রাজনীতি
মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল ও সংকটময়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এই কঠিন সময়ে মায়ের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়া চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় তাকে প্রথমে সিসিইউ এবং পরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার অবস্থা বর্তমানে এমন পর্যায়ে যে তার উন্নতি হয়েছে-এমনটি বলার অবকাশ নেই। তবে মহান আল্লাহর রহমতে এই সংকটময় মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারলে ভালো কিছুর আশা করা যেতে পারে।
এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর থেকেই তারেক রহমান মায়ের চিকিৎসার বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করছেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনভর নানা কর্মসূচি শেষে তিনি পুনরায় হাসপাতালে গিয়ে দীর্ঘ সময় মায়ের পাশে অবস্থান করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান। তারা দীর্ঘক্ষণ মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট গ্রহণ করেন। রাত ১২টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
তারেক রহমান হাসপাতালের অন্য রোগীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। ডা. জাহিদ হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত সচেতন যে কোনোভাবেই যেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয়। এ কারণে তিনি নেতাকর্মীদের অতিউৎসাহী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ ও অনুরোধ জানিয়েছেন।
বর্তমানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বেগম জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। তারেক রহমান ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি প্রান্তে থাকা মানুষের কাছে দেশনেত্রীর জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।
এমকে
রাজনীতি
খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মনোনয়ন জমা দেবেন আগামীকাল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে আগামীকাল সোমবার। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। বেলা ১১টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এ মনোনয়ন জমা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
এতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার।
একই দিন দুপুর ১২টায় বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে এবং বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।
এছাড়া ফেনী-১ সংসদীয় আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু।
এর আগে আজ রোববার দিনাজপুর-৩ সংসদীয় আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি মহাসচিব ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব প্রার্থী নিজ নিজ সংসদীয় আসনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
রাজনীতি
কেউ পদত্যাগ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: নাহিদ ইসলাম
কেউ এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মীরা এনসিপির সঙ্গেই আছেন, যারা পদত্যাগ করছেন বা পরিকল্পনা করছেন তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কথা বলবে এনসিপি।’
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সোমবার মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমঝোতার ভিত্তিতে আমাদের যারা প্রার্থী তারাই মনোনয়ন জমা দেবেন। সারা দেশে আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং সহযোগী সংগঠন গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে। যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে না সেখানে জোটের যারা প্রার্থী থাকবেন তাদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষেই প্রচারণা চালাবে এনসিপি।’
আসন্ন নির্বাচনে এককভাবেই অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পরবর্তীতে শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। আধিপত্যবাদী শক্তি এখনো দেশে আছে। তারা চায় নির্বাচন বানচাল করে জুলাই যোদ্ধাদের শেষ করে ফেলতে। তাই এমন পরিস্থিতিতে এনসিপি বৃহত্তর ঐক্যের জন্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় এসেছে।’
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এবং বৃহত্তর ঐক্যের জন্য ১০ দলীয় জোটে অংশ নিচ্ছে এনসিপি।
নাহিদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনে দৃঢ় অবস্থানে ছিল এনসিপি। এটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা চাই গণভোটের পক্ষে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি করতে। আমরা বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমরা চাই দেশ গঠনের জন্য জুলাই সনদ অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে।
এদিকে, ডা. তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীনের পদত্যাগে দলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফ্যাসিবাদী আমলের নিপীড়নমূলক মামলায় জামিন নিতে আদালতে যান আখতার হোসেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দলের ভেতর ভিন্ন মত থাকবে, তা আমরা স্বাগত জানাই। একটা রাজনৈতিক দলে পদত্যাগ এবং যোগদান খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ব্যক্তির সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই, সমর্থন করি।
রাজনীতি
তিন লক্ষ্য সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে জোটে গেলো এনসিপি
ইসলামী ৮ দলসহ জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জোট হচ্ছে তিনটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, অপরাধীদের বিচার এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এই বৃহত্তর লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী দিনে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, এনসিপির যোগদানের দিনের এই সংবাদ সম্মেলনে আটটি দলের শীর্ষ নেতাসহ কর্নেল অলি আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। বিবিসি জানিয়েছে, এনসিপির কোনো নেতা সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না।
জামায়াতের আমির বলেন, এনসিপির সঙ্গে কিছুক্ষণ আগেই আমাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা আমাদের সঙ্গে এই সমঝোতা বা জোটে যুক্ত হয়েছে। তারা আজ রাতের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে সেই ঘোষণা দেবেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের মজবুত নির্বাচনী সমঝোতা।’
এদিকে, জামায়াতের সঙ্গে জোটে অংশ নেওয়ার আলোচনার প্রেক্ষাপটে গত দুইদিনে এনসিপির পরপর শীর্ষ পর্যায়ের দুইজন নেতা তাসনিম জারা ও তাসনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া আরো ৩০ জন নেতা এনসিপির নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
রাজনীতি
আরও এক আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। এই আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারকে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) গোলাম আকবর খোন্দকারের ছেলে তারেক আকবর খোন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৬ আসনে আজ (রবিবার) গোলাম আকবর খোন্দকারকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনীত কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছিলেন।
রাজনীতি
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপির আরেক শীর্ষ নেত্রী
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
মনিরা শারমিন লিখেছেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আঙ্কাক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিলো। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিলো। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের থেকে গণঅভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও লিখেন, আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলিনি বা করিনি যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।




