অর্থনীতি
ভারত থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার ৪০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ডিমের ট্রাকটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। পরে রাতেই খালাস হয় বন্দর থেকে।
ডিমের বাংলাদেশি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন এবং রফতানি কারক ভারতের এক্সপোটার্স শ্রী লাক্সমি নারায়ণ ভান্ডার। একটি ভারতীয় ট্রাকে ১১০৪ কার্টুন রয়েছে। প্রতিকার্টুনে ২১০ পিস করে ডিম রয়েছে। ডিমের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ১৭২.০৬ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১৩,৪৮,২৪৩.৯২ টাকা।
দেশে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ভারত থেকে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। প্রথম চালানে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর আমদানি হয়েছিল ৬১ হাজার ৮৫০ পিচ। এবার দ্বিতীয় চালানে ডিম আমদানি হয় ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের সত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ জানান, ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিরসনের জন্য আরো বেশি ডিম আমদানি দরকার। মাঝে আমদানি বন্ধ ছিল। আবার শুরু হয়েছে। ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ স্বল্পমূল্যে ডিম ক্রয় করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্সের নতুন চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম
বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
উপসচিব আফছানা বিলকিসের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্য বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের অর্ডার ১৯৭৩ এর আর্টিকেল ৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিমকে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ, ৯০ কারখানা বন্ধ
আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। এর মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অজানা রহস্যে আজও ৯০ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কারখানায় উৎপাদন চলছে।
আজ সোমবার দুপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সোমবার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর ৯০টি কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সারোয়ার আলম বলেন, পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে নানা দাবিতে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শিল্প মালিকরা বলছেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় নানা অজুহাতে আন্দোলন ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওত পেতে আছে বেশ কিছু দেশ।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না।
বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক হয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় এই নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী, প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সব প্রতিষ্ঠানেই পরিবর্তন আসছে। চেম্বারের সদস্যদের দাবির মুখে ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজসহ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, সহসভাপতি ও ২১ জন পরিচালকের সবাই পদত্যাগ করেন। এই বাস্তবতায় চেম্বারের কার্যক্রম সচল রাখতে প্রশাসক নিয়োগ দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলম ও তার পরিবারের ব্যাংকে জমা ছিল ১ লাখ কোটি টাকা!
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ব্যাংকের হিসাবে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সূত্রগুলোর মতে, বর্তমানে এসব হিসাবের স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা। তবে কিছু ব্যাংকের থেকে এখনও লেনদেনের তথ্য আসছে বিধায় এর পরিমাণ এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না।
এই ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। যারমধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এর আগে ছিল এস আলমের নিয়ন্ত্রণে।
তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগের পর থেকেই এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট এনবিআরের অধীন ইনকাম ট্যাক্স জোন-১৫ থেকে ৯১টি ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এস আলম, তার পরিবার এবং তাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সত্ত্বাগুলোর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়। এর এক মাস পরে তারা এসব হিসাবের মধ্যে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের ঘটনা খুঁজে পেয়েছে।
ট্যাক্স জোন-১৫ এর কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, “এস আলমের পরিবারের সদস্য, এবং গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব সার্চ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।” এর বেশি তিনি আর কিছু জানাতে রাজি হননি।
নাম না প্রকাশের শর্তে ট্যাক্স জোন-১৫ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ঋণ ও বিক্রির অর্থসহ এসব ব্যাংকে এপর্যন্ত তারা ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমার সন্ধান পেয়েছেন। “তবে এরমধ্যে কত টাকা ঋণের এখনও তা নির্ধারণের কাজ চলছে” – বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, “এস আলমের পরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়িক সত্ত্বাগুলোর এসব হিসাবের বর্তমান স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
এই তথ্য কোন সময়ের, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা সাধারণত পাঁচ বছরের তথ্য চাই। তবে এক্ষেত্রে এর আগের সময়ের তথ্যও থাকতে পারে।”
অতীতে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, যে কোন করদাতার বিগত পাঁচ বছরের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া যেত। তবে নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, যা ২০২৩ সালে পাস হয়েছে, সেখানে এই টাইমলিমিট তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে কর বিভাগ অতীতের যে কোন সময়ের করদাতার তথ্য চাইতে পারে।
এস আলমের বিরুদ্ধে অন্যান্য তদন্ত
এনবিআর ছাড়াও, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম খুঁজে বের করতে কাজ করছে।
এর আগে এস আলমের কব্জায় থাকা ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করার পর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। গত ৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেকেরও বেশি এস আলম গ্রুপ নিয়েছে।
জুন শেষে ব্যাংকটির ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এছাড়া, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংঘবদ্ধ অপরাধ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে এস আলম ও তাঁর সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
গত ৩১ আগস্ট সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের ককর্মকর্তা আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই অনুসন্ধান করছে।
ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ফায়দা লুটেছে এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানির চেয়ে প্রায় ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। গত অথর্বছরে পণ্য ও সেবা থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫১ দশমিক ১০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ১১০ কোটি ডলার।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় লক্ষ্যমাত্রার এ সিদ্ধান্ত হয়। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভায় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিমউদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে প্রকৃত পণ্য রপ্তানির ভিত্তিতে লেনদেনের ভারসাম্যের তথ্য প্রকাশ করে। এতে পণ্য রপ্তানির হিসাবে বড় ধরনের গরমিলের তথ্য উঠে আসে। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, ইপিবি দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করলেও সে অনুযায়ী দেশে আয় আসছিল না। এ নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, যে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা হয়েছে, প্রকৃত অর্থে সে পরিমাণ রপ্তানি হয়নি।
এর পর থেকে ইপিবি পণ্য রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ রেখেছে। তবে এনবিআরের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। এ ছাড়া এ সময় সেবা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। এ ক্ষেত্রেও আয় কমেছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
অবশ্য এর আগে গত এপ্রিল পর্যন্ত ইপিবি রপ্তানির যে তথ্য প্রকাশ করে আসছিল, তাতে বেশ ভালোই প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ইপিবি যে তথ্য প্রকাশ করে, তাতে বেশকিছু ক্ষেত্রে একই রপ্তানি দুবার এন্ট্রি করা হয়। এরপর থেকে ইপিবি রপ্তানির তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছে। এনবিআরের পণ্য জাহাজীকরণের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করলে, তাতে প্রবৃদ্ধি কমে যায়।
এমআই