সারাদেশ
দিরাইয়ে ট্রাকে তল্লাশিকালে দুই ডাকাত গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সড়কে চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা মামুনুর রশিদ মামুন নামে এক পুলিশ সদস্যকে ডাকাতদল ট্রাকে করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে টহলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের নজরে এলে ডাকাতের ট্রাকের পিছু ধাওয়া করে পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার ও ডাকাতদলের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ডাকাতদলের ট্রাক গতিরোধ করে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার ও অপহরণের শিকার পুলিশ কনস্টেবল মামুনুর রশিদ মামুনকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত ১টার সময় শান্তিগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ২ ডাকাত হলেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আলারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহ আলম (৩০) ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের আজিম আলীর ছেলে নুরুল আমিন (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে দিরাই থেকে দ্রুত গতিতে একটি ট্রাক সুনামগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকের গতি সন্দেহজনক হওয়ায় পথে দিরাইয়ের শরিফপুর এলাকার চেকপোস্টে ট্রাকটিতে তল্লাশি করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় কনস্টেবল মামুনকে অপহরণ করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল ডাকাতরা।
তখন বিষয়টি অন্য পুলিশ সদস্যদের নজরে এলে ট্রাকটিকে তারা ধাওয়া করেন এবং শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পুলিশ সদস্যকে নিয়ে সিলেটের দিকে যাওয়া চেষ্টা করে। পথে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিলেট থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। প্রাইভেট কারটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে কারে থাকা দুই যাত্রী রক্ষা পান।
এসময় পুলিশ সদস্যরা অপহরণের শিকার কনস্টেবল মামুনকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। ডাকাতদলের ট্রাক থেকে দেশীয় কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে, খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে ডাকাতদের গণধোলাই দেন। গণধোলাইয়ে ডাকাতদলের ২ সদস্য আহত হন। আহত দুই ডাকাতকে রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্য মামুন সুস্থ আছেন। ডাকাতদলের ২ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএম

সারাদেশ
রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

‘চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’- এমনি একটি চিরকুট পাওয়া গেছে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামুনশিখড় এলাকায় একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হওয়া সেই বাড়ি থেকে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেত। তাদের মরদেহ দুটি ঘরে পাশাপাশি পড়ে ছিল। আর মিনারুলের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের বোঝা নিয়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেটা নিহত মিনারুলের লেখা। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সারাদেশ
৭০ ট্রাক জব্দ, ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

লেটের কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে অবৈধভাবে পাথর লুট ও পাচারের বিরুদ্ধে বুধবার রাত থেকে শুরু করে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৭০টি ট্রাকে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে নদীতে পুনরায় ফেলার প্রক্রিয়া চলছে। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত পাথরের বড় অংশ ধলাই নদীতে ফেরত দেওয়ার কাজ চলছে, যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন রাঘব বোয়ালকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাদাপাথর এলাকায় প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচার করে আসছে। সম্প্রতি এই লুটপাটের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে ধলাই নদীর তীরবর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে উত্তোলিত সব পাথর উদ্ধার ও জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
এবিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুত বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চেকপোস্টে গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এ সময় প্রায় ৭০টি গাড়িতে সাদাপাথর এলাকার পাথর শনাক্ত হলে সেগুলো পুনরায় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সারাদেশ
সিলেটের পাথর উদ্ধারে অভিযানে নামছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে এবার অভিযানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিছুক্ষণের মধ্যেই এ অভিযান শুরু হবে। দুদকের সিলেট সমন্বিত কার্যালের কর্মকর্তারা অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের অসাধু ব্যাক্তিদের যোগসাজশে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকার পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইনফোর্সমেন্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এ অভিযান শুরু হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে শত শত ট্রাকে করে পাথর সরিয়ে নেওয়ার এক্সক্লুসিভ ভিডিও প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এ ছাড়া কালবেলায় পাথর লুটপাট নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সারাদেশ
বিপৎসীমায় পদ্মার পানি, টি-বাঁধ এলাকায় প্রবেশ নিষেধ

রাজশাহীতে পদ্মার পানি বেড়েই চলেছে। টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে জুলাই থেকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। তবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে পদ্মাতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। এ ছাড়া পদ্মা নদীর চরও ডুবে গেছে। চর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেকে রাজশাহী শহরের দিকে আসছেন।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের শেষ দিকে রাজশাহীতে পদ্মায় পানি বাড়তে শুরু করে। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৬টায় পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ১৩ মিটার। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ছয়টায় তা বেড়ে ১৭ দশমিক ৩২ মিটার এবং মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ১৭ দশমিক ৪৩ মিটার হয়েছে। রাজশাহীতে পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক শূন্য ৫ মিটার।
প্রতিদিন সকাল ৬টা, ৯টা, দুপুর ১২টা, বেলা ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টায় পানির উচ্চতা মাপা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, আজ সকাল ৬টায় ১৭ দশমিক ৪৩ মিটার পানির উচ্চতা মাপা হয়েছে। বিপৎসীমা ১৮ দশমিক শূন্য ৫ মিটার।\
পদ্মার পানি বেড়ে রাজশাহী শহরের তালাইমারী, কাজলা, পঞ্চবটি, পাঠানপাড়া, লালনশাহ মঞ্চ, শ্রীরামপুরসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা বাড়ি ছেড়েছেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তালাইমারী ও পঞ্চবটি এলাকায়।
রাজশাহীর মিরা খাতুন নামের একজন বলেন, রাত দুইটার দিকে ঘরে পানি আসে। রাত থেকে ঘুম হয়নি। সকাল থেকে জিনিসপত্র সরাচ্ছেন। লাইলি বেগম নামে এক নারী পদ্মার বাঁধের ধারে দুই দিন ধরে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, তাঁর বাড়ি নিচু হওয়ায় দুই দিন আগে বাড়ি ছেড়েছেন। এলাকায় সাপের ভয়ও রয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পানি এবার হয়েছে।
পানি বাড়ার কারণে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ, পবার চরখিদিরপুর ও বাঘার চকরাজাপুর চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পদ্মার দুই পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙনও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চকরাজাপুরে। অনেক বাড়ি ইতোমধ্যে সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে কবরও।
চর খিদিরপুরের বাসিন্দা আবদুল হাকিম বলেন, চর প্রায় ডুবে গেছে। বেশিরভাগ মানুষ ওইপারে চলে গেছে। গবাদিপশুও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চর থেকে মানুষ নৌকায় মালপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। কেউ আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসায় উঠছে।
বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন শিকদার বলেন, নদীপাড়ের অনেক ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনদের কবর নদীতে ভেঙে নেমে যাচ্ছে।
চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর ভাঙনের কারণে আমার স্কুল তিনবার স্থানান্তর করা হয়েছে। এবারও আতঙ্কে আছি।
রাজশাহীতে পদ্মাপাড়ের জনপ্রিয় বিনোদন স্থান ‘টি-বাঁধ’ এলাকায় পানি বিপৎসীমায় পৌঁছানোয় পানি উন্নয়ন বোর্ড গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে এবং ফারাক্কার বেশির ভাগ কপাট খোলা থাকায় পদ্মার পানি বেড়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য ‘টি-বাঁধ’ এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও টুরিস্ট পুলিশ। অনেকেই দেয়ালের পাশ দিয়ে ঢুকছে, যা আরও কড়াকড়ি করা হবে।
সারাদেশ
খাদ্য মজুত ইতিহাসের সর্বোচ্চ: খাদ্য উপদেষ্টা

বর্তমানে দেশে ২১ লাখ ৭৯ হাজার টন খাদ্য মজুত রয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি এই মজুতকে “অত্যন্ত সন্তোষজনক” বলে উল্লেখ করেছেন।
গতকাল (সোমবার) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা।
আলী ইমাম মজুমদার জানান, নিরাপদ খাদ্য মজুদের ন্যূনতম পরিমাণ হলো প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন। খাদ্য নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও জানান, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এই বছর ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। এবার সুবিধাভোগী পরিবারের সংখ্যা ৫ লাখ বাড়িয়ে মোট ৫৫ লাখ পরিবারে পৌঁছানো হবে। প্রত্যেক সুবিধাভোগী পরিবার প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাবে।
তিনি বলেন, গত বছর এই কর্মসূচি পাঁচ মাস চললেও এ বছর তা ছয় মাস ধরে চলবে। প্রথম ধাপে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাস এই কর্মসূচি চলবে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এটি বন্ধ থাকবে এবং ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আবার শুরু হবে। এ বছর এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১০ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না এবং কোনো অসদাচরণের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর এবং ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া খাতুন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।