পূর্বের পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৬ টাকা বা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫ শেয়ার অনুযায়ী ইপিএসের চলতি তৃতীয় প্রান্তিক ০১ জুলাই,২০২৩ হতে ৩১ মার্চ, ২০২৪, ০৯ মাস মেয়াদে তুলনামূলক চিত্র হতো ৯ টাকা ৮৩ পয়সা যার বিপরীতে পূর্ববর্তী বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। এক্ষেত্রেও চলতি প্রান্তিকে ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ টাকা ০৪ টাকা অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিক জুলাই,২০২৩ থেকে মার্চ,২০২৪, ০৯ মাস মেয়াদে কোম্পানীর রেভিনিউ ৭৫.৮৩ কোটি টাকা ও নীট মুনাফা ৯.২৩ কোটি টাকা যার বিপরীতে পূর্ববর্তী বছরে একই সময়ে রেভিনিউ ছিল ৬০.২৬ কোটি টাকা এবং নীট মুনাফা ছিল ৪.৫০ কোটি টাকা। রেভিনিউ ও মুনাফা যথাক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫.৫৭ কোটি টাকা এবং ৪.৭৩ কোটি টাকা অর্থাৎ ২৬ শতাংশ ও ১০৫ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এটলাস বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৯৭ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইএটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৩ জুলাই) এটলাস বাংলাদেশের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর হারানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। আর ইউনিটদর ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে যাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
বুধবার দরপতনের তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- খুলনা প্রিন্টিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, অ্যাপোলো ইস্পাত, সাইফ পাওয়ারটেক, সিকদার ইন্স্যুরেন্স, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামি মিউচুয়াল ফান্ড এবং ক্যাপিটেক গ্রামীন ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্স
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪১টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৩ জুলাই) ডিএসইতে খান ব্রাদার্সের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা কেডিএস এক্সেসরিজেড শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বুধবার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- পেনিনসুলা চিটাগং, ন্যাশনাল ফিড মিল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, বেঙ্গল উইনসোর, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স এবং সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৩ জুলাই) বিচ হ্যাচারির ১৬ কোটি ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ারের আজ ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১০ কোটি ৬৮ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
বুধবার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ওরিয়ন ইনফিউশন, সোনালী পেপার, ওরিয়ন ফার্মা, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, নাভানা ফার্মা এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত, বেড়েছে সূচক-লেনদেন
দীর্ঘদিন ধরে পতনের বৃত্তে আটকে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। এমন পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিরাজ করছে নানা রকম অস্থিরতা। টানা দরপতনের মধ্যে পরপর দুই দিন উত্থানে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এর মধ্যে গত দিনের তুলনায় সূচক আরও বাড়লো। এটি পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৮ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে ১১৮৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ১৯১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৬ বারে ১৭ কোটি ৭ হাজার ২২৯টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪১টি কোম্পানির, বিপরীতে ৯৭ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম