রাজনীতি
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট দিনে ৬৪ জেলায় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কোথায় বক্তব্য দেবেন তার তালিকা প্রকাশ করেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাট, নজরুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ফেনী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খুলনা, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ব্রাক্ষণবাড়িয়া, আসাদুজ্জামান রিপন রাজবাড়ি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পটুয়াখালী, আরিফুল হক চৌধুরী সুনামগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উ্ন নবী খান সোহেল জামালপুর।
১৭ ফেব্রুয়ারি: মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যশোর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান টাঙ্গাইল, সেলিমা রহমান মাদারীপুর, আবদুল আউয়াল মিন্টু চাঁদপুর, শামসুজ্জামান দুদু ঠাকুরগাঁও, আবদুস সালাম বগুড়া, আরিফুল হক চৌধুরী মৌলভীবাজার, জহির উদ্দিন স্বপন ভোলা।
১৮ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু পাবনা, শামসুজ্জামান দুদু পঞ্চগড়, জয়নুল আবদিন ফারুক কুমিল্লা দক্ষিণ, আবুল খায়ের ভুঁইয়া ঝিনাইদহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী হবিগঞ্জ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নেত্রকোনা।
১৯ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নোয়াখালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সিলেট, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ, মিজানুর রহমান মিনু কুষ্টিয়া, ফরহাদ হালিম ডোনার শরীয়তপুর, মজিবুর রহমান সারোয়ার পিরোজপুর, রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী।
২০ ফেব্রুয়ারি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লক্ষীপুর, সেলিমা রহমান বরিশাল দক্ষিণ, আবদুল আউয়াল মিন্টু ময়মনসিংহ দক্ষিণ, আসাদুজ্জামান রিপন ফরিদপুর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান চুয়াডাঙ্গা, মিজানুর রহমান মিনু নওগাঁ, আবদুস সালাম কুড়িগ্রাম।
২২ ফেব্রুয়ারি: জয়নাল আবেদীন ঝালকাঠি, আহমেদ আজম খান চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ময়মনসিংহ উত্তর, হারুনুর রশীদ জয়পুহাট, মাহবুব উদ্দিন খোকন কুমিল্লা উত্তর, আসলাম চৌধুরী বান্দরবান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া রংপুর, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ নরসিংদী।
২৪ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মুন্সিগঞ্জ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বরিশাল উত্তর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী নড়াইল, আহমেদ আজম খান নাটোর, হারুনুর রশীদ গাইবান্ধা, হাবিব উন নবী খান সোহেল রাঙ্গামাটি, আবদুস সালাম আজাদ মাগুরা, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সৈয়দপুর।
২৫ ফেব্রুয়ারি: স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নারায়ণগঞ্জ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গাজীপুর, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চট্টগ্রাম উত্তর, বরকত উল্লাহ বুলু বাগেরহাট, নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দিনাজপুর, আমান উল্লাহ আমান মেহেরপুর, জয়নুল আবদিন ফারুক নীলফামারী, মনিরুল হক চৌধুরী খাগড়াছড়ি, আবদুস সালাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
কাফি

রাজনীতি
এনসিপির নতুন অঙ্গসংগঠনের আত্মপ্রকাশ

ঐক্য, সংগ্রাম, মর্যাদা ও মুক্তির পতাকা হাতে শ্রমিকের রাষ্ট্রক্ষমতা প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন অঙ্গসংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’। সংগঠনটির আহ্বায়ক হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম ফকির, সদস্য সচিব রিয়াজ মোরশেদ এবং মুখ্য সংগঠক আরমান হোসেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে ইস্কাটন নেভি কলোনিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থান ছিল, সেখানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন শ্রমিকরা। ন্যায্য মজুরির জন্য চব্বিশের শুরুর দিকেও আন্দোলনে নামতে হয়েছিল তাদের, পুলিশের গুলিতে শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন। সে সময় শ্রমিকের অধিকার ছিল না।
রাজনৈতিক দলের ঐক্য ‘জাতীয় ঐক্য’ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য তখন হয়, যখন সমাজের সব অংশের মানুষ দেশপ্রেমের ভিত্তিতে এক হয়ে লড়াই করে। যেটা আমরা দেখেছিলাম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে। সেসময় কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার দেখিনি। শুধু দেখেছিলাম ছাত্র-শ্রমিক এবং নানান পেশাজীবী। আমরা সেই জাতীয় ঐক্যের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ছাত্র শ্রমিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করবে লড়াই করবে।
সংস্কার কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অনেকগুলো কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু শ্রম কমিশন নিয়ে কোনো আলোচনা দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য কমিশন নিয়েও কোনো আলাপ নেই। মানুষের জীবনের সঙ্গে যে গণসেবামূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জড়িত তার সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়েছে। সেখানেও গণতন্ত্রের জন্য ভালোকিছু দেখতে পারছি না।
গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াইয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক রূপান্তরেও ছাত্র শ্রমিক এবং সব পেশাজীবী মানুষ এক হয়ে লড়াইও করবে বলে প্রতিজ্ঞা করেন নাহিদ ইসলাম।
নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, যেদিনে কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি কাগজে সই করছে, সেইদিনে জাতীয় শ্রমিক শক্তি রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। আমরা জানি রাজপথের শক্তি জয়ী হয়। ইনশাআল্লাহ, জাতীয় শ্রমিক শক্তিও জয়ী হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি শ্রমিকদের পক্ষে রাজনীতি করবে।
যেই মাফিয়ারা শ্রমিকদের শোষণ করে গেছে, লুটপাট করে গেছে, তাদেরকে এখনও বিচারের আওতায় আনা হয়নি, তাদের এখনও প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এনসিপির আহ্বায়ক।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, জাতীয় শ্রমিকশক্তি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে। বাংলাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের প্রতি অসম্মানের আচরণ করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবেও এই বৈষম্য চালানো হচ্ছে।
শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত কয়েক বছরে হাজারো শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। তাদের হত্যার জন্য দায়ীদের তেমন বিচার হয়নি।
বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ করতে হলে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করাও শ্রমিকশক্তির অন্যতম লক্ষ্য।
রাজনীতি
জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ

জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতারা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এই সাক্ষাৎ হয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও মনির হায়দার চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। তারা কমিশনের সভাপতি ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ জানান।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে ড. বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার কাছে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছি। তিনি তার শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন। খালেদা জিয়া এ দাওয়াতে আনন্দিত হয়েছেন। শুক্রবারের জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
মনির হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দলই এতে অংশ নেবে। খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করুক বা না করুক, তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ড. ইউনূস বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ সনদ স্বাক্ষরের সাফল্য কামনা করেন। কমিশন এখনই কোনো নেতিবাচক চিন্তা করতে চায় না।
তিনি আরও জানান, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় তার আমন্ত্রণপত্র চেয়ারপারসনের একান্ত সচিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজনীতি
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

জুলাই সনদসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটরের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
রাজনীতি
জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে: ড. হেলাল

জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা–৮ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, একটি দল জানে, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ রাজনীতি টিকবে না- তাই তারা গণভোট এড়াতে নানানভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ঢাকা–৮ সংসদীয় এলাকার ট্রেড ও সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জাতীয় স্বার্থে নভেম্বরে জুলাই সনদের গণভোট এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি। যদি সরকার নভেম্বরের মধ্যে গণভোট না দিয়ে নির্বাচনের দিনেই তা আয়োজন করে, তবে প্রমাণিত হবে সরকার একটি দলের নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। কোনো এমপি বা মন্ত্রী সরকারি প্লট, ফ্ল্যাট বা ট্যাক্সবিহীন গাড়ি নেবে না। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা এমপিদের হাতে যাবে না- বরং কাজ শেষে জনগণের সামনে হিসাব দিতে হবে।
ড. হেলাল উদ্দিন ব্যবসায়ী সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কোনো ব্যবসায়ীকে এক টাকাও চাঁদা দিতে হবে না। ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন, যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি ও সুদমুক্ত সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। কেউ আর অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে না।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে আল্লাহভীরু, সৎ ও নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া বিকল্প নেই। তাই দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাজনীতিবিদদের বয়কট করে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
ঢাকা–৮ আসনের জনগণ তাকে সুযোগ দিলে এই অঞ্চলকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত শান্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং ঢাকা–৮ আসনে নির্বাচন পরিচালক মুহাম্মদ শামছুর রহমান। পরিচালনা করেন পল্টন থানা আমীর ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শাহীন আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মাওলানা শরিফুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার খন্দকার আব্দুর বর এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি সোহেল রানা মিঠু।
অনুষ্ঠানে ঢাকা–৮ আসনের জামায়াতে ইসলামীর সব সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
জোটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস আলম

আগামী নির্বাচনে এনসিপি এককভাবে অথবা জোটগতভাবে অংশ্রগহণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে জোটগতভাবে অংশ নিলেও শাপলা প্রতীকে নির্বাচনে করার আশা করেন তিনি।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত বাধা না থাকার কথা জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রতীকটি তালিকাভুক্ত করার কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের। কমিশন চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকা সংশোধন করতে পারে বলে জানান সারজিস। এছাড়া এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর-এর পক্ষে থাকলেও নিম্নকক্ষে পিআর-এর পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনগত ভিত্তি, বাস্তবতা ও ডিসেম্বরের মধ্যে গণহত্যার বিচার পেলে আগামী নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এরপরও ভারত বা অন্য কোনো এজেন্ট নির্বাচনে বাধা দিলে তা কাজে আসবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সারিজস আলম।
এনসিপিকে কিংস পার্টি বলার প্রতিবাদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সারজিস আলম। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব দেওয়ার প্রাসঙ্গিতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে যে প্রতিষ্ঠান থেকে যতটুকু প্রাপ্তি আসার কথা তা আসছে না। সেই জায়গা থেকে দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত সবার নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বলে জানান তিনি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জামালপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ) আশিকিন আলমসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সমন্বয় সভায় জামালপুর জেলার ৭ উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন- বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এনসিপি একটি শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করে তুলতে হবে।