অর্থনীতি
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সিঙ্গাপুরসহ অন্তত ১০টি দেশ। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর অংশগ্রহণে ‘ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশনের (আইকাও)’ ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনে দেশগুলো এই আগ্রহের কথা জানায়। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। ওই সময়ে বেবিচক সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড এন্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. মুকিত-উল-আলম মিঞা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেবিচক জানায়, সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ফ্রান্স এবং জাপানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসব দেশগুলো বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এ ছাড়া তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সহায়তা, সেবা সহজীকরণে এভিয়েশন সেক্টরে নতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশ করতে সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এসব সহায়তা দেশের এভিয়েশন সেক্টরকে আরও আধুনিক, নিরাপদ এবং আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
১৪ অক্টোবর ফিলিপাইনের সেবুতে শুরু হওয়া ওই সম্মেলন গত ১৮ অক্টোবর শেষ হয়। সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শেপিং দ্য ফিউচার অব এভিয়েশন: সাস্টেইনেবল, রেজিলেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ।’ এতে বাংলাদেশ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ ৩৯টি দেশের সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক ও তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এ ছাড়াও ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিও ছিলেন ওই সম্মেলনে। সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট সালভাতোর সাকিতানো এবং মহাসচিব জুয়ান কার্লোস সালাজারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ওই সময় তারা তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়নের প্রশংসা করেন বলে বেবিচকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সবজির দাম কমলেও মাছ-মুরগির বাজার চড়া
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কাঁচাবাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে তেল, মাছ, ও মুরগির দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৪৪-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।
এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা। সপ্তাহ ব্যবধানে হাতেগোনা কয়েটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, ডিম ও সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। মনিটরিং অব্যাহত রাখলে দাম আরও কমে আসবে।
বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সামনে কোনো সংকট না হলে দাম হাতের নাগালে চলে আসবে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, , গাজর ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ১৪০-১৬০ টাকায়।
এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৪০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। লালশাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
কাঁচা মরিচের দাম কমে চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০-১৩৫ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০, রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায় এবং সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২৪ কোটি ডলার
গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৪ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ডলার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮০ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৩ লাখ ডলার। এক মাসে আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ বেড়েছে ৬২ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রিজার্ভের ক্ষয় রোধ করার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। অবশ্য, নিট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন নভেম্বরে শুরু হবে: গভর্নর
আগামী নভেম্বর মাস থেকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরা হয় নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থাপনাসহ ভগ্ন দশায় থাকা দেশের আর্থিক খাতের শুদ্ধতায় আনা পরিবর্তনগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু করতে রোডম্যাপ তৈরি করা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে যাচাই-বাছাই করে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি নিরূপণ করা হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারত্ব কোন পথে, কীভাবে হবে এ নিয়ে মার্কিন সরকারের নীতি সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গভর্নর জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সহায়তা দরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলসি ছাড়া আমদানি সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
এলসি (ঋণপত্র) ছাড়া চুক্তিপত্রের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানির সুযোগ সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে চুক্তিপত্রের আওতায় আমদানি বাণিজ্য বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী এলসি ছাড়া চুক্তিপত্রের আওতায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানির সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। বছরে ৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য এলসি ছাড়া বাণিজ্যিক আমদানি করা যায় বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চুক্তির আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টিং পোর্টালে দিতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় দানা উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নানে মেতেছেন পর্যটকরাঘূর্ণিঝড় দানা উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নানে মেতেছেন পর্যটকরা
এ ছাড়া বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট গ্রহণ বিষয়ে দিক-নির্দেশনা সার্কুলারে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে মূল্য পরিশোধ করা না হলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের পক্ষে চুক্তির মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম না করতে বলা হয়েছে।
সার্কুলারে নির্দেশনা বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড ও ইজেড) চুক্তির মাধ্যমে আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া স্বাভাবিক নিয়মে আমদানির জন্য স্বল্প মেয়াদি আমদানি ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে।
চুক্তির আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক নিজেই স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিতে পারবে আমদানি দায় পরিশোধ করার জন্য। তবে বিদেশি ঋণদাতা সরবরাহকারীকে এলসি বা এসবিএলসি কিংবা গ্যারান্টি দিতে পারবে। আমদানির জন্য গৃহীত বিদেশি ঋণ এবং সুদ ঋণের শর্ত অনুযায়ী পরিশোধ করতে পারবে।
আমদানির জন্য স্বল্প মেয়াদি আমদানি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে কর্পোরেট, ব্যক্তিগত বা তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টি প্রদানের সাধারণ অনুমোদন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিক আমদানি ৬০ দিনের স্বল্প মেয়াদি বৈদেশিক ঋণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়করের ই-রিটার্ন জমায় লাগবে না নথিপত্র
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন বা ই-রিটার্ন জমার সময় সহায়ক কোনো নথি বা কাগজপত্র আপলোড করতে হবে না। শুধু সংশ্লিষ্ট নথির তথ্যগুলো দিলেই হবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সিস্টেম আছে– এমন যে কোনো ব্যাংক থেকে কর পরিশোধ করা যাবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।
তিনি বলেন, শুরুতে করদাতাদের একটি অংশের জন্য ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব শ্রেণির করদাতাকেই অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সে জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে করদাতারা কর অফিসে না গিয়ে বিনা খরচে রিটার্ন দিতে পারেন। সশরীরে অফিসে গিয়ে কর পরিশোধ ধীরে ধীরে শূন্যতে নামিয়ে আনা হবে।
গত মঙ্গলবার এনবিআরের এক বিশেষ আদেশে করদাতাদের একটি অংশের ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিভিন্ন আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলকভাবে ই-রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর। বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বাটা স্যু কোম্পানি (বাংলাদেশ) এবং নেসলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক না হলেও, যারা অনলাইনে শতভাগ রিটার্ন দাখিল করেছেন, তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সম্মাননা দেওয়া হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানেগুলোর রিটার্ন যাতে অনলাইনে আসে, সে বিষয়েও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এনবিআরে যত উদ্যোগ নেওয়া হবে, অর্থাৎ যা কিছু করা হবে– সব কিছুতেই অটোমেশন থাকবে। এ জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে এনবিআর। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই পরিস্থিতিতে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা– জানতে চাইলে আব্দুর রহমান খান বলেন, এনবিআর চেষ্টা করছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের। গত জুলাই-আগস্টে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় কম হয়েছে। এটা কাভার করতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রতি সম্মান জানিয়ে করদাতারা এগিয়ে এলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে। কর ফাঁকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবার করমেলা না হলেও প্রয়োজনীয় সব করসেবাই থাকবে। কর অঞ্চল থেকে সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। কল সেন্টারকে আরও প্রসারিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজনেস ফ্যাকাল্টির কিছু শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তৈরি করে তাদের মাধ্যমে করসেবা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় থাকবে।