ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। এর কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ কেন্দ্রের ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা আনন্দ মোহন কলেজের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আধ্যাত্মিকতার জায়গায় ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে: ভিপি সাদিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, আমাদের (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে। আমরা যেন আমাদের আগামীর বাংলাদেশের জন্য গড়ে উঠতে পারি। বিগত সময়ে ফ্যাসিস্টরা বড় বড় জায়গায় বসে দুর্নীতি, রাহাজানিসহ নানা ধরনের অপরাধ করেছে অর্থাৎ মানুষের ক্ষতির কারণ হয়েছে যার ফলাফল আজ পালিয়ে যেতে হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, কেউ যেনো মানুষের উপর জুলুম করতে না পারে পাশাপাশি আমরা যেন নৈতিকভাবে নিজেদেরকে শক্তিশালী করি এবং আধ্যাত্মিক জায়গায় সবচেয়ে বেশি হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় স্থানে শাখা ছাত্রশিবিরের ‘চায়ের আড্ডায় ডাকসু ভিপি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের ইনসাফের পক্ষে অবস্থান ও ঐক্যবদ্ধতা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। ঐক্যবদ্ধের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অখন্ডত্বের প্রশ্নে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে একসাথে লড়াই জারি রাখতে পারি। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের ও আধিপত্যবাদের কোন ঠিকানা হবে না। বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য শহীদ ভাই-বোনেরা জীবন দিয়েছে। সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রত্যেকে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক রক্তাক্ত ইতিহাস আছে। অনেক মজলুমের কান্না ও হাজারো স্মৃতি আছে। খুনি হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ক্যাম্পাসগুলোকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে ছিল ইবি। আমাদের অসংখ্য ভাই বোনদেরকে রাতের আধারে নির্মম নির্যাতন করেছে। তাদেরকে মেরে মামলা দিয়ে থানায় দেওয়া হয়েছে, পরিবারকে হেনস্তা করা-সহ শিক্ষাজীবনকে বিনষ্ট করার জন্য শত আয়োজন করেছিল। আমাদের সকলের প্রিয় ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাস ভাই এখনো আমাদের মাঝে ফেরেনি। খুনি হাসিনার পেটোয়া বাহিনী তাদেরকে গুম করেছে। আমাদের মজলুম মা-বাবারা তাদেরকে খুঁজছে।
জুলাই ও ইনসাফের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অহ্বান করে সাদিক কায়েম বলেন, আমরা প্রত্যেকে আবু সাইদ, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ তাহের, শান্ত, আলী রায়হানের উত্তরসূরি হয়ে সবসময় জাগ্রত থাকবো। এখানকার ভাই বোনরা সেই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ইনসাফের পক্ষে লড়াই করে জুলাই যোদ্ধারা সবাইকে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা দেখেছি। জুলাই বিপ্লবের অংশীদার প্রজন্ম বাংলাদেশের যে প্রান্তে অবস্থান করুক আমাদের সকলের লক্ষ্য ও চিন্তা একই সূতায় গাঁথা, মতাদর্শের ভিন্নতা বা রাজনৈতিক দল আলাদা হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ প্রশ্নে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অখন্ডত্বের প্রশ্নে, জুলাইয়ের প্রশ্নে, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের প্রশ্নে, ইনসাফের প্রশ্নে আমরা সবাই এক আছি। এই প্রজন্ম যতদিন বেঁচে থাকবে, বাংলাদেশ কখনো পথ হারাবে না। এবং আমাদের শহীদরা যে জন্য জীবন দিয়েছে, যে বিপ্লবের জন্য জীবন দিয়েছে সেই বিপ্লব পূর্ণাঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত থামবো না।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয় উল্লেখ করে সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল কাজ হচ্ছে পড়াশোনা করা। বিগত সময় আমাদের পড়াশোনার পরিবেশ দেওয়া হয়নি। প্রতিটা হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম, র্যাগিং কালচারের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। শিক্ষাখাতে যে বাজেট পরিমাণ বাজেট দেওয়া দরকার ওই পরিমাণ বাজেট দেওয়া হয়নি। আমাদের গবেষণায় বাজেট ছিল না, লাইব্রেরি সুবিধা ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। আমাদের আবাসন সংকট, খাদ্যের অনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যের অনিরাপত্তা এভাবে বহু সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছিল। আমরা শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংকটগুলো দূর করবো, ইন’শাল্লাহ। প্রতিটি ক্যাম্পাস হবে জ্ঞান অর্জনের এক একটি হ্যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ জ্ঞান উৎপাদন করা এবং সেই জ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তৈরি করতে কাজ করব। সে স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় সেই সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে আমরা নতুন এক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করব।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, কেন্দ্র শুধু ঢাকায়

দেশের সরকারি কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে ৬৮৩ জন শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে।
আগামী ১০ অক্টোবর এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার কেন্দ্র হবে শুধুমাত্র ঢাকায়।
৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নিতে আবেদন করেছেন তিন লাখ ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থী। সেই হিসাবে প্রতিটি ক্যাডার পদের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ৪৫৬ জন চাকরিপ্রার্থী। তবে যেহেতু এটি শিক্ষা ক্যাডারের বিশেষ বিসিএস, ফলে নির্দিষ্ট বিভাগের প্রার্থীরা ওই বিভাগের প্রার্থীদের সঙ্গেই লড়বেন। ফলে বিভাগ ভেদে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ভিন্ন হবে।
লিখিত পরীক্ষা ২০০ নম্বরের
বিশেষ বিসিএসে সাধারণ বিসিএসগুলোর মতো প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয় না। সরাসরি লিখিত পরীক্ষা হয়। তবে সেটি এমসিকিউ টাইপের প্রশ্নপত্রে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
গত ২১ জুলাই ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর ২২ জুলাই থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়, যা চলে ২২ আগস্ট পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করাদের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ, ২৫ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়।
আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা। বয়সসীমা রাখা হয় ২১ থেকে ৩২ বছর।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৯তম বিসিএসের মাধ্যমে দেশের সরকারি সাধারণ কলেজে বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষক পদে ৬৫৩টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আর সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩০টি শূন্যপদে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
সবচেয়ে বেশি ৬১টি শূন্যপদ বাংলা বিভাগে। এছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৫টি, ইংরেজিতে ৫০টি, অর্থনীতিতে ৪০টি, দর্শনে ৩০টি, রসায়নে ৩০টি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৩২টিসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বাড়ি ভাড়া-চিকিৎসা ভাতা নিয়ে সুখবর পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের বাড়িভাড়া এক হাজার টাকা বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে শিক্ষকরা এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মূল বেতনের ওপর শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতার দাবি জানান।
এ দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করে শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সরকারের কাছে দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এমন অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা শতাংশ হারে বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী রোববার (৫ অক্টোবর) এ প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দিতে একটি প্রস্তাবনাপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আলাদা করে এ প্রস্তাব দেবে।
উভয় বিভাগের প্রস্তাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর সেটি পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে। দুর্গাপূজার দুদিনের ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধের পর প্রথম কর্মদিবস রোববার (৫ অক্টোবর) এটি পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ওপর শতাংশ হারে নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। বাড়িভাড়া ভাতার হার রয়েছে চার ধরনের—৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয় কত শতাংশ হারে অনুমোদন দেবে, তা তারা বিবেচনা করবে। অর্থ মন্ত্রণালয় যে হার অনুমোদন করবে, সেটিই কার্যকর হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিসিএসের জন্য ১৯৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) আগামী ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৯৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা সবাই সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
এতে বলা হয়, ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার ১৮৪টি হলে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষাকালীন প্রতিটি কেন্দ্রে ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একজন করে মোট ১৮৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালনের জন্য আরও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ এর ৫ ধারার বিধান মোতাবেক পরীক্ষার সময়, পরীক্ষাকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার দিন ভোর ৪টায় সচিবালয়ে রিপোর্ট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দাখিল নবম শ্রেণিতে বয়স শিথিল করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিচ্ছে। আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ছালেহ আহমাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বোর্ডের আওতাধীন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত দাখিল/আলিম এবং ইসলামি ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ফাজিল/কামিল পর্যায়ের মাদরাসার অধ্যক্ষ/সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দাখিল নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিম্নেবর্ণিত নির্দেশনাবলি অনুসরণপূর্বক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে e-SIF পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশাবলি-
যে সকল শিক্ষার্থীর বয়স ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে সর্বনিম্ন ১৪ বছর এবং সর্বোচ্চ ২০ বছর সে সকল শিক্ষার্থী সরাসরি ৯ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৯ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের বয়স-সীমা ১৪ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত। যে সকল শিক্ষার্থী ৮ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পায়নি সেসকল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে মাদরাসা বোর্ডে আবেদন করে সরাসরি ৯ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে। বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রতিষ্ঠানের EIIN ভিত্তিক মোবাইল সিম ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
অনলাইনে শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি দেয়ার সময় অবশ্যই তার ব্যক্তিগত (যদি থাকে) মোবাইল নম্বর অথবা অভিভাবকের মোবাইল নম্বর ইনপুট দিতে হবে। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীরই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা ৫ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। রেজিস্ট্রেশন ফি জমা (বিলম্বসহ) ২১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেওয়া যাবে।