আইন-আদালত
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: তাজুল ইসলাম
গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা অধিকাংশ মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এদিকে, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে পদত্যাগ করেছেন তাজুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র আমাদের কাছে জমা আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দুইদিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব ইসমাইল
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. তারেক জুবায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে আসেন সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন। পরে তাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফাতর দেখিয়ে আদালতে হাজির করে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইসমাইল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সচিব ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) ১১তম ব্যাচের সদস্য। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ৭৯ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, যে ট্রায়াল করা হয়েছিল, সেটি ছিল অবৈধ। কারণ আইনের ভিত্তিতে সেই ট্রায়াল হয়নি। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর কোনো কোলাবরেশন নেই।
শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য সকলের আপিল নিয়ে ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে সবাইকেই বেকুসুর খালাস দিয়েছেন। তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সবাইকে বেকুসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এই বলে, এ ধরনের মামলায় পরস্পর কেউ দেখেছেন, কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন, এই মর্মে কোনো এভিডেন্স নেই। যাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, তাদের টর্চার করে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেওয়ার নজির নেই। আজ আদালত বললেন, দ্বিতীয় জবানবন্দি তিনি যেটি করেছিলেন, সেটিও পরে তিনি প্রত্যাহার করেন। এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়, পলকের স্বীকারোক্তি
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি, শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গতকাল (বুধবার) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক। আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা কোন ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল না। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক স্বয়ং স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর
বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হাইদারসহ কয়েক আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রিমান্ডে
বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার অভিযোগে পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অপর দিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে ৬ অক্টোবর রাতে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরের দিন যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। রিমান্ড শেষে কারাগারে ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পতনে এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ এবং পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান ও ভাঙচুর চালায়। একইসময়ে কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর তারা ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই আসামিদের মধ্যে নজিবুর রহমান একজন।