পুঁজিবাজার
১০ বছরে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে: ডিএসই চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা গত ১০ বছরে অর্ধেকে নেমে এসেছে। সক্রিয় বিনিয়োগকারী আরো অনেক কম বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ডিএসই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, গত ১০ বছরে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের দুর্বল আইপিও বাজার এসেছে। ভালো কোম্পানি আছে ছিল একেবারেই নগণ্য। বাজার ভীষণভাবে সংকোচিত হয়েছে, আর্থিক খাতে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল তা রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। দীর্ঘদিন ধরে যে অনিয়ম অদক্ষতাকে আমরা যেভাবে লালন করেছি সেটাই পুঁজিবাজারকে ইতিবাচক হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে সক্ষমতা পরিমাপের অন্যতম একক বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কর্পোরেট বন্ডের পরিমাণ যদিও এক শতাংশ বলা হয় প্রকৃতপক্ষে তা ০ দশমিক ৫১ শতাংশের বেশি নয়। বাজারে নতুন আইপিও, কর্পোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড আমাদের অগ্রাধিকারী রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি আমরা সক্ষম করতে না পারি তাহলে হয়তো আমরা আবারো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যাব। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করতে হলে কিছুটা সময় আমাদের লাগবে। পুঁজিবাজার লিডিং এবং কোঅর্ডিনেশনের জায়গায়টা হোল্ড করবে। ডিএসইকে সামনে এগিয়ে নিতে দক্ষ মানব শক্তি লাগবে। আমরা নেতৃত্ব গুণাবলী সম্পূর্ণ লোকবল নিয়োগ দিচ্ছি। আমরা আশা করছি বাজারে আস্থা চাইতে ভালো হবে, বিনিয়োগকারীরা আবার ফিরে আসবে। আইটি সিকিউরিটি অডিটটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিএসই ওয়েব সাইটটাকে আমরা রিভাইব করছি। বিশেষ করে কিভাবে আইপিও টাকে ডিজিটালাইজড করা যায়। বন্ড মার্কেটও পরিচালনা সমস্যা, আমরা বিএসইসির সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
মামুনুল ইসলাম বলেন, আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সে কাজও আমরা করছি। ইনসাইডার ট্রেড এবং ম্যানুপুলেশন কিভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি। মার্কেট ডিভলমেন্টের ক্ষেত্রে রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাজারে রিসার্চের মাত্রা খুবই কম এবং এটা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সরকারের নজরে থাকলেও পুঁজিবাজার উপেক্ষিত হয়েছে। পুঁজিবাজার কিভাবে সরকারের পাইরোটি লিস্টে আসে তা নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুঁজিবাজার ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আমাদের দেশেও এটা করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মেজর জেনারেল কামরুল ইসলাম ( অব), মো. শাকিল রিজভী, মো. শাহজাহান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, বিএম বিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন এবং ডিএসই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি

পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

বিদায়ী সপ্তাহে (১২ অক্টোবর-১৬ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ২৬.৬৭ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ২০.৪৫ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ফাস ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৩০ পয়সা বা ২০ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭.৪২ শতাংশ, আইএসনের ১৬.৬৩ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ১৬.০৭ শতাংশ, বিআইএফসির ১৫.৬৩ শতাংশ, সি পার্লের ১৫.৪২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১৫.৩৮ শতাংশ এবং অ্যারামিট লিমিটেডের ১৫.৩২ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (১২ অক্টোবর-১৬ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের। সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৫০ পয়সা বা ২২.৭৩ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিমটেক্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৩.৯৯ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা বা ১১.২৪ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ১১.২৪ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১০.৭৯ শতাংশ, সেনা ইন্স্যুরেন্সের ১০.৩২ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১০.২৯ শতাংশ, পূরবী ইন্স্যুরেন্সের ৭.৬৬ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৬.৭৬ শতাংশ এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের ৬.৭৪ শতাংশ দর বেড়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ডমিনেজ স্টিল

বিদায়ী সপ্তাহে (১২ অক্টোবর-১৬ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে ডমিনেজ স্টিল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৮৯ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৮৬ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.২১ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে সামিট অ্যালায়েন্সের ১৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, প্রগতি লাইফের ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, রূপালী লাইফের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং সিমটেক্সের ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বিডির আয় কমেছে ৯৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৯৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৪০০ টাকা ১ পয়সা। গত বছর এক্সট্রা অর্ডানারি ইনকামের (মূল ব্যবসার বাইরের আয়) কারণে ইপিএসে বড় উল্লম্ফন ঘটেছিল। এবার সে আয় না থাকায় দুই বছরের আয়ে বিশাল ব্যবধান হয়েছে।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ৪১৩ টাকা ৫ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২০৮ টাকা ১৪ পয়সা।
কাফি
পুঁজিবাজার
ইনডেক্স এগ্রোর লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ৫ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৫২ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৪৮ পয়সা।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১০ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৪ টাকা ৭৭ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৮৫ টাকা ৭৪ পয়সা।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ নভেম্বর।
কাফি