জাতীয়
তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি বাধা নেই: ইসি মাছউদ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন। ইসি মাছউদ বলেন, ইসি চাইলে যেকোনো সময় যে কাউকে ভোটার করতে পারে।
এরই মধ্যে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তারেক রহমান বগুড়া ৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরই মধ্যে তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরাec
প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গ্রহণ করেছেন গণসংবর্ধনা। সেখানে উপস্থিত লাখো নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোটার হবেন।
জাতীয়
হাদি হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
ইনকিলাব মঞ্চের শহীদ মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থী-জনতার ঢল নেমেছে। তারা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ এসে অবস্থান নেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক জনসমাগম সৃষ্টি হতে থাকে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা ওসমান হাদি হত্যার বিচার চেয়ে নানা স্লোগান দেন।
অবরোধে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘সুশীলতা অনেক হয়েছে। সুশীলতার কারণে ওসমান হাদির রক্ত এই জমিনে ঝরেছে। আমাদের আর পেছনে যাওয়া চলবে না। আমাদের এই রাজপথ শহীদের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের যারা উপদেষ্টা তারা এখানে এসে জনগণের সামনে না দাঁড়াবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাবো না।’
জাবের ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে তারা শাহবাগ চত্বরে রাত্রিযাপন করবেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। এরপর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
জাতীয়
হাদি হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর এ কর্মসূচি করা হবে। একই সঙ্গে দোয়া-মোনাজাত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চ ও ওসমান হাদির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী, ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার রূপকার শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ও তার রুহের মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারাদেশে দোয়া-মোনাজাত ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের পর গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাকে বাঁচানো যায়নি। গত ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর তার মরদেহ দেশে আনা হয়। ২০ ডিসেম্বর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
জাতীয়
গ্যাসের চাপ কম থাকবে তিন দিন
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্গোর বিলম্বজনিত কারণে এলএনজি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় আজ শুক্রবার এবং আগামী দুদিন (শনি-রোরবার) গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বার্তায় বলা হয়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহক প্রান্তে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
জাতীয়
১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই: শফিকুল আলম
মৌসুমের সবচেয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের সমাগম দেশের মানুষের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির এক স্পষ্ট প্রমাণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিমত জানান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট এখন আর মাত্র সাত সপ্তাহ দূরে- ৪৯ দিন। নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে আমার কখনোই সংশয় ছিল না; যদিও কিছু সময়ে আমাকে নিজের উচ্ছ্বাস সংযত করতে হয়েছে। তবে, গতকালের ঘটনাবলি সমালোচকদের মনে থাকা শেষ সন্দেহটুকুও দূর করে দিয়েছে- ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে কি না, সে প্রশ্ন আর নেই।
প্রেস সচিব স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, এক-দুদিনের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। এরপর হাজার হাজার প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন। ছাপাখানাগুলো পুরোদমে চালু হবে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে শুরু হবে নির্বাচনকেন্দ্রিক বিতর্ক, যার প্রতিধ্বনি পৌঁছে যাবে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত।
শেষে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ গভীর ক্ষত বহন করছে। একটি ক্রমেই প্রশস্ত হয়ে চলা বিভাজন, যা নিরাময় করতে পারে একমাত্র একটি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ।
জাতীয়
কারাবন্দিরা ভোট দেবেন যেভাবে
ভোটার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা কারাগার বা আইনি হেফাজতে থাকলেও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এসব ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন হবে। এ ধরনের ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার হবে। জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দুজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবেন যারা নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করবেন।
এতে বলা হয়, আগ্রহী ভোটারদের নিবন্ধন শেষে জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ মুদ্রিত তালিকা সিল ও স্বাক্ষরসহ নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। একইসঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য (.xls/.csv ফরম্যাট) আপলোড করবেন। নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। নির্বাচন কমিশন হতে প্রাপ্ত এই খামে থাকবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার, ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি ও একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা সংবলিত একটি ফেরত খাম।
এতে জানানো হয়, জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারদের ভোটদানের জন্য ভোটকক্ষ বা গোপন কক্ষ প্রস্তুত করে ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু বরাদ্দকৃত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ ভোটারদের কাছে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক-সংবলিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সরবরাহ করবে।
সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটাররা মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। একইভাবে গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো ভোটার স্বাক্ষর করতে অক্ষম হন, তবে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।
ভোটার পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট পেপার দু’টি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন। ব্যালট পেপার-সংবলিত খাম এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে প্রবেশ করার পর খামটি বন্ধ করে তা সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।
ভোটদান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সকল খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত সকল খাম নিকটস্থ ডাক বিভাগের কাছে প্রেরণ/হস্তান্তর করবেন। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত খামগুলো দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন। এই খাম পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রদান করতে হবে না। এটি সরকার পরিশোধ করবে।




