জাতীয়
সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার

সাবেক নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৪ সালে মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানকে তলব করেছিল দুদক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে শাজাহান খানের স্ত্রীর নামে নিবন্ধিত দুটি গাড়ি, তার স্ত্রীর স্বর্ণের ৯৬ ভরি সোনা, দুটি বাস, একটি এসইউভি, একটি মাইক্রোবাস ও রাজউকের একটি ১০ কাঠা প্লটসহ বিপুল সম্পদের কথা জানা গেছে।
শাজাহান খান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
শাজাহান খান প্রথমবার ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এমআই

জাতীয়
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আবারও আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ভার্চ্যুয়ালি এই আলোচনায় অংশ নেন।
এই সভায় ইতঃপূর্বে আলোচিত বিষয়গুলো পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়। কমিশনের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।
জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কোর কমিটি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তসহ আগুন লাগা প্রতিরোধে কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার। ১২ সদস্যের এ কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির জরুরি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) সাংবাদিকদের এ কথা জানান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এ সভা করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ কমিটির সদস্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক ই আজম বলেন, আগুন লাগার পরিপ্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে আমরা সভায় সেটা নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্থায়ী নির্দেশিকা অনুসারে আজ এই সভা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি ১২ সদস্য বিশিষ্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। এ কমিটির সভা আবার আগামী ৫ নভেম্বর হবে, তাই আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে এ কমিটি রিপোর্ট দাখিল করবে। এই কমিটির সুপারিশ অনুসারে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
জাতীয়
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডসহ ঢাকার মিরপুর ও চট্টগ্রামে কারখানায় আগুনের ঘটনা জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর মৌখিক নির্দেশে কেপিআই (রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো) এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
জেলা পর্যায়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা থাকে। কেপিআই এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
সূত্র জানায়, বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ, সচিবালয়, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৫৮৭টি স্থাপনা কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালায় নিয়মিত টহল, প্রতিবেদন পাঠানো, সিসিটিভি, ভেহিকেল সার্চ মিরর ও লাগেজ স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, বিমানবন্দর বা ইপিজেডের মতো স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলা অস্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে এর পেছনের রহস্য উদঘাটন করা।
জাতীয়
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার শঙ্কা, পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

সাম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এমন অবস্থায় দেশের আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। তাই সারাদেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশে কেপিআই স্থাপনায় বাড়তি নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্দেশনার পর অনেক জায়গায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর মৌখিক নির্দেশে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। জেলা পর্যায়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা থাকে। কেপিআই এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
দেশের ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহকে সংক্ষেপে কেপিআই বলা হয়। বর্তমানে সারাদেশে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বিটিভি, কারাগার এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে। এগুলোর নিরাপত্তা কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য সরকারের একটি শক্তিশালী নীতিমালা কমিটি রয়েছে।
এদিকে, শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত। আমরা সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করতে চাই—নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
এছাড়া নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।
অন্তর্বর্তী সরকার আরও জানায়, বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
জাতীয়
আইন অনুযায়ী শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয়: ইসি আনোয়ারুল

সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসি বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, কোনো অন্যায়ের প্রতি মাথানত করবে না। নির্বাচন কমিশন শুধু আইনের কাছে জবাবদিহি করবে, কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠি বা দলের কাছে নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলমসহ প্রমুখ।