কর্পোরেট সংবাদ
জিপিএইচ ইস্পাত ও পিডব্লিউডির যৌথ গবেষণা প্রকাশ

দেশের শীর্ষস্থানীয় রিবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে একটি টেকনিক্যাল সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে যৌথভাবে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়, যেখানে দেশের খ্যাতনামা প্রকৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন। গবেষণায় উচ্চ শক্তিসম্পন্ন রিবার বি৬০০ডি-আর এবং কাঙ্খিত কংক্রিট কিভাবে আরসিসি বিল্ডিং ডিজাইনে কার্যকর এবং সাশ্রয়ী সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে, ‘রিবার গ্রেড বি৬০০ডি-আর’যে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়ক—তাও তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আকতার। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বুয়েটের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, সাবেক অধ্যাপক ড. ফকরুল আমিনসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. এইচ. মোহাম্মদ মতিউর রহমান (পি. ইঞ্জ.), প্রকৌশলী আবুল ফারাজ খান (পি. ইঞ্জ.), গণপূর্ত ডিজাইন বিভাগের প্রধান সাবেক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব (পি. ইঞ্জ.) এবং হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক (পি. ইঞ্জ.)। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে দুটি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান (পি. ইঞ্জ.) তাঁর গবেষণায় দেখান, উচ্চ শক্তির রিবার ব্যবহার আরসিসি বিল্ডিং ডিজাইনে অত্যন্ত কার্যকর এবং সুউচ্চ ভবনের ক্ষেত্রে রিবার কনজেশন কমিয়ে খরচ হ্রাসে সহায়তা করে। একইসঙ্গে এটি পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ ও গ্রীনহাউস গ্যাস কমিয়ে টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
দ্বিতীয় গবেষণা পত্র মো. জাহিদ হাসনাইন ব্যাখ্যা করেন উচ্চশক্তির রিবারের সাথে কাঙ্খিত কংক্রিটের শক্তিমাত্রা, সামঞ্জস্যতা এবং উচ্চশক্তি রিবার ব্যবহারের সম্পর্কিত অন্যান্য দিকগুলো। সেমিনারে অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান ও অধ্যাপক ড. ফখরুল আমিন বর্তমান বিএনবিসি ২০২০ এ উল্লেখিত অধ্যায়-২, অংশ-৫ অনুচ্ছেদ ২.১.১ এর নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্চ শক্তি রিবার ব্যবহারের কথা বলেন।
সাবেক প্রকৌশলী এ এইচ মো. মতিউর রহমান বিল্ডিং কোড বিএনবিসি ২০২০ হালনাগাদ করার মাধ্যমে উচ্চশক্তির রিবার ব্যবহারের পরামর্শ দেন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের হালনাগাদ এসওআর এ অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। হাউসিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক মো. আবু সাদেক বলেন, নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পরিবেশেরবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। সেক্ষেত্রে জিপিএইচ ইস্পাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে যা প্রশংসনীয়। টেকসই উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে এইচবিআরআই কে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান যেখানে জিপিএইচ ইস্পাত সহযোগিতা করতে পারে।
জিপিএইচ ইস্পাতের টেকনিক্যাল হেড মো. সাইফুল ইসলাম দেশব্যাপী উচ্চ শক্তি রিবার সহজলভ্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং মানসম্পন্ন রিবার উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তিকে অনুসরণ করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আমাদের উন্নতি করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরগুলোও গবেষণার জন্য উদ্যোগ নেয়। জিপিএইচ ইস্পাত বুয়েট, এমইএসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে গবেষণার কাজ করছে এবং আমরা জাপানের টোকিয়ো ইউনিভার্সিটিতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের দল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছি। সেখানে তারা বিভিন্ন মেয়াদে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন, যা আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। জিপিএইচ ইস্পাত শুধু ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণে নয়, দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও রয়েছে। তাই আমরা দেশের উন্নয়নে বিশেষত গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত নির্মাণ খাতে গবেষণায় বিনিয়োগ করে তাদের দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তাদের যৌথ গবেষণা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ধরনের গবেষণা অব্যাহত রাখা জরুরি। ভবিষ্যতের নির্মাণ কাজে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে আরও দক্ষতা আনার জন্য জিপিএচের মতো আরও কোম্পানিকে এগিয়ে আসা উচিত।

কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকের সঙ্গে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চুক্তি

এবি ব্যাংক পিএলসি এবং আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে আমানতকারীদেরকে ইসলামি বীমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে যা এবি ব্যাংক ইসলামিক ডিপিএস-এ একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।
এবি ব্যাংক পিএলসির ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সামসুন আরিফিন এবং আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির ডিএমডি এবং চিফ কর্পোরেট বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদুল করিম এবং আবদুস সালাম খন্দকার, হেড অব ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস, এবি ব্যাংকের জেনারেল ব্যাংকিং অপারেশনস বিভাগের প্রধান ফেরদৌস আহমেদ এবং রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তৌফিক হাসানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৪২তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১ জুন) ব্যাংকের ঢাকাস্থ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ব্যাংকের সার্কুলার ও গাইডলাইনের আলোকে দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদনের পাশাপাশি গ্রাহকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে প্রশিক্ষণার্থীদের উপদেশ দেন। একই সাথে সততা, নৈতিকতা এবং শরীয়াহর ভিত্তিতে দৈনন্দিন দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি করিম ও এ. এফ. সাব্বির আহমদ, ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মো. হুমায়ুন কবির বক্তব্য প্রদান করেন। মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মোট ৩২জন প্রবেশনারি অফিসার অংশগ্রহণ করেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নতুন আইটি অফিসারদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত নতুন যোগদানকৃত আইটি অফিসারদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১ জুন) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও আইবিটিআরএ’র মহাপরিচালক কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিনুর রহমান এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের স্ট্রেটেজিক বিজনেস কনফারেন্স

এনআরবিসি ব্যাংকের স্ট্রেটেজিক বিজনেস কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. নুরুল হক, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
‘একসঙ্গে উৎকর্ষতার অভিমুখে’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের উপর এবারের কনফারেন্সে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, আঞ্চলিক প্রধানগণ, সকল শাখা ম্যানেজার এবং উপশাখার ম্যানেজারবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করা এবং ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে নিয়ম-নীতি সঠিকভাবে পরিপালন করা।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হবে এবং ব্যাংকিং সেবা সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করতে হবে।
কনফারেন্সে পরিচালকবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা এবং অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, পরিচালনা পর্ষদ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন ও যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা সবাইকে সঠিকভাবে পরিপালন করতে হবে এবং কোন কাজে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নিয়মের ব্যতয় ঘটানোর কোন সুযোগ নেই। সারা দেশের বিপুল সংখ্যক নেটওয়ার্ক ও শাখা-প্রশাখের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক স্বচ্ছতার সঙ্গে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশা প্রকাশ করেন।
কনফারেন্সে ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সেরা ৯ জন ম্যানেজারকে ‘পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উদ্যম ও নতুন প্রত্যয়ের মাধ্যমে কনফারেন্স সমাপ্ত হয়।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
দেশের প্রথম এসএমই ইনোভেশন ল্যাব তৈরি করবে ব্র্যাক ব্যাংক ও ডিইজি ইমপালস

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথমবারের মতো এসএমই ইনোভেশন ল্যাব চালু করতে জার্মানির ডিইজি ইমপালস’র সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ডিইজি ইমপালস জিজিএমবিএইচ’র সহায়তায় ব্যাংকটি এই ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করবে।
ডিইজি ইমপালস জিজিএমবিএইচ হলো জার্মান উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিইজি’র একটি শতভাগ মালিকানাধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যারা ‘ডেভেলপ প্রোগ্রামের’ আওতায় এই সহায়তা দেবে। ডিজিই ইমপালস উন্নয়নশীল ও উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর বেসরকারি খাতে সামাজিক ও পরিবেশগত পরিবর্তনকে উৎসাহিত করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করে। ডিইজি ইমপালস জার্মান সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নীতি ও সহযোগিতাবিষয়ক সংস্থা ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পক্ষে ডেভেলপ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে থাকে।
এই এসএমই ইনকিউবেটরটি বিশেষভাবে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে কাজ করবে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের বড় চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে সাহায্য করবে। এটি বিশেষ করে নারী নেতৃত্বাধীন ও ঝুঁকিতে থাকা উদ্যোগগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দেবে। ল্যাবটি এমন সব টেকসই সল্যুশন নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হবে। যেগুলো অর্থায়নের মাধ্যমে জেন্ডার-বৈষম্য কমানো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্ভুক্তিকরণ, স্মার্ট কৃষি ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থায়নের প্রসারের মতো খাতগুলোর উন্নয়নে কাজে লাগানো যাবে।
এই উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক এবং ডিইজি ইমপালস এসএমই ইনোভেশন ল্যাবের প্রাথমিক ভার্টিকাল ‘নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসাগুলো’ নিয়ে কাজ করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগটি আর্থিক স্বচ্ছলতার পথে জেন্ডার-গ্যাপ দূর করতে সাহায্য করবে, যাতে সবার জন্য অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত হয়। এর ফলে দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসার পরিবেশ গড়ে উঠবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, একটি এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময়ই তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন ও তাঁদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এই এসএমই ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে আমরা নতুন ও উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট ও সল্যুশন নিয়ে আসতে পারবো। বাংলাদেশে এসএমই ইনোভেশন ল্যাব বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আমরা আমাদের জার্মান পার্টনার ডিইজি ইমপালস’র প্রতি কৃতজ্ঞ।
ল্যাবটি প্রতিষ্ঠিত হলে এটি হবে এসএমই ইনোভেশন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়নের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র। এই উদ্যোগটি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ভিশনের প্রতিফলন, যাঁর লক্ষ্য ছিল এসএমই উদ্যোগের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রূপান্তরমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
এসএম