রাজনীতি
তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলে তার জন্য প্রস্তুত গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তিনি।
এরপরই তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছি।
মির্জা ফখরুল এরপর আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জয়ী হবো।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে আনন্দের জোয়ার বইছে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সবাই মিলে এক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে।
উদাত্ত কণ্ঠে জনতার উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই কান্ট্রি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।
২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকেই বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অর্জন: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক অর্জনে সীমাবদ্ধ করতে নয়, বরং বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক অর্জনে সীমাবদ্ধ করতে নয় বরং বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবেই মূল্যায়ন করতে চাই। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমেও ঠেকিয়ে রাখা যায়না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।
রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তারেক রহমান ও তার পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, দীর্ঘ নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন, তা গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক উন্মুক্ত দলিল। তবে মনে রাখা জরুরি এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত, অসংখ্য আহতের ত্যাগ এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। এবং এই বাস্তবতা ক্ষমতার নয় বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াইয়ে প্রাপ্ত বাস্তবতা।
অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার, যেখানে রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হতে হবে না বরং রাষ্ট্রই তার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকবে না বরং, গণতন্ত্র হয়ে উঠবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করার সংজ্ঞা।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিসর ভেঙে আজ আমরা যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লড়াই। এই লড়াই যেনো কোনো ব্যক্তি বা দলের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব যেনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায় সেটা নিশ্চিত করাও প্রত্যেকটি রাজনীতিবিদের দায়িত্ব।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জনাব তারেক রহমানকে স্বাগত জানাই। বেগম জিয়া যেনো দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন সেই দোয়া করি। একইসাথে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে ভূমিকা রাখবেন এই কামনা করি।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
এমকে
রাজনীতি
গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে অসুস্থ মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িতে যান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় আসেন তারেক রহমান। পরে ৫টা ৫৪ মিনিটের দিকে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন। জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ফিট) গণসংবর্ধানাস্থল থেকে তিনি এভারকেয়ারে আসেন। হাসপাতালে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন তারেক রহমান। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে গুলশানের উদ্দেশে রওনা দেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। ফিরে এভারকেয়ার হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের কাছে ছুটে যান। যেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তারেক রহমান আইসিইউ কেবিনে অবস্থান করে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আইসিইউ কেবিনের বাইরে অপেক্ষমাণ অবস্থায় দেখা যায় বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে। তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করেন।
এদিকে তারেক রহমানের আগমন ঘিরে সকাল থেকেই হাসপাতালের গেটে অবস্থান নেন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে তারেক রহমানকে বহন করা গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার সময় কর্মী-সমর্থকদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। এসময় দলীয় পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় স্লোগান দিতে নিষেধ করা হয়েছিল।
এর আগে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রথমে ফুল দিয়ে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একে একে আলিঙ্গন করেন। এ ছাড়া উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
পরে তারেক রহমানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন তার শাশুড়ি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই ইতিবাচক প্রতিফলন: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। তার ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
‘তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।’
তিনি আরও লেখেন, আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।
এমকে
রাজনীতি
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এভারকেয়ার ছাড়লেন তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে প্রথম দিনেই অসুস্থ মা খালেদা জিয়ার পাশে সময় কাটাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটানো শেষে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে গুলশানে নিজ বাসভবনের উদ্দেশ্যে এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান।
এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমান হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ আগে সেখানে পৌঁছান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটের সামনে পৌঁছালে তিনি বাস থেকে নেমে যান। এরপর সেখান থেকে হেঁটে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এর আগে, গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, সন্তান হিসেবে আমার মন আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে, সেই হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু সেই মানুষটি যাদের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন— অর্থাৎ আপনারা, এই মানুষগুলোকে আমি কোনোভাবেই ফেলে যেতে পারি না। সেজন্যই আজ হাসপাতালে যাওয়ার আগে আপনাদের প্রতি এবং টেলিভিশনগুলোর মাধ্যমে যারা সমগ্র বাংলাদেশে আমাকে দেখছেন—আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আজ আমি এখানে দাঁড়িয়েছি।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো: আখতার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরায় দেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এমনটিই জানিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ তথ্য জানান।
আখতার হোসেন বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব মনে করেন, তারেক রহমান দলীয় রাজনীতির বাইরে জাতীয় রাজনীতিতে কী ভূমিকা রাখেন, সেদিকে সবার নজর থাকবে।
বিবিসিকে আদিব বলেন, ‘তারেক রহমান নির্বাসনে থেকে তার দল বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে তিনি কীভাবে ভূমিকা রাখেন, সেটি একটি বড় বিষয়।’
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তার পোস্টটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।
আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।
এমকে




