সারাদেশ
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ভোটগ্রহণ চলাকালে জালভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়ম হলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চতুর্থ ধাপে ৩৪.৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয় ৮ মে, যেখানে ভোটের হার প্রায় ৩৬ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ২১ মে ভোট পড়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ, গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে।
শেষ ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা-
রংপুর
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুইট। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তবিকুর চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।
অন্যদিকে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান লিটন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট।
ভোটগণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছা. শাহানাজ বেগম।
ফেনী
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে যশোর সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট।
যশোর জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জ: ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের খায়রুল হুদা চপল জয়ী হয়েছেন। ৭৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে জেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৫৪ ভোট। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯১ ও নারী ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪১ জন। হিজড়া একজন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৭৮টি।
বরগুনা: ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বরগুনার আমতলীতে গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও তালতলীতে মনিরুজ্জামান মিন্টু উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন, ১০ হাজার ৮৯১ ভোট। ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট বেশি পেয়ে গোলাম সরোয়ার ফোরকান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তালতলী উপজেলা পরিষদে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকততম প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট। এক হাজার ৯৮৩ ভোট বেশি পেয়ে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

ময়মনসিংহের ১৩টি আঞ্চলিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একই সংবাদ একই শিরোনামে প্রকাশ করায় সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা। এতে করে সাংবাদিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের নামে নোটিশ জারি করা হয়।
নোটিশপ্রাপ্ত পত্রিকাগুলো হলো- শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ, এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর, এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপাত্র, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈশিকা, নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা, আফসার উদ্দিন সম্পাদিত দৈনিক সবুজ, আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা, শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান, ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কৃষাণের দেশ, এম এ মতিন সম্পাদিত দৈনিক নিউ টাইমস, ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ ও বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা কর্তৃক কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, পত্রিকাগুলো ভিন্ন হলেও চলতি বছরের ৩০ মার্চ, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ এপ্রিল একই সংবাদ, একই শিরোনামে প্রকাশ করে। এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের নোটিশ জারির দিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে একই সংবাদ, একই শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
১৩ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের ঘটনা সাংবাদিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
আলোকিত ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদক ও ময়মনসিংহ সংবাদপত্র শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফারুক জানান, এরকম সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর মতো ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তবে সম্পাদকদের ডেকে নিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিলেই সবচেয়ে বেশি ভালো হতো। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে তারা সতর্ক থাকবেন তিনি।
আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক জানান, একই শিরোনামের সংবাদ একই ছাপাখানা থেকে একাধিক পত্রিকায় একাধারে কয়েকদিন প্রকাশিত হবে এটা পাবলিকেশন অ্যাক্ট পরিপন্থি। সংবাদপত্রের মান ধরে রাখতে এ বিষয়ে সবাকেই সচেতন হওয়া উচিত। এর আগেও এই সমস্যাগুলো নিয়ে সম্পাদকদের মধ্যে কথা হয়েছে, কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের নোটিশ কখনও তারা পাননি।
ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম উজ্জ্বল জানান, ময়মনসিংহে একই ছাপাখানা থেকে ১০-১২টি পত্রিকা ছাপা হয়ে থাকে। একজন রিপোর্টার এসব পত্রিকা নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, তথ্য অফিস ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিয়মিত তদারকি করা উচিত। দুই মাস তিন মাস পর পর মনিটরিং করা হলে এরকম অনিয়ম কখনও হবে না।
ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা জানান, একই শিরোনাম কয়েকটি পত্রিকায় একাধারে একই বিষয় নিয়ে প্রকাশিত হবে- এটা সংবাদপত্রের মূলনীতি পরিপন্থি। সংবাদপত্রের মাধ্যমে মানুষ সঠিক তথ্য পাবে। পত্রিকাগুলো অবশ্যই নিয়মের মধ্যে আসা উচিত।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা জানান, একই শিরোনাম একাধিক পত্রিকায় একাধারে ছাপা হওয়ার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর পত্রিকার সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে সম্পাদকরা এসে কেন এমন ঘটনা ঘটলো বিষয়টি অবহিত করলেই হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে এক বাংলাদেশি মো. আকরাম হোসেন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায়র লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এক সহযোদ্ধার ফোনে পরিবারের কাছে আকরামের নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা গেছে, ওয়েল্ডারের কাজ শিখে সংসারের সচ্ছলতা আর নিজের ভবিষ্যতের আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (২৫)। তিন ভাই ও দুই বোনসহ পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আকরাম ছিল সবার বড়। আকরামদের সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী দিন মজুর পিতা মোরশেদ মিয়া স্ত্রী, পূত্র ও কন্যা নিয়ে কোনরকমে দিনাতিপাত করছিলেন। এরই মধ্যে আকরামের একজন বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন আকরামের বাবা মোরশেদ।
এ অবস্থায় ওয়েল্ডারের কাজ শিখিয়ে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় বিগত প্রায় এগারো মাস আগে আকরামকে রাশিয়া পাঠানো হয়। রাশিয়ায় যাবার পর বিগত আট মাস সেখানকার একটি চায়না কোম্পানীতে ওয়েল্ডার হিসেবে চাকরি করে আকরাম। বেতন খুব বেশী না পেলেও তার উপার্জনে পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে। ফলে মোরশেদ মিয়ার অসচ্ছল পরিবারটি সচ্ছলতার স্বপ্ন বুনতে থাকে রাশিয়ায় প্রবাসী আকরামকে নিয়ে।
কিন্তু বিগত আড়াই মাস আগে আকরাম দালালের প্রলোভনে পড়ে রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে যুক্ত হয়ে অংশ নেন ইউক্রেন যুদ্ধে। রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ছবিও নিজের ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার স্বপ্নের যাত্রা।
এদিকে আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া জানান, কোম্পানিতে ভালো বেতন না পাওয়ায় দালালদের প্রলোভনে পড়ে বিগত আড়াই মাস আগে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে আকরাম যোগ দেন রুশ সেনাবাহিনীতে। শর্ত ছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সম্মুখসারিতে থাকার। এতে পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলে আকরাম জানিয়েছেন তার আর ফিরে আসার উপায় নেই। এরই মধ্যে আকরাম বাবাকে জানিয়েছিলেন তার রাশিয়ার ব্যাংক একাউন্টে ৪ লাখ টাকা জমা হয়েছে।
আকরামের মা মোবিনা বেগম জানান, যুদ্ধ চলাকালে ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও গত ১৩ এপ্রিল থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আকরামের । রাশিয়ায় অবস্থানর পরিচিতজনরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) তার এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, যুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। ফোনে জানানো হয় আকরামের ইউনিটের কয়েকজন যোদ্ধা ইউক্রেন বাহিনীর মিসাইল হামলায় মারা গেছেন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আকরামের পরিণতিও একই হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
আকরামের মৃত্যুর খবরে তার বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছেলের ছবি নিয়ে মা মোবিনা বেগম বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। শোকে হতবিহবল পরিবারের অন্য সমস্যরা।
নিহতের লাশ দেশে আনতে ও ক্ষতিপূরণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে আশুগঞ্জের যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি অবগত হয়েছি। নিহতের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ধুলিয়া মাদরাসা মাঠে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা মসজিদ পরিচালনার জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করেছি। এখন থেকে কেউ চাইলেই কোনো ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না। ইমাম নিয়োগেরও নীতিমালা হবে। ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতনের জন্য ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতনকাঠামো করা হবে।
কওমি সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমাদেরকে দেখতে হবে কওমির সনদ ও সুবিধা যারা নিতে চান তারা নিতে কতটা প্রস্তুত। তারা নিতে চাইলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি। মনে রাখতে হবে মাদরাসা হলো আল্লাহর রহমত। আল্লাহর ভয় থাকলে মানুষের মর্যাদা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মর্যাদা বাড়ানোর জন্য আমরা প্রতি বছর ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৪ জেলার সেরা ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করব।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ৮ মাস দায়িত্ব পালনকালে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এবার হজের খরচ প্রায় ১ লাখ টাকা কমানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি টাকায় এখন আর কেউ হজে যেতে পারবে না।
আর-রাহমান ফাউন্ডেশন ধুলিয়া ঘাটুয়া, আমিরপুর বানিয়াচংয়ের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধুলিয়া (র.)-এর সাহেবজাদা মাওলানা হাবিবুর রহমান।
অতিথি হিসেবে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদি, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা জুনাইদ আহমেদ কাটখালীসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৯

শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের আফাজ উদ্দিন মোল্লা বাজারে আলমগীর মাদবর ও মতি মোল্লার ছেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মতি মোল্লার ছেলেরা আলমগীর মাদবরের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আলমগীর মাদবরের স্ত্রী। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আলমগীর মাদবর, মালেক মোল্লা, খবির মোল্লা, খোকা মাদবর এবং আলমগীর মাদবরের শ্বশুরবাড়ি থেকে আসা মেয়ে শান্তনা। শান্তনার মা জানান, “মাত্র তিন মাস আগে আমার মেয়ের সিজার অপারেশন হয়েছে। তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে, অবস্থা গুরুতর।” আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মতি মোল্লার ছেলে কাদির মোল্লা, নাছির মোল্লা ও ইদ্রিস মোল্লাকে ভর্তি করা হয়েছে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে। কুদ্দুস মোল্লা সামান্য আহত হলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেকান্ত খাঁসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তারা জানান, “উভয় পক্ষকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করা হলেও উত্তেজনার কারণে কেউ কারো কথা শুনছিল না।”
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রাজৈরে সংঘর্ষ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের রাজৈরে ধারাবাহিকভাবে চলছে সংঘর্ষ। এমন ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংঘর্ষস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে একটি লিখিত আদেশে এ আইন জারি করেন রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুল হক।
আদেশে বলা হয়, প্রায় ৭ দিন ধরে রাজৈর বাজার সংলগ্ন পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশা গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত বিরতিতে দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে। এসব আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনে ফৌজদারি কার্যবিধি মতে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এ মোতাবেক রাজৈর বাজার, পশ্চিম রাজৈর, বদরপাশা এবং গোপালগঞ্জ এলাকায় এক বা একাধিক ব্যক্তি চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, মাইকের ব্যবহার, লাঠিসোঁটা বা যে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা এ আদেশ বহাল থাকবে। তবে দায়িত্ব পালনরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিতদের ক্ষেত্রে এ আদেশ শিথিল থাকবে বলে লিখিত আদেশে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুল হক বলেন, যে কোনো সময় আবার দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তাহলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে দুই দিন ধরে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এ সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার সময় চতুর্থ ধাপের সংঘর্ষ শেষে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিটিং করছিল পশ্চিম রাজৈর পক্ষ নেওয়া মজুমদারকান্দি গ্রামের লোকজন। খবর পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের দুটি গাড়ির ওপর ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় রাজৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা ও পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার শাহাবুদ্দিনের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর আগে, রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের দুপক্ষের লোকজনকে ডেকে মীমাংসার জন্য রাজি করান রাজৈর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওহাব আলী মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার সময় সালিশ মীমাংসার জন্য বসার কথা ছিল। এরই মধ্যে রোববার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের লোকজনের উসকানিমূলক কথাবার্তায় উত্তেজিত হয়ে আবারও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বদরপাশা গ্রামের লোকজন বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ১২টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে বদরপাশা গ্রামের বিক্ষুব্ধরা। একপর্যায়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে রাজৈর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে র্যাব মোতায়েন করা হয়।
দ্বিতীয় দিনের এ ঘটনায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মেহেদী মীর (২২), রাসেল শেখ (২৮), সাহাপাড়ার মনোতোষ সাহা (৫০), আলমদস্তারের তাওফিককে (৩৭) রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের পায়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে অপারেশন করা হয়। এছাড়া বাকি আহতরা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
উল্লেখ্য, ঈদ পরবর্তী গত ২ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বাজি ফাটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এ সময় ওই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা মিলে তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গত ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈর বেপারিপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন। পরে আহত জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান (৩১) বাদী হয়ে জুনায়েতকে প্রধানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে উভয়গ্রামের লোকজন। একপর্যায়ে গত শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে দুই গ্রাম পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুই ওসি ও অন্তত ১০ পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যসহ ২৫ জন আহত হন।