জাতীয়
আদানি-সামিটসহ ১১ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য চেয়েছে সরকার

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে সম্পাদিত চুক্তির আদানি ও সামিটসহ ১১ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে সরকার গঠিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)–এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য সরকার গঠিত জাতীয় রিভিউ কমিটির গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট, বাঘাবাড়ি ২০০, পটুয়াখালি ১৫০, মোংলা ১০০, আশুগঞ্জ ১৫০, মানিকগঞ্জ ১৬২, কড্ডা ৩০০, সুন্দরগঞ্জ ২০০, লালমনিরহাট ৩০, সুতিয়াখালি ৫০ এবং গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব তথ্য-উপাত্ত ও ডকুমেন্ট কমিটিকে সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে।
এমআই

জাতীয়
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করেন তাঁরা।
এর আগে বিকেল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
এতে উপস্থিত হয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন অতিথিরাও। কয়েক জন উপদেষ্টাকে সেখানে দেখা গেছে।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ–সভাপতি আলী রীয়াজ।
মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখকে দেখা গেছে।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা।
আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় জুলাই সনদ সাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে বেলা ১টার দিকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
এরপর পুলিশ ও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এদিকে এক দফা বৃষ্টিও হয়েছে। আকাশ এখনো মেঘলা।
আজ বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান কয়েক মিনিট দেরিতে শুরু হতে পারে।
শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক চলছে এবং কিছু অতিথি ইতিমধ্যে ভেন্যুতে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।’
বিকেল চারটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবকে দেখা যায়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, খুব ভালো সনদ হতে যাচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে। এখন এই নোট অব ডিসেন্টগুলো কেমন করে আমরা মিনিমাইজ করব, যারা আজকে স্বাক্ষর করছেন না, তারা কেমন করে সম্পৃক্ত হবেন—ভবিষ্যতে সেটা নিয়ে কাজ করব। প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়ন করা যায়, আমি মনে করি গণতন্ত্রের পথে একটি শক্ত যাত্রা শুরু হবে।’
অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার দিনে এ রকম ঘটনা বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতির ঘোষণার পরও যে পরিস্থিতি হয়েছে তা অভ্যুত্থানের জন্য ভালো বার্তা না।
আইনজীবী ও শিবিরের সাবেক নেতা শিশির মনির বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি, কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। কমিশন অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তাদের দাবি মেনে নিয়ে ইতিমধ্যে জুলাই সনদে পরিবর্তন করেছে। তাদের আর কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়।’
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে আজ জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বেলা ২টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সংশোধনের কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বলে আগেই জানিয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া তারা এখন জুলাই সনদ স্বাক্ষর করবে না।
জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংশোধিত খসড়া না পেলে সনদে সই করবে না বাম ধারার চারটি দল। দলগুলো হলো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
জাতীয়
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।
গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠন করা ৬টি সংস্কার কমিশনের (সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে দুই পর্বের আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৬ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে ওই খসড়ায় কিছু ত্রুটি থাকায় তা সংশোধন করে নির্ভুল খসড়া পাঠানো হয়। এরপর গত ২০ আগস্ট ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে খসড়াটির ওপর যেকোনো ধরনের মতামত দেওয়ার সময় ২২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর আবারও জুলাই সনদের নানা বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কমিশনের আলোচনা হয়।
সব দলের মতামত পর্যালোচনা এবং নির্ভুল আকারে জুলাই সনদ লিখিত আকারে চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত মঙ্গলবার সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, এ অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সংসদ ভবন এলাকায়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই আহতদের বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন জুলাই যোদ্ধারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাই সনদে তাদের স্বীকৃতি থাকবে জানিয়ে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থান চালিয়ে যান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
জাতীয়
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: প্রেস সচিব

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই চার্টার (সনদ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছু সময় বিলম্ব হতে পারে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ২টা ৫৭ মিনিটে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে তিনি এসব তথ্য জানান।
সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজক সূত্রের বরাত দিয়ে শফিকুল আলম জানান, পুরো আয়োজন সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অতিথিদের কেউ কেউ ভেন্যুতে উপস্থিত হয়েছেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শফিকুল আলম।
জাতীয়
দাবির মুখে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন

জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী এক বার্তায় এ তথ্য জানন৷
এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন।
এতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।
কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের কোনো মত পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
জাতীয়
ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ফেয়ার বিডি ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানা

রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ট্রাভেল এজেন্সি ফেয়ার বিডি বাংলাদেশ লিমিটেডকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসা পরিচালনার বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।