জাতীয়
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাফল্যে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
সাফল্যের সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করায় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় তিনি তাদের অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না। এজন্য সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয়। গতকাল ৩১ অক্টোবর এর মেয়াদ শেষ হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বরাতে সুচিস্মিতা তিথি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে। এমন কিছু পরিবর্তন, যা এ দেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না। এমন কিছু পরিবর্তন, যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধু রাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এ কারণেই সব রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদেরকে সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতৃবৃন্দকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই জুলাই সনদ সারাবিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন দেশ গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি যারা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন- তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে, এই জাতীয় ঐক্য আমাদের ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানান ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
জাতীয়
পথে পথে নেতাকর্মীদের ভিড়, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেট এসে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
উড়োজাহাজটি যাত্রাবিরতি শেষে সিলেট থেকে রওনা হয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরের ইনকামিং ও আউটগোয়িং সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখর পুরো বিমানবন্দর সড়ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই পুরো বিমানবন্দর এলাকা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢেকে দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মিরপুর থেকে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, পথে পথে লাখো নেতাকর্মী। সবার গন্তব্য বিমানবন্দর। সড়কে সারি সারি গাড়ির বহর। ব্যানার ফেস্টুন হাতে মিছিলে মিছিলে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে সড়কে। কুড়িল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ সেনাবাহিনী সদস্যদের।
নিরাপত্তা জোরদারে বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট ও গুলশানসহ রাজধানীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে আনসার গার্ডের নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ও পেট্রোল ডিউটিতে অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে মোতায়েন রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় পর্যাপ্তসংখ্যক গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে সাধারণ যাত্রী ও বিদেশগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন যান চলাচল সীমিত থাকার কারণে।
জানা গেছে, দেশে ফেরার পর তারেক রহমান যাতায়াতের সময় পাবেন পুলিশি পাহারাসহ বিশেষ নিরাপত্তা। এ ছাড়া তার বাসভবন ও অফিসে থাকবে নিরাপত্তা। পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তারেক রহমানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকসের পদত্যাগ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়ে গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গেজেটে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে খোদা বকশ চৌধুরীকে বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
জাতীয়
আজ যেসব সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, তারেক রহমানকে অভ্যর্থনাকারীরা কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন করতে পারবেন না। তারেক রহমানের গাড়িবহরে কেউ যুক্ত হতে পারবেন না। মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান, বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান বা চলতে পারবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান বাসভবন যাবেন।
এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অতিরিক্ত জনসমাগম হবে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় কিছু বিষয় প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
১. বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনা স্থান, সংবর্ধনা স্থান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় অভ্যর্থনাকারীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গমনাগমনের সময় গাড়িবহর চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
২. বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর এবং কুড়িল থেকে মস্তুল পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে পরিহার করে কিছু বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে-
(ক) আব্দুল্লাহপুর-কামারপাড়া-ধউর ব্রিজ-পঞ্চবটি-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(খ) উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারী নাগরিকদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউজ বিল্ডিং-জমজম টাওয়ার-১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন-উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে ১৮ নম্বর সেক্টর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেঁড়িবাধ হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(গ) গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রী সাধারণ কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/ পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(ঘ) মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহন মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(ঙ) কাঞ্চন ব্রিজ থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আগত যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ের মঞ্চল থেকে বামে টার্ন নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে (এম ব্লক, স্বদেশ প্রোপার্টি লিমিটেডের পাশের রাস্তা) মাদানী অ্যাভিনিউ হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(চ) তেজগাঁও-মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত যানবাহন মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে মেট্রোরেলের নিচের রাস্তা দিয়ে উত্তরা এলাকায় চলাচল করতে পারেন।
(ছ) যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর গমনাগমনকারী ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন।
(জ) হজযাত্রীসহ বিদেশগামী যাত্রী সাধারণকে এয়ারপোর্ট গমনাগমনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
(ঝ) মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
(ঞ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিদের কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
(ট) অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা কোনো যানবাহন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
(ঠ) অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান, বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না।
(ড) জরুরি পরিসেবায় ব্যবহৃত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স/ ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি) এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।
(চ) বিদেশগমনকারী যাত্রীদের সঙ্গে এয়ার টিকিট থাকতে হবে এবং যাত্রীদের সঙ্গে কোনো সহযোগী থাকবে না।
(ণ) নতুন বাজার থেকে গুলশান-২ গামী এবং গুলশান-২ থেকে নতুন বাজারগামী রাস্তা পরিহার করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
অভ্যর্থনা জানাতে আগত নেতাকর্মীরা যেসব স্থানে গাড়ি পার্কিং করবেন
১. টঙ্গী জয়দেবপুর রোড হয়ে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা মাঠ।
২. সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে কাঞ্চনব্রিজ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হতে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা পূর্বাচল নীলা মার্কেট বা পূর্বাচল বাণিজ্য মেলা মাঠ।
৩. বাবুবাজার ব্রিজ এবং বসিলা ব্রিজ থেকে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ।
৪. আমিন বাজার-গাবতলী হয়ে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর, দিয়াবাড়ি পশুরহাট মাঠ (বউবাজার)।
৫. মাওয়া রোড, বুড়িগঙ্গা ব্রিজ হয়ে আগত গাড়িগুলো পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা।
এসব ডাইভারশন ২৫ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকে কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
জাতীয়
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশপ্রেম ও মানবতার মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার জন্য একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে পাঠানো এক বাণীতে এ আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে এ ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পৃথিবীতে শান্তি, ন্যায় এবং মানবমুক্তির বার্তা নিয়ে আগমন করেছিলেন। মানবজাতিকে পাপমুক্ত করে সত্য, কল্যাণ ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করাই ছিল তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। মহামতি যিশু সর্বদা বিপন্ন, অবহেলিত ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের সেবায় নিবেদিত ছিলেন। আমৃত্যু তিনি প্রচার করে গেছেন ক্ষমা, ভালোবাসা ও প্রভুভক্তির মহিমা। তার জীবনাচরণ ও মহৎ চারিত্রিক গুণাবলি আজও তার ভক্ত ও অনুসারীদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আবহমানকাল ধরে এ দেশের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠানকে সম্মান করে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রেখে চলেছে। যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন আমাদের এ সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে– এমনটাই প্রত্যাশা করি।
তিনি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
জাতীয়
শুভ বড়দিন আজ
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ। এ ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মানুসারীরাও আজ এই বিশেষ দিন যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করবেন।
এ উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও গত সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার।
বড়দিন উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। অপরদিকে দিনটি উপলক্ষ্যে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এ ছাড়াও দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভেতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তা ক্লজ। বড়দিনের প্রাক্কালে গত রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর আজ সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।




