জাতীয়
৭ জানুয়ারির মধ্যে হাদি হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী ৭ জানুয়ারি মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংখ্যা নিবিড় ও সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এবং প্রকৃত অপরাধী ও মদদকারীদের শনাক্তের জন্য এখনই সবকিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তদন্তের স্বার্থে যে অংশটুকু জনসমক্ষে প্রকাশ সম্ভব, তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মামলা চলাকালীন এযাবৎ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং ৪ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত রয়েছে তা উদঘাটনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য, সাক্ষীদের জবানবন্দি, উদ্ধার করা আলামত পর্যালোচনা ও সার্বিক বিবেচনায় মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে মামলার চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অতি দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য এবং যারা এর পেছনে জড়িত রয়েছে তাদের নাম, ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা জনসম্মুখে উন্মোচন করতে পারব ইনশাআল্লাহ। ইতোমধ্যে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। পরে তাকে দেশে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে) দাফন করা হয়।
এমকে
জাতীয়
উত্তরা-এয়ারপোর্ট সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ ইনকিলাব মঞ্চের
বিদেশগামী যাত্রীদের বিবেচনায় রাজধানীর উত্তরা-এয়ারপোর্ট এলাকায় শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরতদের উত্তরা-বিমানবন্দরের মূল সড়ক ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটি বলছে, বিচার দাবির আন্দোলন চললেও সাধারণ মানুষের বিদেশযাত্রা ব্যাহত করার কোনো সুযোগ নেই। এয়ারপোর্টে যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখা আন্দোলনের নৈতিক দায়িত্বের অংশ।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে শাহবাগের কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের উত্তরা এলাকায় অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দেন।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা পৌঁছাতে চাই। উত্তরা যারা অবস্থান গ্রহণ করেছেন আমার ভাইয়েরা, আপনাদের উদ্দেশে আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে একটা বার্তা দিতে চাই। আপনারা দয়া করে এয়ারপোর্টে যাওয়ার যে রাস্তা, সেই রাস্তা আটকাবেন না। আপনারা ঠিক রাস্তার অন্য পাশে অবস্থান করবেন। কোনো ভাইয়ের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, সেই ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, উত্তরা থেকে এয়ারপোর্টে যাওয়ার দিকের যে রাস্তা, আপনারা দয়া করে সেই রাস্তাটা ছাড়বেন। সেই রাস্তা কেউ কোনোভাবে আটকে রাখবেন না। কারো যাতে কোনো ফ্লাইট মিস না হয়, সেজন্য আপনাদের একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন।
জাতীয়
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে প্রায় ৯ লাখ প্রবাসীর নিবন্ধন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ১৫৫ জন নিবন্ধন করেছেন।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ইসির ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ১ হাজার ৪৩৫ জন ও নারী ৯১ হাজার ৭১৮ জন। প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৯০ জন নিবন্ধন করেছেন।
যেসব দেশে নিবন্ধন চলছে তার মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, বাংলাদেশ ইত্যাদি।
ইসি জানিয়েছে, অ্যাপে নিবন্ধনকারীদের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভোটার ভোট দিয়ে ফিরতি খামে তা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়
হাদি পরিবার থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না কেউ
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের কেউ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। ওসমান হাদির শাহাদাতের পরে তার আসন থেকে কে নির্বাচন করবেন সে নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছিল। হাদি পরিবার থেকে ওসমান হাদির বড় বোনের নাম শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এবার পারিবারিক সিদ্ধান্তে কেউ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে জানা গেছে। শহীদ ওসমান হাদির শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাদি পরিবার।
ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর হাদি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি।
বিএনপির মির্জা আব্বাস এবং জামায়াতের হেলালুদ্দিনের বিপরীতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি। সে লক্ষ্যে কাজও করছিলেন। প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন ওসমান হাদি। নির্বাচনী এলাকার জনগণও ওসমান হাদিকে আপন করে নিয়েছিলেন। আপামর সাধারণ জনতা টাকা, সাহস ও সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করছিলেন। কেউ কেউ বাসা থেকে ময়লা পানি ফেললে ওসমান হাদি তাদেরকেও আপন করে নিয়েছিলেন।
ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর হাদি বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারের নির্বাচনে আমরা পরিবার থেকে কেউ অংশগ্রহণ করছি না।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে পল্টন এলাকায় গুলিকাঘাতে আক্রান্ত হন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি। এরপর দেশে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু দেশে সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর শাহাদাত বরণ করেন ওসমান হাদি। ১৯ ডিসেম্বর তার লাশ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ২০ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে ওসমান হাদিকে সমাহিত করা হয়।
জাতীয়
ভারতে সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এ উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি, নির্বিচার আটক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
মাহবুবুল আলম বলেন, চলতি মাসে ভারতের ওড়িশায় মুসলিম যুবক জুয়েল রানাকে নৃশংসভাবে হত্যা, বিহারে মুহাম্মদ আতাহার হোসেনের হত্যাকাণ্ড, কেরালায় বাংলাদেশি সন্দেহে এক নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা এবং বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপর গণপিটুনি ও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপনকালে ভারতের বিভিন্ন স্থানে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণ-সহিংসতার ঘটনাতেও বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনাকে আমরা ঘৃণাজনিত অপরাধ ও লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতা হিসেবে দেখি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে। প্রত্যেক দেশেরই দায়িত্ব তার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা।
জাতীয়
ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, স্বীকার করলো পুলিশ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত ফয়সাল দেশের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালেই ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডটি সম্পূর্ণভাবে পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ফয়সালসহ আরও একজন ময়মনসিংহ হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পলাতক রয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দ্রুতই এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ৭–৮ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র সম্পূর্ণভাবে দাখিল করা সম্ভব হবে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার সময়, মোটরসাইকেলে থাকা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত অবস্থায় গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা ও বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহারের। হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের নির্দেশ দেন।
এমকে




