রাজনীতি
এটিএম আজহারুলের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: জামায়াতের আমির

জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কেন হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমার চেয়েছি অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীনের উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু কাউকে মুক্তি দিবে কাউকে মুক্তি দিবে না সরকারের এমন কর্মকান্ডে জাতি আশাহত হয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে হয়, অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ জুলুমের শিখার সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফেরত দিবে দিতে হবে। নতুবা জামায়াতে ইসলামী রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান রাখবে। এবং আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ফ্যাসিবাদের জুলুম ধরে রাখা যাবে না। সকল জুলুমের কবর রচনা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জামায়াত আমির আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগ বিচারিক হত্যা করেছে। যখন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম, তখন আওয়ামী লীগ তাকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিগত ১৩ বছর কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
ফ্যাসিবাদের ভাষায় নয় রাজনীতির ভাষায় কথা বলতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী এক আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ভয় করে না। কারো কাছে মাথানত করে না। বহু আপোসের প্রস্তাব জামায়াতে ইসলামী ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। কারা কোথায় মাথানত করেছে তা আমাদের জানা আছে, তথ্যও আছে। জামায়াতে ইসলামী কারো চোখ রাঙ্গানীকে ভয় করে না। বরং সকল অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদের নিপাত করতে জানে।
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের থেকে জানতে চান, বিগত সাড়ে ১৫ বছর যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে লড়াই করা হয়েছে, বৈষম্য মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সেই লড়াই অব্যাহত রাখা যাবে কিনা?- এসময় উপস্থিত লাখ-লাখ নেতাকর্মী লড়াই অব্যাহত রাখার স্লোগান দিতে দেখা যায়। দেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। তাই দেশ যতদিন বৈষম্যমুক্ত না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ হবে না। কারণ, আমাদের বিজয় সবে শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। তিনি উচ্চকিত কন্ঠে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের যুদ্ধ-সংগ্রাম চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে প্রহসন ও ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গুরুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতনের পরও তার মুক্তির দাবি নিয়ে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারের মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় আগামী দিনের আন্দোলনকে সর্বাত্মক রূপ দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, যদি চোখের ভাষা আর মুখের ভাষা সরকার না বুঝে তবে যেই ভাষা সরকার বুঝবে সেই ভাষাই ব্যবহার করা হবে। বিপ্লবের পর বিপ্লবী নেতা কারাগারে থাকতে পারে না। ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছে এদেশ থেকে জুলুমের ইতিহাস মুজে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে। সেই মানবিক রাষ্ট্র গঠনে যারা বাঁধা হবে তাদের পরিণতিও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মতই হবে। এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ জুলুমের শিকার সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-জনতার নামে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দায়ের করা সব মামলা বাতিল করতে হবে। নতুবা আমরাও কঠোর হতে বাধ্য হবো।
সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর প্রধান উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন। আইন উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন। অথচ আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়ে যেই বিপ্লবী নেতা বিগত ১৩ বছর কারাগারে বন্দি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমরা গত ৬ মাস অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়েছি। কিন্তু সরকার বৈষম্য দূর না করে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। কেউ মুক্তি পাবে, কেউ মুক্তি পাবে না এটা নতুন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। নয়তো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেন নূরুল ইসলাম বুলবুলু।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারী কামরুল আহসান হাসান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রমহানের নেতৃত্বে কয়েক লাখ নেতাকর্মী পল্টন মোড় থেকে শুরু করে শাহবাগে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে।

রাজনীতি
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান তারেক রহমানের

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য আমার দোয়া রইল এবং আমি আশা করি সবাই নিরাপদে আছেন।’
জনসেবার প্রতি সত্যিকারের নিষ্ঠা প্রদর্শন করে দ্রুত এবং সাহসের সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যদের প্রশংসা করেন তিনি।
তারেক রহমান মিরপুর এবং চট্টগ্রাম ইপিজেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, ‘সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য জননিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত করা অপরিহার্য।’
উল্লেখ্য, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে শনিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
রাজনীতি
রমনায় জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদেরকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রমনা থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ থেকে মুক্তির জন্য জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, একইভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করা আবশ্যক। তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, ধর্ষণ ও লুটপাট করছে, তারা ক্ষমতায় গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, যা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু অতীতের সরকারগুলোর দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে।
ড. হেলাল উদ্দিন ঢাকা-৮ এলাকার জনসাধারণের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে এই এলাকাকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলবেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত সমাজ গঠনে জামায়াত বদ্ধপরিকর। তিনি ১৯ নং ওয়ার্ড বাসিন্দাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জামায়াতের সংগ্রাম চলবে।
রমনা থানার উদ্যোগে আয়োজিত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাত শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ প্রদান করেন।
রাজনীতি
মাদক-সন্ত্রাস পরিহার করে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, মাদক-সন্ত্রাস ও অপকর্মকে পরিহার করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা সমাজকে সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর টাউন হল এবং পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আমরা এই সমাজকে সুন্দর ও ভালো করতে চাই। সমাজকে সুন্দর ও ভালো করতে শিক্ষার্থীদের পাশে আছি এবং থাকব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে এই জেনারেশনকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে নিতে হবে, এগিয়ে দিতে হবে। তারা ছাড়া এই জাতির জন্য কোনো বিকল্প নেই। তারা জুলাই আন্দোলনে সেটা আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই জেনারেশনকে প্রপারলি যদি গাইড করতে না পারি, তাহলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।
তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার কোমলতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভ্যানগার্ড যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে এই সমাজে একটি অবক্ষয় তৈরি হয়েছে।
এ্যানি বলেন, এই প্রজন্ম এই সমাজকে মাদকের মাধ্যমে, মাদকের ব্যধিতে এমনভাবে নিয়ে আসা হয়েছে যে, এই জেনারেশন খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। অভিভাবকরা চিন্তিত থাকে। মাদক থেকে সন্ত্রাস, রাহাজানি এবং অপকর্ম এমনভাবে হয়েছে যে, সমাজটা একটা ট্রমায় পড়ে আছে। যদি এখান থেকে একটি সামাজিক আন্দোলন করে মুক্তি পেতে চাই, তাহলে সেই আলো ভ্যানগার্ড আমাদেরকে দেখাবে এবং দেখাচ্ছে।
ভ্যানগার্ডের প্রতিষ্ঠাতা নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ছাত্রদল নেতা আকবর হোসেন মুন্না ও রোকন উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মঞ্জুরুর রহমান, চর মটুয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমেদ আবু তাহের, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. হাসিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা ফাঁকফোকরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গতকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যেসব বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি এটা তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছুসংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে মনে করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভিন্ন ফাঁকফোকরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো সঠিক জুলাই বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কেউ থাকতে পারে না।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি সেখানে যান।
সবার মধ্যে সহনশীলতা আসবে বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, হয়তো তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে, সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। একপর্যায়ে তারা স্বাক্ষর করবে বলে বিশ্বাস করি। আর গণতন্ত্রে সবাই একমত হবে, এমন তো নয়। ভিন্নমত থাকতেই পারে।
এসময় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও জেডআরএফের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অ্যডাভোকেট মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার ইজাজ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচিসহ অনেকেই।
রাজনীতি
জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা জনগণ থেকে ছিটকে গেছে: নাহিদ

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা গণ-অভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ বলেন, জুলাই সনদের স্বাক্ষর কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বা চাওয়ার কোনো প্রতিফলন গতকালের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঘটেনি বলে আমরা মনে করছি। এরপরও আইনি ভিত্তি না থাকলে এটা জনগণের সঙ্গে একটা প্রতারণা হবে।
তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে তাদের নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, এটা আনুষ্ঠানিকতার জন্য তারা করেছে। তবে, এটাকে এখন আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সুবিধাভোগীরা আগের কাঠামো ধরে রাখতে ষড়যন্ত্র করেছে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল সমঝোতা করেছে; তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি সেটা করেনি। জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি। যারা গতকালের অনুষ্ঠানে গেছে তারা গণ-অভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ ও মতৈক্য প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত হওয়া বহুল কাঙ্ক্ষিত ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল শুক্রবার। এদিন বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত হয় এ সনদ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন জুলাই জাতীয় সনদে। তবে, মতভিন্নতার কারণে সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) পাঁচটি দল।