শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি সেবা

ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালীন আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কাস্টম হাউস বা স্টেশনগুলোর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড (এনবিআর)। তবে শুধু ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: নীতি) মুকিতুল হাসানের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, আইসিডি, কমলাপুর, মোংলা, পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনারদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (পশ্চিম), ঢাকা (পূর্ব), ঢাকা (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমসের এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারকেও এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর সংগঠনটির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল।

শিল্প-বাণিজ্য
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এলো ৬৬ টন কাঁচা মরিচ

টানা বৃষ্টিতে সারাদেশে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল কাঁচামরিচের দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। শনি ও রোববার দুই দিনে এই বন্দরে মোট প্রায় ৬৫ দশমিক ৮১ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেকাঁচা মরিচন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরান বাজারের ব্যবসায়ী বুদ্দু ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে কাঁচামরিচের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে, আজ সারাদিন বিক্রি করেছি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে আশা করি।
বেসরকারি বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম জানান, শনিবার ৩০ মেট্রিক টন এবং রোববার ৩৫ দশমিক ৮১ মেট্রিক টন মরিচ আমদানি হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে। এতে বাজারে দাম আরও কমে আসবে।
সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, এই স্থলবন্দর দিয়ে সাধারণত কাঁচামরিচ খুব কমই আসে। তবে এবার দুই দিনে প্রায় ৬৫ দশমিক ৮১ মেট্রিক টন মরিচ এসেছে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট ৮ দশমিক ৪ মেট্রিক টন মরিচ আমদানি করা হয়েছিল। এছাড়া এই স্থলবন্দর দিয়ে ৫ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানির আইপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শিল্প-বাণিজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকাস্থা ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল’ (ওটেক্সা)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাপী পোশাক আমদানির পরিমাণ ৫.৩০ শতাংশ কমেছে। তবে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির পরিমাণ ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ চীনের রপ্তানি কমেছে ১৮.৩৬ শতাংশ। বিপরীতে, ভিয়েতনাম ও ভারতের রপ্তানি যথাক্রমে ৩২.৯৬ শতাংশ ও ৩৪.১৩ শতাংশ বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে ১৯.৮২ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে ১০.৭৮ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশের আমদানি ভলিউম ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউনিট মূল্যের ক্ষেত্রে, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ১.৭১ শতাংশ। চীন ও ভারতের ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৩৩.৮০ শতাংশ ও ৪.৫৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৬.৬৪ শতাংশ ও ৭.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কম্বোডিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৩৮.৩১ শতাংশ। বাংলাদেশে এই বৃদ্ধি হয়েছে ৭.৩০ শতাংশ।
ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এমন একটি ইউনিট মূল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক গড় মূল্যের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, যখন আমরা আমাদের নিকটতম প্রতিযোগী যেমন ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে তুলনা করি, তখন স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই উন্নতি রপ্তানির পরিমাণ না বাড়িয়েও মোট রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি মূল্য প্রায় সমান ছিল, অথচ ভিয়েতনামের রপ্তানি পরিমাণ ছিল চীনের অর্ধেকেরও কম। কারণ, ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। কম দামি পণ্য থেকে বেশি দামি পণ্যের দিকে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।
শিল্প-বাণিজ্য
টানা ৯ দিন বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ৯ দিন আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ইনচার্জ ও ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে আগামী ৪ অক্টোবর (শনিবার) পর্যন্ত বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ৫ অক্টোবর (রবিবার) থেকে যথারীতি বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।
তবে বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত প্রতিদিনই চালু থাকবে বলে জানা গেছে।
ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারতের ফুলবাড়ি এক্সপোর্টার এন্ড ইম্পোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ফুলবাড়ি ২ বর্ডার লোকাল ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ফুলবাড়ী সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশন ও ফুলবাড়ী ট্রাক ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশনের সভায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামীকাল থেকে ৪ অক্টোবর ৮ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর ও ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) বন্দরের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সব মিলিয়ে টানা ৯ দিন বন্দরে কোনো আমদানি ও রপ্তানি হবে না। বন্ধ শেষে ৫ অক্টোবর রবিবার থেকে বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ কেফায়েতুল্লাহ ওয়ারেস বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বন্দর দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীগণ ভারত, নেপাল ও ভুটানে যাতায়াত করতে পারবেন। দুর্গাপূজার ছুটিতে বন্দর ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শিল্প-বাণিজ্য
হিলি দিয়ে ৩৮ দিনে এলো এক লাখ ২০ হাজার টন চাল

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩৮ দিনে এক লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। চালের আমদানি হওয়ায় সব ধরনের চালে ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে স্বস্তি নেমে এসেছে বাজারে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরের অভ্যন্তরে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাকে আছে রয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা-৫, সম্পা কাটারি, ৪০/৯৪ (চিকন জাত) ও রত্না চাল। আর চালের মান বন্দরে দেখে কিনছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা। প্রতিকেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯ থেকে ৫০ টাকা, সম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা, ৪০/৯৪ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, ভারত থেকে ১২ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৩টি ট্রাকে শুল্কমুক্ত এক লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। এসব চাল ৫০০ থেকে ৫২০ ডলারে বন্দর থেকে খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা শুধু ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিয়ে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, ‘আমদানি চলমান রয়েছে। চালের দাম অনেক কম তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশির কারণে তেমন বিক্রি নেই। বন্দরে অনেক চালবোঝাই ট্রাক পড়ে আছে চাহিদা বাড়লে এসব বিক্রি হবে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী মমিনুর বলেন, ‘বন্দর থেকে চাল কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। চালের বর্তমান বাজার থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে। বাজার স্থিতিশীল থাকলে কিনতে এবং বিক্রি করতে সুবিধা নইতো আমাদের লোকসান গুনতে হয়।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অবহৃত রয়েছে। যেহেতু দেশের বাজারে চালে চাহিদা রয়েছে তাই আমদানিকারকরা দ্রুত যাতে বাজারজাত করতে পারে সেজন্য আমরা তাদের সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকর, গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ গেজেট প্রকাশিত হয়। নতুন এ মাশুল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়।
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, প্রত্যেকবার বন্দর এলাকায় প্রবেশের জন্য প্রতি গ্রজ টনের জন্য পয়েন্ট ৩০৬ ডলার, পোর্ট লিমিটের মধ্যে লাইটার ও ট্যাংকারের ভ্যাসেল ওয়ার্কিং চার্জ ধরা হয়েছে প্রতি গ্রজ টনে পয়েন্ট জিরো ১৭ ডলার। এরসঙ্গে ডেঞ্জারাজ গুডস ভ্যাসেলের ক্ষেত্রে ঘোষিত চার্জের ২৫ শতাংশ, ডেড ভ্যাসেলের জন্য ৫০ শতাংশ, লাইটারেজের জন্য ৫০ শতাংশ, ডিলে/ওভার স্টে চার্জ হিসেবে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে।
বন্দরে জাহাজ প্রবেশের জন্য জাহাজের প্রতি মুভমেন্টের জন্য সর্বনিম্ন পাইলটিং চার্জ ধরা হয়েছে ৮০০ ডলার। তাছাড়া ১০ হাজার গ্রজ টনের উপরের ভ্যাসেলের জন্য প্রতি গ্রজটনে পয়েন্ট জিরো ৮ ডলার চার্জ ধরা হয়েছে। এরসঙ্গে ব্রেকিং জার্নি হলে ঘোষিত চার্জের সঙ্গে ৫০ শতাংশ, ডেড ভ্যাসেলের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ, প্রবেশ বাতিলের জন্য প্রতিবারের জন্য ২০০ ডলার, নাইট নেভিগেশন ভ্যাসেলের জন্য ২৫ শতাংশ, বার্থ শিফটিংয়ের জন্য প্রতি মুভমেন্টে ৮০ ডলার, কর্ণফুলী নদীর বাইরের অংশে পাইলটিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত মাশুল নির্ধারণ করা হয়।
টাগ ব্যবহারের চার্জ হিসেবে প্রত্যেক মুভমেন্টে প্রতি ২০০টন থেকে ৫ হাজার গ্রজটনের জন্য কর্ণফুলী নদীর মধ্যে ৬১৫ ডলার, বাইরে ১২৩০ ডলার, ৫০০০ টন থেকে ১০ হাজার গ্রজটনের জন্য কর্ণফুলীর মধ্যে ১২৩০ ডলার, বাইরে ২৪৬০ ডলার, ১০হাজার থেকে ২০ হাজার গ্রজটনের জন্য ভেতরে ২০৫০ ডলার, বাইরে ৪১০০ ডলার এবং ২০ হাজার গ্রজটনের ওপরের জন্য ভেতরে ৩৪১৫ ডলার ও বাইরের জন্য ৬৮৩০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। এরসঙ্গে ডিজেবল কিংবা ডেব ভ্যাসেলের ক্ষেত্রে মূল চার্জের বাইরে ১০০ শতাংশ. বাতিলের জন্য ৫০ শতাংশ, শিফটিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ, কর্ণফুলী নদীর মধ্যে ৪ ঘণ্টার বেশি সার্ভিসের জন্য ২৫ শতাংশ, কর্ণফুলী নদীর বাইরে ৬ ঘণ্টার বেশি সার্ভিসের জন্য ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ ধরা হয়েছে।
জাহাজ বন্দরের জেটিতে বার্থিংয়ের জন্য প্রতি গ্রজটনে প্রতি ঘণ্টায় পয়েন্ট জিরো জিরো ৪ ডলার, প্রতিবারে বার্থিং আনবার্থিংয়ের জন্য ৯৪ পয়েন্ট ৩২ ডলার, সমুদ্রগামী জাহাজের ক্ষেত্রে প্রতি জাহাজে দৈনিক ২২৪ দশমিক ৮৫ ডলার এবং সমুদ্রগামী নন এমন জাহাজের ক্ষেত্রে জাহাজপ্রতি দৈনিক ২২ দশমিক ৪৯ ডলার মাশুল নির্ধারণ করা হয়। এরসঙ্গে নোটিশ করার পর বার্থ ত্যাগ না করলে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ১০০ শতাংশ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ৩০০ শতাংশ, ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ৪০০ শতাংশ, ৩৬ ঘণ্টার বেশি ডিলে করলে ৯০০ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে শিফটিংয়ের জন্য প্রতিবারে ৪৭ দশমিক ১৬ ডলার মাশুল ধরা হয়।
জাহাজে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে মেইন সাপ্লাই লাইন থেকে প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ২ দশমিক ৯২ ডলার, বন্দরের লরি দিয়ে (৫ কিলোমিটারের নীচে) প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ৬ পয়েন্ট ২৩ ডলার, ৫ কিলোমিটারের উপরে প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ৮ দশমিক ২৩ ডলার, বন্দরের ওয়াটার বোট ব্যবহার করে কর্ণফুলী নদীর মধ্যে প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ১২ দশমিক ৪৬ ডলার এবং পতেঙ্গা লাইট হাউজ থেকে ৭ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ১০০০ লিটারের জন্য ১৮ দশমিক ৬৯ ডলার, পতেঙ্গা লাইট হাউজ থেকে ৭ নটিক্যাল মাইলের বাইরে প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ২৪ দশমিক ৯৬ ডলার এবং বন্দরের বাইরের কোন পক্ষ থেকে পানি সরবরাহ নিলে প্রতি ১০০০ লিটারে ওয়াসার দরের ২০ শতাংশ বেশি হারে ওভারহেড চার্জ ধরা হয়েছে।
ওয়েস্ট হ্যান্ডলিং চার্জের ক্ষেত্রে কর্ণফুলী নদীর মধ্যে স্বল্পদূরত্বে প্রতিবারের সেবায় ২৪৫৬ দশমিক ৯৯ ডলার, কর্ণফুলী নদীর বাইরে প্রতিট্রিপের সেবায় ৪০৬৩ দশমিক ১৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বন্দরের ক্রেন ব্যবহারের জন্য (কী গ্যান্ট্রি, মোবাইল হার্বার, একই ধরণের অন্য যন্ত্র) প্রতি মুভমেন্টে পণ্যভর্তি কন্টেইনার প্রতি ২১ ফুটের নীচে ২০ দশমিক ৮০ ডলার, ২১ থেকে ৪০ ফুটের জন্য ৩১ দশমিক ২০ ডলার এবং ৪০ ফুটের উপরের জন্য ৩৫ দশমিক ১০ ডলার, খালি কন্টেইনারের ক্ষেত্রে প্রতি ২১ ফুটের নীচে ১০ দশমিক ৪০ ডলার, ২১ থেকে ৪০ ফুটের জন্য ১৫ দশমিক ৬০ ডলার এবং ৪০ ফুটের উপরের জন্য ১৭ দশমিক ৫৫ ডলার, জেটি ক্রেন ব্যবহারের জন্য ক্রেনপ্রতি প্রতি ৮ ঘণ্টার জন্য ১০ টনের নীচে ৫৮ দশমিক ২৪ ডলার, ১০ থেকে ৪০ টনের জন্য ১৭৪ দশমিক ৭২ ডলার এবং ৪০ টনের উপরে ২৯১ দশমিক ২০ ডলার এবং হ্যাজ কভারের জন্য প্রতিবারে প্রতি প্যানটনে ৩৫ দশমিক ১০ ডলার চার্জ নির্ধারণ করা হয়।