রাজধানী
ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আজ ১ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের এই দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গঠিত এ সংগঠন দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনে পরিণত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদল বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনটির সূচনা করা হয়। দুপুর ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটরিয়ামের সামনে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ২টায় আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক হিসেবে দলীয় কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলেন, “গণমানুষের মুক্তি এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে ছাত্রদল কাজ করছে। বিগত আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার আমাদের।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনাই আমাদের লক্ষ্য। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে নিয়মিত ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে।”
কাফি

রাজধানী
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে মানিক মিয়া এভিনিউ রণক্ষেত্র

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষে মানিক মিয়া এভিনিউ একরকম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত ‘রোড ব্লকার’গুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনের সামনে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে তৈরি করা অস্থায়ী তাঁবুতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় আন্দোলনকারীদের মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আসাদগেটে অবস্থান করছেন আর আসাদগেটের ওপারে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি এখন থমথমে রয়েছে। আগুন দেওয়ার স্থলে প্রচুর পরিমাণ আসবাবপত্র ও সিরামিক্সের থালা-বাসনও ভাঙচুর করা হয়েছে।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বর্তমানে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাও বন্ধ রয়েছে। এই সড়কের পাশাপাশি মিরপুর সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পুরোটা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আন্দোলনকারী জুলাই যোদ্ধারের একটি গ্রুপ আড়ংয়ের দিকে, আরেকটি গ্রুপ খামার বাড়ির দিকে অবস্থান করছে। থেমে থেমে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে পুলিশ।
বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে আজ। বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা।
তবে এ অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সংসদ ভবন এলাকায়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই আহত বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাই সনদে তাদের স্বীকৃতি থাকবে জানিয়ে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনকারীরা আগের অবস্থান চালিয়ে যান। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
রাজধানী
২৮ ঘণ্টার চেষ্টায় রূপনগরের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন প্রায় ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। সবশেষ ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করে। ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন্য নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ৪টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সর্বশেষ আমাদের ৫টি ইউনিট কাজ করছিল।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে এই আগুনের সংবাদ আসে। পরে সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
গতকাল বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানী
বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত?

বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ পাকিস্তানের লাহোর। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। তৃতীয় অবস্থানে ভারতের আরেক শহর কলকাতা, চতুর্থ কাতারের দোহার এবং অঞ্চম অবস্থানে ঢাকা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা লাহোরের দূষণ স্কোর ২২১ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এরপর রয়েছে দিল্লি। এই শহরের দূষণ স্কোর ১৮৬ অর্থাৎ এখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানের থাকা কলকাতার দূষণ স্কোর ১৬৪ অর্থাৎ এখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা দোহার স্কোর ১৬২ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
পঞ্চম অবস্থানে ঢাকা এবং ঢাকার দূষণ স্কোর ১৫৯ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর।
রাজধানী
রাজধানীতে জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি

রাজধানীর মালিবাগে ফরচুন শপিং মলের জুয়েলারি দোকানে সোনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে দোকানে রাখা ৫০০ ভরি সোনা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক। বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে মালিবাগের ফরচুন শপিং মলের শম্পা জুয়েলার্স নামের একটি জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, চোর চক্রের দু’জন সদস্য বোরকা পরে এসে জুয়েলারি দোকানটির শাটারের তালা কেটে বিপুল এই সোনা চুরি করে।
শম্পা জুয়েলারির মালিকের দাবি, তার দোকানে ৪০০ ভরির মতো সোনার জুয়েলারি সাজানো ছিল। এছাড়াও ১০০ ভরির মতো বন্ধকি সোনা ছিল। সেই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকার মতো নগদ টাকা ছিল। চোর চক্র সবকিছু লুটে নিয়ে গেছে।
এর আগে, গত রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি জুয়েলারি দোকানের দেয়াল কেটে প্রায় ১২৫ ভরি সোনারলংকার ও পৌনে ৩ লাখ টাকা চুরি করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্তে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজধানী
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, সহনীয় ঢাকার বাতাস

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষিত। রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে ৭৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৩তম স্থানে রয়েছে ঢাকা। বায়ুমানের এ স্কোর দূষণের দিক থেকে সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১৭১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ১৫১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
এ ছাড়া ১৪৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফিলিপাইনের ম্যানিলার স্কোর ১৩১।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিমুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।