রাজনীতি
মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে: জামায়াত আমির

পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আদালত অঙ্গনে আমি বহুবার এসেছি; মুক্ত মানুষ হিসেবে নয়, বন্দি হিসেবে। আজ মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরে এবং দোয়া নেওয়ার সুযোগ পেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদু লিল্লাহ।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল আয়োজিত ‘মাহে রমাদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল’ এর প্রধান অতিথি হিসেবে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে বহু পেশা আছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, সাংবাদিক কিন্তু কারো নামের আগে বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয় না। শুধু আইনজীবীদের নামের পূর্বেই বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয়। বার ও বেঞ্চ নিয়েই বিচার কার্যক্রম। আইনজীবীরা বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আইনজীবীদের পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের মাঝে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন। মানবজীবনের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক দিক রয়েছে। একটি আদালত আরেকটি চিকিৎসা। এ দুটো জায়গা ঠিক হয়ে গেলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে অর্থাৎ সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের দেশে এই দুটোই করুণ অবস্থায় রয়েছে। বলতে গেলে ন্যায়বিচার আজ নির্বাসনে। আর স্বাস্থ্যখাতে চলছে চরম অনিয়ম।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে দেশের নাগরিকরা গর্বিত হতে পারত। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষার কোনো নৈতিক মান নেই। যার কারণে আমরা বিশ্বের কোথাও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি না। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো র্যাংক নেই বললেই চলে। আমাদের এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হতে শেখায়, মানুষকে সম্মান দিতে শেখায় সে শিক্ষা না থাকায় সমাজে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
আমিরে জামায়াত বলেন, আমাদের দেশে ব্রিটিশ ল’কে মাদার ল’ বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত মাদার ল’ হচ্ছে কুরআনের আইন। ইসলামের আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আজ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি। অনেক আইন আছে যা এসেছে কুরআন থেকে। যার কারণে বিদ্যমান অনেক আইন কুরআনের সাথে খুব বেশি সাংঘর্ষিক নয়। কুরআনের আইনের ভিত্তিতে এক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
কাফি

রাজনীতি
এনসিপি শাপলা ছাড়া নিবন্ধন নেবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, এনসিপি শাপলা ছাড়া নিবন্ধন নেবে না এবং শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না। আমরা শাপলার অবস্থানেই রয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি, কিন্তু ওনারা এই পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে। তারা বিকেল ৪টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ বৈঠক শেষে শাপলা প্রতীক নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
বৈঠক শেষে পাটওয়ারী বলেন, তারা (ইসি) যেহেতু ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, এখন আমরা প্রতীক প্রশ্নে নেই। আমরা মনে করেছি প্রতীক প্রশ্নে তাদের ওপর অন্য কিছু বিরাজ করছে। অথবা প্রতীক সামনে রেখে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা মনে করি এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, এই মাস পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি না। তবে অনেকে জানতে চেয়েছেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও বা কিছু করবো কি না। আমরা বলেছি, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রতিষ্ঠান যদি নিয়মমাফিক না চলে, ফেয়ার জাস্টিস যদি না হয়, নথি যদি হারিয়ে যায় এখান থেকে, নথি যদি কেউ চুরি করে নিয়ে যায়, নথি যদি টাকার বিনিময়ে চলে যায় এজেন্সির কাছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা যদি না থাকে সেই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এতে করে যদি মৃত্যু হয় তবে সেটা বরণ করতে আমরা প্রস্তুত।
শাপলা না দেওয়ার বিষয়ে ইসির কাছে আবারও স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। একইসঙ্গে এটি দিতে কোনো মহল থেকে বাধা আছে কি না সিইসিকে সেটিও স্পষ্ট করার কথা জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি বলেন, শাপলা না দেওয়ার বিষয়ে আইনি ও রাজনৈতিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ইসি। এতে কমিশনের অসৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছে এনসিপি। এনসিপিকে প্রতীকটি দেওয়া না হলে প্রতীকের তালিকা থেকে ধান, পাট, তারকাও বাদ দেয়ার দাবি করে দলটি। এ সময়, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কার্যক্রম, কার্যালয়ের ঠিকানা, গঠনতন্ত্রও নেই উল্লেখ করে দলটিকে নিবন্ধন তালিকায় রাখার সমালোচনা করেন তারা। একইসঙ্গে ইসির প্রস্তাবিত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ তাদের ভোটার তালিকার রাখার বিষয়েও প্রস্তাবনা দেন তারা। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বয়স ১৮ হলেই ইসির ভোটার তালিকায় যুক্ত করার প্রস্তাবনা দেন এনসিপির প্রতিনিধিরা।
এ সময় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জাতি জবাবদিহিতামূলক সরকার পাবে: ড. হেলাল উদ্দিন

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জনগণের হিসাব জনগণ বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। কোনো রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা মূলক সরকার থাকলে ঐ রাষ্ট্রে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটপাট, জুলুম-নির্যাতন, বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। জবাবদিহিতা মূলক সরকার কখনো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার শাহবাগে গণসংযোগ পূর্বক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকা থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত করে এই এলাকাকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয়দের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
তিনি বলেন, আমীরে জামায়াত ইতোমধ্যে জাতির সামনে ঘোষণা দিয়েছেন জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে সরকার গঠনের সুযোগ দিলে জামায়াতের দলীয় কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি নেবে না, কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী সরকারি প্লট বা ফ্ল্যাট নেবে না, কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী নিজ হাতে রাষ্ট্রীয় টাকা চালাচালি করবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যেই বরাদ্দ দেওয়া হবে কাজ শেষে বরাদ্দকৃত টাকার হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরবে।
উপস্থিত জনসাধারণকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজমুক্ত থাকবে। প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে নাগরিক সকল সুবিধা লাভ করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করার ৫ দফা দাবি জামায়াতে ইসলামীর একক দাবি নয়, পুরো জাতি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন চায়। ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া সম্ভব। জাতি এমন একটি নির্বাচনের জন্য উম্মুখ হয়ে আছে।
ড. হেলাল বলেন, বিগত ১৭ বছর জাতি নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ কখনো দিনের ভোট রাতে করেছে, কখনো ১৫৪ আসনে বিনা ভোটে সরকার গঠনের নিশ্চয়তা নিয়েছে, কখনো আমি-ডামি নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর জাতি নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের আশা করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে বলে জাতি বিশ্বাস করে। ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইনসাফ ও ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় সমর্থন দিতে তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
সভা শেষে ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার শাহবাগে গণসংযোগ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানের মালিক-কর্মচারি এবং পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন ফুলবাড়িয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতিবিনিময়। মতবিনিময় সভায় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে না তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। চাঁদাবাজদের দল যদি কোনমতে ক্ষমতায় বসতে পারে তবে ফুটপাতের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারবে না। ব্যবসার টাকা নিয়ে বাসা-বাড়িতে ফিরতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে ফুটপাতের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী সবাই শান্তিতে ও নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবে। এক পয়সাও কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। তাই তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে সমর্থন কামনা করেন।
জামায়াতের শাহবাগ পূর্ব থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ফুলবাড়িয়া পূর্ব ওয়ার্ড সভাপতি মো. আলী হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শাহবাগ পূর্ব থানা আমীর আহসান হাবীব, সেক্রেটারি মো. নুরন্নবী রায়হানসহ শাহবাগ পূর্ব থানা এবং ফুলবাড়িয়া পূর্ব ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে বিএনপির মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ স্বৈরাচারীর বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। আর তাতেই শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের আত্মা শান্তি পাবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও তার অম্লান স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় নাম। তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে। তার এই মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, নব্বইয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রের বিজয়ে তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।
রাজনীতি
দুই দিনের কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলো জামায়াত

পাঁচ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গণমিছিল এবং রোববার (১২ অক্টোবর) সব জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবে দলটি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, আমরা বরাবরই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার যদি জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৫ দফা গণদাবি উপেক্ষা করে এবং তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে- তাহলে জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করতে বাধ্য হবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১০ অক্টোবর রাজধানী ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর সকল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হবে। দুই কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সফল করে জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫-দফা গণদাবি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রবাস
বিএনপি চীন শাখার বনভোজন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যেগে সংগঠনটির সাংগঠনিক বন্ধন সুদৃঢ় এবং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এক সফল ও আনন্দময় বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী বনভোজনটি চীনের হুইঝু শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আয়োজিত হয়। এই দুই দিনের অনুষ্ঠান ঐক্য ও উদ্যমের মধ্য দিয়ে চায়নায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করলো।
এই মনোরম সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চায়না বিএনপির নেতা সাখাওয়াত হোসেন কানন, শেখ মাহবুবুর রশীদ, ওয়ালী উল্লাহ, এস এম আল-আমিন, হাসমত আলী মৃধা জেমস, সালাউদ্দিন রিক্তা, মনোয়ার বায়েজীদ, মো. রোমান, জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম অপু, রাসেল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও, চায়না বিএনপির নেতা আসিফ হক রুপু ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হন।
প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যবর্তী এই দুই দিন ছিল সম্প্রীতি, আলোচনা ও পরিকল্পনায় পরিপূর্ণ। নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার পথ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রবাসে দলীয় কাঠামো ও কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করতে বদ্ধপরিকর।
এই অনুষ্ঠানে দেশটিতে বসবাসরত শতাধিকেরও বেশি বাংলাদেশি এবং বিএনপি ও এর অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি