জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন: ইসি
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে ইসির এখন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ সম্পন্ন। ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হলে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বিদেশ থেকে আনা ভোটের কালি এসে পৌঁছেছে। এটি নির্বাচন প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভোটের আগে প্রয়োজনীয় প্রায় সব মৌলিক কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। যখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তখন থেকেই ভোটের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। ভোটের মাঠে সবাই নেমে গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচিত সরকার ও গণতান্ত্রিক ধারার প্রবর্তন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন আসবে না। তাই এবারের নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের কারণে জনগণের মধ্যে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি কাটিয়ে ওঠাই এবারের কমিশনের প্রধান লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
তিনি আরও বলেন, ভালো নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প নেই। জাতির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এবারের ভোটকে জনগণের জন্য উৎসবে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।
ইসি সচিবালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বাসসকে জানান, নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ মৌলিক প্রস্তুতির সবকিছুই নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে।
ইসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসে ভোটার বেড়েছে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এর আগে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ থাকবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আইন সংশোধনের কাজও সম্পন্ন করেছে ইসি। গত ৩ নভেম্বর সরকার ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী বিধান।
সংশোধনের মূল দিকগুলো হলো— আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামি প্রার্থী হতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ড) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একক প্রার্থীর আসনে ‘না ভোট’ পুনরায় চালু করা হয়েছে। সমান ভোট পেলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হবে। জোটগত নির্বাচনে নিজ দলের প্রতীকে ভোট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্বাচনী জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আচরণবিধি লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি দেড় লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড।
অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া হয়েছে। আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে অনিয়ম হলে সেটি নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এগুলো হলো— জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) ‘কাঁচি’ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। তিন দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি চূড়ান্তভাবে দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষসহ মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবার প্রথমবারের মতো পোস্টাল ভোটিংয়ের সুযোগ থাকছে। এ লক্ষ্যে ‘পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ’ চালু করা হচ্ছে। এটি উদ্বোধন করা হবে ১৬ নভেম্বর।
ইসি সচিব জানিয়েছেন, অ্যাপে নিবন্ধন করে প্রবাসী ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। কতদিন পর্যন্ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া খোলা থাকবে, সেটি উদ্বোধনের সময় ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপ শুরু হতে পারে।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হবে।
আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, আমরা চাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক উৎসবে পরিণত হোক। জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই। সারাদেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখনো নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, বিদেশে প্রচলন আছে টেলিভিশনে কাকে আপনি টকশোতে আনবেন, যাকে আপনি টকশোতে আনবেন তিনি অত্যন্ত সত্যবাদী মানুষ এবং তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে এটার বিপরীত। একটা লোক যদি ডাহা মিথ্যা কথা বলে, তাকে আপনি টকশোতে আনছেন। কারণ তাকে আনলে আপনার টকশোটা গরম হবে। টিভির জনপ্রিয়তা বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘টিভি হিসেবে আপনি জোর করে তাকে দিয়ে বলা মিথ্যা কথাটা জনগণকে দিচ্ছেন। এ মিথ্যা প্রচারিত হচ্ছে, সারাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি এগুলো জেনেও তাকে আপনি ডেকে আনছেন। আমরা মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা সেন্টমার্টিন নিয়ে এমন কোনো মিথ্যাচার বাদ যায়নি যা বলা হয়নি। আমরা উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা মিনিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যাচার দেখছি, সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। সুতরাং এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, আমাদের এ সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে। সংস্কার কমিশনের কাজও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কী পরিমাণ সংস্কার হয়েছে তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। আর গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স নেই। আর বাংলাদেশে অনেক আগে থেকে মব ভায়োলেন্স ছিল। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এখন সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। যারা মব বায়োলেন্স ভয় পান বা এসব নিয়ে কথা বলেন তাদের ভেতরে দুর্বলতা আছে। তারা স্বৈরাচারের দোসর।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘৯ মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রীয়াজ পালিয়ে গেছেন বলে এক ব্যক্তি বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন। কিন্তু এ টাকার হিসাব তিনি কোথায় পেলেন আমার জানা নাই। এখন ডাহা মিথ্যা বললে অনেকের জনপ্রিয়তা বাড়ে। তাই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকে মিথ্যাচার করে থাকেন।’
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
আ.লীগের সুবিধাভোগীরা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন তারা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সারাদেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কেউ থামাতে পারবে না।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোণা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন হবে। সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে।
শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে জনগণের কাছে সরকারের কার্যক্রমের সঠিক ও ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সরকারের সঙ্গে গণমাধ্যমের পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া আরও দৃঢ় করতে হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যম আমাদের অন্যতম সহযোগী শক্তি। সভায় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন। তারা স্থানীয় সমস্যা, সম্ভাবনা ও পেশাগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকতা পেশার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
জাতীয়
সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মারা গেছেন
দিনাজপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত আবুল হাসান মাহমুদ আলী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তিনি পরিবার-পরিজনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বেও ছিলেন।
জাতীয়
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
আজ ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের যৌথ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অরাজকতা ও অনিশ্চয়তার ঘোর কাটিয়ে বাংলাদেশে সূচিত হয়েছিল নতুন যাত্রা। সেদিন রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তায় নেমে আসে হাজারো মানুষ, উদযাপিত হয় সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যার পরপরই রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
ওইদিন জাতি আবারও শুনেছিল তার কণ্ঠ- ‘আমি জিয়া বলছি’। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে যে কণ্ঠে জাতি শুনেছিল স্বাধীনতার আহ্বান, আবারও সেই কণ্ঠে তারা শুনেছিল আশ্বাসের সুর। মুহূর্তেই জেগে উঠেছিল ১৯৭১ সালের মুক্তির প্রেরণা, যেন বুকের ভার নেমে গিয়েছিল- এক স্বস্তির নিঃশ্বাসে মুখরিত হয়েছিল দেশ।
স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব ও বিজয়ের মিছিলে ভরে গিয়েছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তা। সৈনিক ও সাধারণ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে উচ্চারণ করেছিল: ‘সিপাহী-জনতা ভাই ভাই; বাংলাদেশ জিন্দাবাদ; মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ; সিপাহী-জনতা এক হও।’
ইতিহাসের এই দিনটি তাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে পরিচিতি পায়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশকে ভূরাজনৈতিক, সম্প্রসারণবাদী ও নব্য-ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রের জাল থেকে মুক্ত করেন। জাতীয় সংকটের সেই ভয়াল মুহূর্তে দেশপ্রেমিক বিপ্লবী সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের পরাস্ত করে জেনারেল জিয়াকে নেতৃত্বে আনেন।
৭ নভেম্বরের পর থেকেই আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও স্বাতন্ত্র্যবোধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশি জাতীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়ের বিকাশ শুরু হয়। নতুন ভোরের সেই ইতিহাসের নায়ক হয়ে ওঠেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন থেকে র্যালি বের করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। ওইদিন সারাদেশে বিএনপির উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ৫ নভেম্বর আলোচনা সভা, ছাত্রদল ৮ নভেম্বর আলোচনা সভা (৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী), ওলামা দল ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, তাঁতীদল ১০ নভেম্বর আলোচনা সভা, কৃষকদল ১১ নভেম্বর আলোচনা সভা, জাসাস ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে ১২ নভেম্বর দুপুর ২টায় বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়
৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিলো ইসি
৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া, আরও ১৬টি সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানতে চেয়ে ১৫ কার্যদিবস সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানায়।



