সারাদেশ
বরিশালে ঈদ উদযাপন করছে ৫ হাজার পরিবার

বরিশাল মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজী বাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৮টার পর থেকেই এ মসজিদে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। বয়ান, খুতবা পাঠের মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করেন। মসজিদে ঘিরে আলাদা এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
এ মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার সোমবার ঈদ পালন করছেন।
বরিশাল ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়া চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু জানান, আমাদের ওয়ার্ডে ঈদ পালন করছে প্রায় এক হাজার পরিবার।
মূলত, বুধবার যারা ঈদ পালন করছেন তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহসূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন। আর যেহেতু সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই সেখানকার সঙ্গে মিল রেখে তারাও ঈদ পালন করছেন।
এদিকে, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের এক হাজারের বেশি পরিবারে বুধবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে। জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের জাহাগিরি সুফী দরবারের প্রায় দুই হাজার অনুসারী রয়েছেন।
পটুয়াখালীর পাঁচ উপজেলায় ঈদ
পটুয়াখালীর পাঁচ উপজেলার মোট ২৮ গ্রামেও আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ওইসব গ্রামের অন্তত ১৪ হাজার পরিবার এই উদযাপনে অংশ নেয়।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ও বড় বিঘাই, গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা ও পশুরিবুনিয়া, রাঙ্গাবালী উপজেলার নিজ হাওলা ও কানকুনি পাড়া, বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, কনকদিয়া, কনকদিয়া, সাবুপুরা, বামনিকাঠি, বানাজোড়া ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ দেবপুর, পাটুয়া, মরিচবুনিয়া, নাইয়া পট্টি, নিশানবাড়িয়া, শাখাখালী, তেগাছিয়া, ছোনখোলা ও বাদুরতলী গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।
এসব গ্রামের ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় জেলার সদর উপজেলার বদুরপুর এলাকায়। গ্রামের বাসিন্দারা সবাই বদরপুর দরবার শরীফ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও এলাহাবাদ পীরের অনুসারী বলে জানা গেছে।
বদরপুর দরবার শরীফের পরিচালক নাজমুস সাহাদাত জানান, বুধবার সকাল ৯টায় জেলার সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামতি করেছেন বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম আব্দুল গনি।
এমআই

সারাদেশ
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে এই হামলা চালানো হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সারাদেশ
গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়ি বহরে হামলা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এসময় তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ইউএনওর গাড়ি বহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রা ও পথসভা করার কথা রয়েছে। তাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করে, পরে আমার গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
কাফি
সারাদেশ
গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিলো ছাত্রলীগ

দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রার কথা রয়েছে তাদের। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় হতাহতের তথ্য এখনও পাইনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
কাফি
সারাদেশ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলে আটক

বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
সোমবার (১৪ জুলাই) ভোরে মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে এ ট্রলার দুটি জব্দ করে বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ। পরে আটক ওই ট্রলার দুটি নিয়ে মোংলার দিগরাজের নৌঘাঁটির উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ট্রলার দুটিতে থাকা বিপুল পরিমাণ মাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। পরে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ভারতীয় ট্রলার ও জেলে আটকের খবর পেয়েছি। থানায় হস্তান্তর করার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
সারাদেশ
মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বিএনপি

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পৈশাচিকভাবে হত্যার শিকার বরগুনার সন্তান ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বরগুনায় শোকসভা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়ান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি।
রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শোকসভার মাধ্যমে সোহাগের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
এসময় নূরুল ইসলাম মনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাতে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, সোহাগ বিএনপির রাজনীতি করতেন। সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করে লাভ হবে না। একইসঙ্গে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নূরুল ইসলাম।
শোকসভায় জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।