পুঁজিবাজার
হতাশ চার্টার্ড লাইফের বিনিয়োগকারীরা, জালিয়াতির অভিযোগ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির বিরুদ্ধে ঠকানোর অভিযোগ তুলেছে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। প্রাতিষ্ঠানটি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গোঁজামিল দিয়ে লোকসান দেখিয়ে ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকেই বিমা কোম্পানিটির আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাইফ ফান্ড বা জীবনবিমা তহবিলের আকার বাড়লেও বছর শেষে শেয়ারপ্রতি লোকসান ও নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে আবারও মুনাফা বিনিয়োগকারীদের মনে সন্দেহ ও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটিকে লভ্যাংশ না দেওয়ার জন্য জালিয়াতি ও বিনিয়োগকারীদের ঠকানো হয়েছে বলে দাবি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত চেয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বীমা খাতের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফের সমাপ্ত ২০২৪ হিসাববছরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে লাইফ ফান্ডের আকার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আবার চলতি ২০২৫ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকেও কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। অথচ এরমধ্যে ২০২৪ হিসাববছরের শেষ প্রান্তিক বা বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান দেখানো হয়েছে। যার ফলে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটিকে লভ্যাংশ না দেওয়ার জন্য জালিয়াতি ও বিনিয়োগকারীদের ঠকানো হয়েছে বলে দাবি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছে, আমাদের ঠকানো হয়েছে। বছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যয়ের তুলনায় অধিক আয় হয়েছে। জীবনবিমা তহবিলের আকার বেড়েছে। কিন্ত বছর শেষে ইপিএস লোকসান দেখানো হয়েছে লভ্যাংশ না দেওয়ার জন্য। এমন জালিয়াতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য হতাশার। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিৎ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এবিষয়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির কোম্পানি সচিব জিএম রাশেদ এসিএস অর্থসংবাদকে বলেন, জীবনবিমা তহবিলের আকার ক্রমেই বাড়তে থাকে এ স্বাভাবিক, তবে সেই হিসাবে ইপিএস হিসাব করা হয় না। বছরে একবারই ইপিএস হিসাব করা হয় সেটি এক্সপেরিয়েন্স ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে। সেই অনুযায়ী গত বছরের সাথে তুলনা করে এ বছরে লোকসান হয়েছে।
এবিষয়ে সোমবার (৩০ জুন) রাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম অর্থসংবাদকে বলেন, কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কোনো ধরনের জালিয়াতির প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে, সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ হিসাববছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে আয় ছিলো ১৬ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সায়। লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ জুলাই।
এরআগে, হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) শেষে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিল ছিলো ৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৫০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার বেড়েছে ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির জীবন বীমা তহবিলের আকার বাড়ে ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে জীবন বীমা তহবিলের আকার বাড়ে ১১ কোটি ০৪ লাখ টাকা। সব প্রান্তিকে আয় বাড়লেও বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসানে কোম্পানিটি।
এদিকে, সব প্রান্তিকে আয় বাড়লেও বছর শেষে লোকসান দেখানো প্রতিষ্ঠানটির নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৫’-মার্চ’২৫) আবারও আয় বেড়েছে। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার দাড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার বেড়েছে ৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৭ কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৫২ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৭ টাকা থেকে ৫৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে উঠা-নামা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩০তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি উত্তোলন করেছে চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। উল্লেখ্য, কোম্পানিটিকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আইন পরিপালনের স্বার্থে পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫-এর ৩(২)(পি) বিধি পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়।
এসএম

পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের পুঁজিবাজারে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার লেনদেন বন্ধ ছিলো। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজারে কার্যদিবস বিবেচিত হবে তিনটি। এর মধ্যে দুই দিনেই বাজার উর্ধ্বমূখী ছিলো। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ও বাজার মূলধন বেড়েছে। তিনদিনে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ২২ শতাংশ ।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ০ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০১ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২১ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০১ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৪ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৫৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬২০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির, কমেছে ২১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা

দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই কমছিল। তবে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। সদ্য-সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বেড়েছে ৪০টি। সেইসঙ্গে বেড়েছে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।
২০২৩ সাল থেকে শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। ওই বছরের নভেম্বর থেকে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজার ছাড়তে থাকেন, যা অব্যাহত থাকে চলতি বছরের আগস্ট মাসেও। তবে সেপ্টেম্বর মাসে এসে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব বাড়তে দেখা গেলো।
বিও হল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এ বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব নয়। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
সিডিবিএলের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে (৩০ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি, যা গত ৩১ আগস্ট ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪০১টি। এ হিসাবে গত এক মাসে শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৮২৬টি।
বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ৪৩ হাজার ৮০১টি। গত ৩১ আগস্ট বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৪৩ হাজার ৭৬১টি। অর্থাৎ গত এক মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৪০টি।
এখন বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও, এর আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয় ২০২৩ নভেম্বর থেকে। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এ হিসাবে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ১১ হাজার ৭১১টি।
বিদেশি ও প্রবাসীদের পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়ছে। সিডিবিএলের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৫টি, যা গত ৩১ আগস্টে ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪টি। অর্থাৎ গত এক মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৫৯১টি।
এখন শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এর আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। ২০২৪ সালের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩২৪টি।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশের প্রথম সোশ্যাল বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পেলো ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের প্রথম সোশ্যাল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের এই বন্ডের নাম ‘ব্র্যাক ব্যাংক সোশ্যাল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড’।
এর ফলে ব্যাংকটির টিয়ার-টু ক্যাপিটাল আরও শক্তিশালী হবে, যা দেশের সিএমএসএমই, নারী উদ্যোক্তা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটেশনের মতো জরুরি সেবা খাতগুলোতে অর্থায়ন সুবিধা আরও সহজ করবে।
আইসিএমএ (ICMA)-এর সোশ্যাল বন্ড প্রিন্সিপালস ২০২৫ অনুযায়ী প্রণীত, ব্র্যাক ব্যাংক সোশ্যাল বন্ড ফ্রেমওয়ার্ককে আন্তর্জাতিক সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস একটি সেকেন্ড পার্টি অপিনিয়নের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিও বাংলাদেশে এই প্রথম। এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিস চর্চার প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংকের এই পদক্ষেপটি টেকসই অর্থায়নে ব্যাংকটির নেতৃত্বস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
উল্লেখ্য, ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৪ সালের ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিংয়ে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রেটিংয়ে ধারাবাহিকভাবে পঞ্চম বছরের মতো দেশের টপ সাসটেইনেবল ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করেছে; এবং গ্লোবাল এসএমই ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ ‘সাসটেইনেবল এসএমই ফাইন্যান্সিয়ার অব দ্য ইয়ার–এশিয়া’ সম্মাননা অর্জন করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির মোট ঋণ পোর্টফোলিওর ৮২% টেকসই অর্থায়ন খাতে বিনিয়োগ করা আছে।
বন্ড ইস্যু নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সোশ্যাল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বন্ড দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ক্ষমতায়ন করবে, নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করবে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন খাতকে আরও সহজ করবে। আমরা আশা করি, এটি দেশের পুঁজিবাজারে টেকসই উদ্ভাবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
পুঁজিবাজার
ইবনে সিনা ফার্মার লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬৪ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেবে। গত বছর কোম্পানিটি ৬৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২১ টাকা ৪৬ পয়সা।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৩ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ১২ টাকা ৪৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২৫ টাকা ৬৯ পয়সা।
আগামী ২৩ নভেম্বর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ অক্টোবর।
এসএম
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পাঠিয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো।
এসএম