সারাদেশ
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

চাঁদপুর জেলায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনস্বার্থ রক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনাকে সমন্বিত রাখার লক্ষ্যে চাঁদপুরে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুর জেলার আয়োজনে শহরের পৌর পুরাতন বাসস্টান্ডে এই বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা বলেন, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে পতন করেছি। তার মানে এই নয় যে আমরা এক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে আরেক স্বৈরাচারকে জায়গা করে দিবো। কাজেই আপনারা সাবধান থাকুন।
সমাবেশ সমন্বয়করা বলেন, আমরা চাঁদপুরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা চাইনা। কোন হামলা, লুট পাট, সাধারণ মানুষকে হুমকি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন এমনটা আমরা কোন স্বৈরাচারকে করতে দিবোনা। এসব বন্ধ করতে হবে। কারণ আমাদের আন্দোলনে জড়িয়ে আছে আবু সাইদ ও মুগ্ধ সহ অসংখ্য শহীদের রক্ত। তাদের রক্তকে আমরা বৃথা যেতে দিবোনা। আমরা আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে সমন্বিত রাখতে প্রয়োজনে আরো একবার যুদ্ধ করবো। আরো একবার রক্ত দিবো। তবুও কোনো স্বৈরাচারকে রাজত্ব করতে দিবোনা। মেঘনা নদীতে এখনো বালু উত্তোলন করছে একটি গোষ্ঠি। অবিলম্বে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
বিকেল ৩টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সমন্বয়কের বক্তব্য এবং বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ। সমাবেশে বিপুল ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন।
এসএম

সারাদেশ
শরীয়তপুরের বালা পরিবারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ও আরশীনগর এলাকার ঐতিহ্যবাহী বালা পরিবার এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে এই সভাটি শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চরসেনসাস ইউনিয়নের তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজ্বী আবুল কাশেম বালা।
দলমত নির্বিশেষে বালা পরিবারের সদস্যরা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। প্রধান অতিথি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, বালা পরিবার এই অঞ্চলের ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও এলাকার উন্নয়ন ও মানবসেবার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাজ্বী আবুল কাশেম বালা বলেন, বালা পরিবারের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে পরিবারের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতি ভিন্ন হলেও সবার উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ হওয়া উচিত।
বালা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সখিপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বালা, থানা যুবদলের সভাপতি মাসুম বালা, সাবেক ছাত্রনেতা মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা, আক্তারুজ্জামান বালা এবং আব্দুল কাদের বালাসহ অনেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সারাদেশ
এবার চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অ্যাডাম ক্যাপ নামে একটি তোয়ালে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুর ২টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ইপিজেড, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
তবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
সারাদেশ
ট্রেন লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

সিলেটের মোগলাবাজারে ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট আসার পথে মোগলাবাজারে ট্রেনের লাইন থেকে উল্টে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ওসি আবুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট আসার পথে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস মোগলাবাজারে লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেন উদ্ধারে কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সারাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।
সারাদেশ
চট্টগ্রামে ভারত সীমান্ত বসছে বিজিবির ৩০ বর্ডার পোস্ট

পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা সুরক্ষার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) দুইটি নতুন ব্যাটালিয়ন স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ দুটি ব্যাটালিয়নের আওতায় নতুন করে ৩০টি বর্ডার পোস্ট (বিওপি) স্থাপিত হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির রামগড়ের ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার করেরহাটের পাহাড় ও বনাঞ্চল বেষ্টিত দুর্গম সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত ‘ছোট ফরিংগা বিওপির’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বিজিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত বাংলাদেশের সমতল জেলার সীমান্ত এলাকার মতো গতানুগতিক নয়। সেখানকার সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। যেমন রাঙ্গামাটির বাঘাইহাট ও মারিশ্যার ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এমন দুর্গম এলাকায় বিওপি আছে, যেখানে পায়ে হেটে ৪ দিন লাগে যেতে। ফলে ওই সব এলাকা কভার করা দুরূহ হয়ে পড়ে। দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের আওতায় পার্বত্য জেলার দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন স্থাপিত হলে বিশাল দুর্গম সীমান্ত এলাকা সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষায় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের নতুন ৭৩টি বিওপির মধ্যে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ইতোমধ্যে ৬৯টি বিওপি স্থাপিত হয়েছে। খুব সহসা আরও চারটি বিওপি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে। তার মধ্যে গত এক বছরে স্থাপিত নতুন ১০টি বিওপির মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়িনের আওতাধীন সীমান্তে স্থাপন করা হয় পাঁচটি। নতুন বিওপি স্থাপনের ফলে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালানরোধসহ সব সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবির সক্ষমতা ও দক্ষতা বেড়েছে। রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন ও মীরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের মধ্যবর্তী প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা পাহাড় ও বনভূমি বেষ্টিত দুর্গম হওয়ায় বিজিবি আভিযানিক তৎপরতা পরিচালনা কষ্টকর ছিল। ছোট ফরিংগা বিওপি স্থাপনের ফলে দীর্ঘদিন অনেকটা অরক্ষিত থাকা বিশাল এ সীমান্ত এলাকা এখন সুরক্ষিত হলো। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাসহ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলারক্ষার বিজিবি দায়িত্বওপালন করে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালানরোধ, সীমান্তবর্তী অধিবাসীদের নিরাপত্তায় বিজিবি এখন আস্থার প্রতীক।
৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১২তম বিওপি ছোট ফরিংগা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজিবির গুইমারা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মিজানুর রহমান ও ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলাম ছিলেন।
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকার ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তার পানি বিপৎসীমায় তাই রেড অ্যালার্ট জারি করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যেতে মাইকিং করেছে পাউবো। এর ফলে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও সড়কসহ বহু এলাকার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। আজ সকাল থেকে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে; যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে মৎস্য খামার, আমন ধানসহ নানান জাতের সবজির খেত। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট। নৌকায় যোগাযোগ করছে চরাঞ্চলের মানুষ। এখন নৌকা ও কলার ভেলায় চলাচল করছে পানিবন্দি মানুষ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১২ ঘণ্টা তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে, যা সোমবার সকালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচে। ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে রোববার সন্ধ্যায় পানি ছিল বিপৎসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার নিচে, সোমবার সকালে তা বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচে পৌঁছেছে।
লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামের শিউলী বেগম বলেন, রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, আমাদের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। দিন যত যাচ্ছে, পানি ততই বাড়ছে। গতরাতে পানি বাড়িতে ঢুকে গেছে, সারারাত গরু-ছাগল নিয়ে কষ্টে রয়েছি। এখন বাড়িতে কোমরসমান পানি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পাব না।
সিন্দুর্না এলাকার বাসিন্দা শামসুল ইসলাম জানান, রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে নদীতে পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা এখন পানিবন্দি। গত দুই মাস ধরে বারবার পানি ঢুকে আবার নেমে যাচ্ছে, এতে আমরা ভীষণ কষ্টে আছি।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন বলেন, তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় এখন রোপা আমন, চিনাবাদাম ও সবজির চাষ চলছে। পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়, তাহলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষতি তুলনামূলক কম হবে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানান, ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই প্রবণতা থাকতে পারে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত দাস বলেন, উজান আর বাংলাদেশের কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।