অর্থনীতি
সাতদিনে রেমিট্যান্স এলো ৮ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা
চলতি অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে দেশে এসেছে ৬৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় ১০ কোটি ডলার। বুধবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে ৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ৬৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৮২৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই–৭ অক্টোবর) ছিল ৭২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ফলে রেমিট্যান্সে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যবিদায়ী সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন (২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ) ডলারের রেমিট্যান্স। এর আগে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং আগস্টে আসে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, যা ছিল পুরো বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল—জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
অর্থনীতি
২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে এসেছে ২১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি নভেম্বরের প্রথম ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২১ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, নভেম্বরের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬১ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর এসেছে ৭৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ২ থেকে ৮ নভেম্বর এসেছে ৭১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর নভেম্বরের প্রথম দিন প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে এসেছে যথাক্রমে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
অর্থনীতি
ট্রাভেল এজেন্সি খাতে নতুন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি
ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আটাব সদস্য কল্যাণ ঐক্য জোট। রোববার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করে তারা এই দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের আইন ও ২০২১ সালের সংশোধনী আইনের পরিবর্তন করে নতুন যে অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে তা বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রায় পাঁচ হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে মালিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা কর্মহীন হয়ে পড়বেন, যা পুরো খাত এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
আটাব সদস্য কল্যাণ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন টিপু বলেন, নতুন অধ্যাদেশে যেসব সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে তার অনেকগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিশেষ করে ধারা ৫–এ অন্য এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করলে সাধারণ ট্রাভেল এজেন্সিগুলো টিকে থাকতে পারবে না। দেশে যে ৫ হাজার এজেন্সি আছে, তাদের অধিকাংশেরই এয়ারলাইন্স থেকে সরাসরি টিকিট ইস্যুর সক্ষমতা নেই। আর অনলাইন ও অফলাইনের জন্য যে ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা জামানত রাখার কথা বলা হয়েছে, তা ছোট এজেন্সিগুলোর পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাদেশের ধারা ৯-এ পরিবারের বাইরে ব্যবসা হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা, এক ঠিকানায় রিক্রুটিং এজেন্টের কার্যক্রম সীমিত করা এবং বিনা শুনানিতে লাইসেন্স স্থগিত করার মতো বিধানগুলো খাতটিকে অকার্যকর করে দেবে। দেশের প্রচলিত আইনেই একই ঠিকানায় একাধিক ব্যবসার লাইসেন্স বৈধ। বহু রিক্রুটিং ও হজ এজেন্সি দীর্ঘদিন ধরে টিকিট সেবা দেওয়ার জন্য একই অফিস থেকে ট্রাভেল ব্যবসা পরিচালনা করছে।
সংগঠনের সদস্যসচিব জুমান চৌধুরী বলেন, এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, পরিবারের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক গ্যারান্টি সীমিত থাকার কারণে তারা বড় এজেন্সি থেকে টিকিট সংগ্রহ করে গ্রাহকদের সেবা দেন। এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বানানো হলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি জানান, ২০২১ সালের আইনে নির্ধারিত শাস্তি সংসদীয় যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে পাস হয়েছিল। সেটিকে হঠাৎ করে তিন বছর কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক। যে কোনো অপরাধের বিচার দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই সম্ভব। আলাদা করে অতিরিক্ত কঠোর শাস্তির প্রয়োজন নেই,—যোগ করেন তিনি।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কোনো খাতে অধ্যাদেশ জারি করা হলে তা সাধারণত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে আলোচনা করে আইন সংশোধন করা অধিক গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক হবে।
৫ হাজার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অধ্যাদেশটি বাতিলের আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধন শেষে আটাব সদস্য কল্যাণ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ে কাছে স্মারকলিপি দেন।
অর্থনীতি
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়লো
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৯ দশমিক ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়লো প্রায় দ্বিগুণ।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এই দাম ঘোষণা করে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর গণশুনানিতে বিইআরসির কাছে পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। পরে কমিশনের কারিগরি কমিটি প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম বর্তমান হার নির্ধারণের কথা জানায়।
গণশুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেছিলেন, গ্যাসের দাম প্রশ্নে সবদিক বিবেচনা করে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। দাম বেড়ে গেলে সারের উৎপাদন খরচের বিষয়ে জনগণ চিন্তিত। অবশ্যই কৃষিকে বিবেচনায় নিতে হবে। জিডিপিতে কৃষির অবদান কম হলেও খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিশাল কর্মসংস্থানের বিষয়টি অবশ্যই ভাবনায় রাখতে হবে। আবার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির খরচের বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।
অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল
২০২৫-২৬ কর বছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিনীত অনুরোধ করছে এনবিআর।
এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখের অধিক ব্যক্তি করদাতা এ বছর অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কোন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে অসমর্থ হলে ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করা যাবে মর্মে আরো একটি আদেশ জারী করা হয়েছে’।
এ বছর ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি কর্তৃক রিটার্ন দাখিল এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিকগণ ব্যতীত সকল ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অর্থনীতি
নিয়ন্ত্রকদের ব্যর্থতায় সংকটে অর্থনীতি: গভর্নর
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সামগ্রিক উন্নয়নকে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচআহসান এইচ. মনসুর মনসুর। তিনি বলেন, এই হতাশার মূল কারণ হচ্ছে সুশাসনের ব্যর্থতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সীমাবদ্ধতা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাব।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে হোটেল রেডিসনে মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, “আইনকানুন কঠোর হলেও অনেক অনিয়ম ভেতরে-ভেতরে ঘটে যায়, যা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা অনেকটা ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’র মতো অবস্থা। আমাদের আর্থিক খাতের আকার খুবই ছোট। ফলে আর্থিক খাত থেকে অর্থনীতিতে যে সুবিধা আসার কথা, তা আমরা পাচ্ছি না। দুর্নীতি, সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতা এ ক্ষেত্রে বড় বাধা।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের আর্থিক খাত বহু দিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে। তবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, এ নিয়ে কোনো দ্বিধা বা দোদুল্যমানতা থাকা উচিত নয়। কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিটার্ন, টিআইএন নম্বরসহ বিভিন্ন জটিলতা আমরা দূর করেছি। গত সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের টিকিট ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনার যে সমস্যা ছিল, তা সমাধান করেছি। এভাবে আমরা ডিজিটাল লেনদেনের নানা বাধা দূর করছি।”
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট গৌতম আগারওয়াল বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় সামনে আরও অনেক সম্ভাবনাময় সময় অপেক্ষা করছে। ব্যাংক, ফিনটেক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ সমগ্র ইকোসিস্টেমে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ে ডিজিটাল পেমেন্টকে আরও সহজ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলাই এ অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। মাস্টারকার্ড গ্লোবাল অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় চাহিদার সমন্বয়ে এসব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে গর্ববোধ করে। মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ তাদেরই সম্মান জানায়, যারা এই ভবিষ্যৎকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয় ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে। এ বছর ১৯টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮টি প্রতিষ্ঠান ৩৩টি পুরস্কার পেয়েছে।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এসএসএল কমার্জ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সাউথ ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, পাঠাও পে, এসিআই লজিস্টিকস ও বিকাশ লিমিটেড।
যেসব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে: ডিজিটাল ইনোভেশন, ডিজিটাল বিজনেস, অনলাইন বিজনেস, ডেবিট (ডোমেস্টিক ও ক্রস-বর্ডার), ক্রেডিট (ডোমেস্টিক ও ক্রস-বর্ডার), প্রিপেইড (ডোমেস্টিক ও ক্রস-বর্ডার), পিওএস ও অনলাইন অ্যাকোয়ারিং, অ্যাগ্রেগেন্ট, লোকেশন-বেসড অ্যাকোয়ারিং, কো-ব্র্যান্ডস, ইনোভেশন অ্যান্ড ইনোভেশন ইন অ্যাকসেপ্ট্যান্স, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন, ইমার্জিং বিজনেস এবং মাস্টারকার্ড বিজনেস গ্রোথ (ইস্যুয়িং)।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা ও সোহেল আলিমসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ফিনটেক কোম্পানি, কূটনীতিক এবং বিভিন্ন বৃহৎ মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
এমকে



