কর্পোরেট সংবাদ
এমবিএম গ্রুপের বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উদযাপনে ভিশনস্প্রিং ও ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিংকে সাথে নিয়ে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২৫ উদযাপন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ তৈরিপোশাক রপ্তানি প্রতিষ্ঠান এমবিএম গ্রুপ। ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগের আওতায় ও ভিশনস্প্রিং -এর সহায়তায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এমবিএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কাটিং এজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার সকল কর্মীদের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা ও চশমা বিতরণ করা হয়। এই উদ্যোগের সমাপনী দিনে ব্যাংকটির সাথে দৃষ্টি দিবস উদযাপন করে এমবিএম গ্রুপ।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালিত হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগের আওতায় কাটিং এজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৪,৯১০ জন শ্রমিকের চোখ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১,৮৯৬ জনের দৃষ্টি সংশোধনী চশমা ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েছে। এদের মধ্যে ১,৫৭৩ জন ব্যক্তি জীবনে প্রথমবারের মতো চশমা ব্যবহার শুরু করেছেন। অনেকের জন্য এটি ছিল নতুন করে পৃথিবী দেখার মতো অভিজ্ঞতা। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের উৎপাদনশীলতা যেমন বেড়েছে, তেমনি তাঁদের সামগ্রিক সুস্থতায় এসেছে বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন।
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষ্যে কাটিং এজ কারখানায় চোখ পরীক্ষার এই উদ্যোগের প্রভাব নিয়ে একটি জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, চশমা পাওয়া শ্রমিকদের মাথাব্যথা ও চোখ জ্বালাপোড়া কমেছে, দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার হয়েছে এবং কাজে মনোযোগ বেড়েছে। কয়েকজন শ্রমিক তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে কীভাবে এই উদ্যোগটি তাঁদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, সেটি নিয়ে নতুন আশা ও আত্মবিশ্বাসের বিষয়টি ব্যক্ত করেন।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংক, এমবিএম গ্রুপ ও ভিশনস্প্রিং-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের চোখের যত্নে সচেতন হতে উৎসাহ দেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি, এফআই অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল, এফসিএ; রিজিওনাল কর্পোরেটের এরিয়া হেড–২ এস এম মুসাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এমবিএম গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মেহরোজ জলিল, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর, সিইআইএল) সাগর কুমার পোদ্দার এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কমপ্লায়েন্স) জান্নাতুল ফেরদৌস ইভা। ভিশনস্প্রিং-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিশা মেহজাবিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে ভিশনস্প্রিং এমবিএম গ্রুপকে ‘ক্লিয়ার ভিশন ওয়ার্কপ্লেস’ সার্টিফিকেট প্রদান করে। এই স্বীকৃতি কারখানার প্রতিটি শ্রমিকের দৃষ্টি পরীক্ষা এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় চশমার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে এমবিএম গ্রুপের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিং যৌথভাবে ব্যাংকটির তৈরিপোশাক শিল্পের কর্পোরেট গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০,০০০ শ্রমিকের চোখ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।

কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

শাখা-উপশাখায় দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কসম্পন্ন আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির গৌরবময় ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হল। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত আইএফআইসি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন, ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম, এফসিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন আইএফআইসির ৪৯ বছর পূর্তির এই গৌরবময় সাফল্যের জন্য ব্যাংকের সকল সম্মানিত গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, এ অর্জন সম্ভব হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, আস্থা ও সহযোগিতার ফলেই। ভবিষ্যতেও আইএফআইসি ব্যাংক তার সেবা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের প্রতি সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রত্যয়ের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আইএফআইসি ব্যাংক শাখা ও উপশাখা মিলিয়ে ১৪১৫টি আউটলেটের মাধ্যমে এবং ৬,০০০ এরও বেশি দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে সারাদেশে জনগণের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে যা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটি গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং আরও সহজ, নিরাপদ ও স্মার্ট হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও কর্মকর্তারা একসঙ্গে কেক কেটে ব্যাংকের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দঘন মুহূর্তটি উদযাপন করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের প্রথম ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশ

সিটি ব্যাংক পিএলসি ‘Bank on Solidity, Banking on Sustainability’ শিরোনামে প্রথমবারের মত তাদের এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক- যেমন GRI Standards, IFRS S1 ও S2 এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং পূর্ববর্তী সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় এই পূর্ণাঙ্গ ইএসজি প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে জলবায়ু ও পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্যোগ সমূহের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সিটি ব্যাংকের বিস্তৃত অবদানকেও তুলে ধরা হয়েছে। সবুজ ও টেকসই অর্থায়নের প্রবৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের তথ্য এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও এতে গ্রাহকের পরিবেশ ও সামাজিক ঝুঁকি (ESRM) নির্ণয় কিভাবে অর্থায়নের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগের পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের তথ্য রয়েছে। এ বছরের প্রতিবেদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যাংকের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হিসাব প্রকাশ, যা ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি পরিপালনের একটি নজির।
ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এই ইএসজি প্রতিবেদনটি দায়িত্বশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কার্যক্রমের প্রতিফলন। আমরা পরিবেশ, সামাজিক এবং সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমাদের অংশীদারদের মধ্যে দৃঢ় আস্থা গড়ে তুলেছি। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে আমাদের ভূমিকা জোরদার করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের টেকসই যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধানকারী গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও জোরদার করবে বলে ব্যাংক আশা রাখে।
কর্পোরেট সংবাদ
দেশের প্রথম এসএমই ডেবিট কার্ড চালু করলো প্রাইম ব্যাংক

দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সুবিধাসহ এসএমই ডেবিট কার্ড চালু করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। ফলে এখন থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) সহজে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন। এই প্রাইম ব্যাংক এসএমই ডেবিট কার্ড স্থানীয়ভাবে পিওএস, এটিএম ও অনলাইন লেনদেনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো এই এসএমই ডেবিট কার্ড গ্রহণ করতে পারবে, আর পার্টনারশিপ বা লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমই প্রিপেইড কার্ড গ্রহণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক একটি সার্কুলারের আলোকে প্রথমবারের মতো এই কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। যার মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তারা অনলাইনে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক পেমেন্ট করতে পারবেন। এ উদ্যোগের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনে নিবন্ধন যাচাই করার মাধ্যমে এসএমই গ্রাহকরা এখন অনলাইনে ব্যবসা-সংক্রান্ত পেমেন্ট করতে পারবেন। বৈধ ব্যবসায়িক ব্যয়ের ক্ষেত্রে এসএমই ডেবিট কার্ডে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রিফিল করা যাবে, যা বছরে সর্বোচ্চ ৩,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রিফিল করা যাবে।
আজ মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত প্রাইম টাওয়ারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এসপিডি পরিচালক নওশাদ মোস্তফা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এসপিডি পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক মো. আয়ুব আলী, যুগ্ম পরিচালক এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের পরিচালক সোহেল আলিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রাইম ব্যাংক সবসময় এসএমই উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে সক্ষম করে তুলতে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ করে আসছে। আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সুবিধাসহ এই এসএমই ডেবিট কার্ড চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা এখন বৈশ্বিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিতে পারবেন। এটি আমাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনস মামুর আহমেদ; হেড অব এসএমই মোহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং প্রাইম ব্যাংক পিএলসির হেড অব কার্ডস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আমরাই তারা’ প্রশিক্ষণ পেলেন চট্টগ্রামের ৩০ জন নারী উদ্যোক্তা

দেশের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘আমরাই তারা’ আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন ৩০ জন সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তা।
গত ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসায় পরিচালনা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে হাতে-কলমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তাঁরা নেটওয়ার্কিং এবং ব্যবসায়িক পরামর্শ অর্জনেরও সুযোগ পান, যা তাঁদের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট মুনীর হাসান এবং ব্র্যাকব্যাংক এসএমই ব্যাংকিংয়ের স্মল বিজনেস টেরিটরি ম্যানেজার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, নারী উদ্যোক্তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। একজন নারী উদ্যোক্তা সফল হলে তাঁর পরিবার, সমাজ ও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। ‘আমরাই তারা’ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক তাঁদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও সুবিধা দিয়ে সক্ষম করে তুলছে, যাতে তাঁরা টেকসইভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন।
‘আমরাই তারা’ হলো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের একটি বিশেষ ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, যা গেটস ফাউন্ডেশন-এর সহযোগিতায় পরিচালিত। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ের জন্য এমন একটি টেকসই পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাজার ও অর্থায়নে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক ২০টি জেলায় ৩,০০০-এরও বেশি নারী উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভবিষ্যতে ‘আমরাই তারা’ কর্মসূচিটি দেশের সব জেলায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে ব্যাংকটির। এভাবে দেশের আরও বেশি নারী উদ্যোক্তাদের এই সুযোগের আওতায় আনতে ব্যাংকটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে শিপিং এজেন্টদের নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মশালা

শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেড এবং পেমেন্ট সল্যুশনের প্রসারে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএএ) সহযোগিতায় চট্টগ্রামে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
‘সিমলেস ট্রেড অ্যান্ড পেমেন্ট সল্যুশনস: রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড সেন্ট্রাল ব্যাংক রিপোর্টিং ফর শিপিং এজেন্টস’ শীর্ষক কর্মশালায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শিপিং এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়। এই খাতে টেকসই উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজনে সিনিয়র ব্যাংকাররা অটোমেশন, কার্যকর পেমেন্ট ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন এবং রিপোর্টিংয়ে স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক আরিফুজ্জামান ও অতিরিক্ত পরিচালক মনিরুল হায়দার।
বিএসএএ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিকম শিপিংয়ের মালিক আমিরুল হক ও খায়রুল আলম সুজনসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য পরিচালক ও সদস্যরা। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে সেশন পরিচালনা করেন ব্যাংকটির হেড অব রিজিওনাল কর্পোরেট (চট্টগ্রাম) কায়েশ চৌধুরী, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ. কে. এম. ফয়সাল হালিম এবং হেড অব অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস তাহের মৃধা।
একটি দূরদর্শী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বাস করে, শিপিং ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মেরুদণ্ড এবং জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এই খাতের আধুনিকায়নে সহায়তা করতে ব্র্যাক ব্যাংক ক্লায়েন্টদের উদ্ভাবনী আর্থিক ও ডিজিটাল সল্যুশন প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে ও নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা পালনে সহায়তার পাশাপাশি বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও ত্বরান্বিত করবে।
দেশের শিপিং খাতের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও বেগবান করবে বলে বিশ্বাস করে ব্যাংকটি।