সারাদেশ
হাবিব উল্যা ডিগ্রি কলেজে পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা
শরীয়তপুরের সখিপুরে অবস্থিত হাবিব উল্যা ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের বহুপ্রতীক্ষিত পুনর্মিলনী উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশে এই সভাটি সম্পন্ন হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, জেলা বিএনপির সভাপতি এবং শরীয়তপুর-২ আসনের পদপ্রার্থী শফিকুর রহমান কিরন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান কিরন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবেগঘন স্মৃতি চারণ করেন। তিনি বলেন, এই কলেজটি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; এটি আমাদের সবার স্মৃতি, ঐতিহ্য ও আদর্শের প্রতীক। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যকার এই ঐক্যই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি আসন্ন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল:
অতিথি আমন্ত্রণ: গুণীজন ও প্রবীণ শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান।
সাংস্কৃতিক আয়োজন: প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সার্বিক শৃঙ্খলা: অনুষ্ঠান চলাকালীন নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ।

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সভায় কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি, পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সবাই একযোগে কাজ করে একটি সফল ও মিলনমুখর পুনর্মিলনী উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সারাদেশ
সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে আগুনে নিহত ১, জীবিত উদ্ধার ১৫
কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে সেন্ট মার্টিনগামী ‘দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ’ নামের একটি জাহাজে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাজের এক কর্মচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় ক্রুসহ জাহাজের ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মৃত নুর কামাল (৩৫) ওই জাহাজের কর্মচারী ছিলেন এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় একটি কক্ষে তিনি ঘুমন্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, আজ সকালে যাত্রী পরিবহনের জন্য ঘাটে নোঙর করার আগমুহূর্তে জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এ সময় নদীর মোহনায় দাও দাও করে জ্বলতে থাকে জাহাজটি। এ ঘটনায় জাহাজের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়। আর ট্রলার ও স্পিডবোটে করে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জাহাজের ক্রুসহ ১৫ জনকে।
এদিকে, এ প্রতিবেদন লেখার সময় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো অগ্নি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক টিম।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, জাহাজের এক কর্মচারীর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যিনি একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। আর কেউ আছেন কিনা খোঁজা হচ্ছে, আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
সি ক্রুজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ১৯৪ জন পর্যটকের আজ এই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল। সৌভাগ্যবশত কেউ জাহাজে উঠেননি, ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের একটি অংশকে অন্য জাহাজে করে ধারণ ক্ষমতা অনুপাতে সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আগামীকাল যাবেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা অন্য কোন কারণে আগুন লেগেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে আগুনের ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজে আগুন লাগার কারণ জানতে ৫ সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিকেলে জাহাজ মালিকদের সঙ্গে সভার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়, ১২টি নির্দেশনা মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক পরিবহনের জন্য ৬টি জাহাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়েছে।
এমকে
সারাদেশ
ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসরাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থেকে খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং আরও দুইজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ, স্থানীয় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সারাদেশ
পাগলা মসজিদের ১৩ দানবাক্সে মিললো ৩৫ বস্তা টাকা
তিন মাস ২৭ দিন পর কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদী তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩ লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় দানবাক্স খুলে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারীসহ চার শতাধিক মানুষের একটি দল এসব বস্তাভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নিচ্ছেন। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার ৩ মাস ২৭ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়। এ কারণে এবার নতুন করে বসানো হয়েছে আরও দুটি দানবাক্স।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ৪ মাস ১৮দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
এছাড়াও এসময় বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।
এমকে
সারাদেশ
সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ভয়াবহ আগুন
কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজে আগুন লেগেছে। জাহাজটির নাম ‘দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ’।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, এখন পর্যন্ত কোনা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন, আগুন নির্বাপণের কাজ চলছে, জাহাজটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যটকরা জাহাজে ছিলেন না।
এমকে
সারাদেশ
জাতীয় স্মৃতিসৌধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঢেকে ফেলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার চাদরে।
সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্মৃতিসৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ। ৯টা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে স্মৃতিসৌধের ভিতরে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এছাড়াও জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তর ছাড়াও স্মৃতিসৌধের গেট ও সংলগ্ন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধের সামনে ভিড় করতে শুরু করেছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ মুহূর্তে তারা স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, ‘সকাল থেকে স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণ ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে সিএসএফ স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফিরে যাওয়ার পর স্মৃতিসৌধ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।




