জাতীয়
রাসেলস ভাইপারের স্বভাব কেমন, সেভাবে সতর্ক থাকবেন

আগে শুধু বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা গেলেও এখন প্রায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর রাসেলস ভাইপার। কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে এই সাপ নিয়ে নানান আলোচনার পর এ বিষয়ে সচেতন হতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনামূলক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাপ সাধারণত নিচু ভূমির ঘাসবন, ঝোপ-জঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় থাকে। মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। মেটে রঙের হওয়ায় এই সাপ মাটির সঙ্গে সহজে মিশে থাকতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে কাছাকাছি গেলে, সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে।
রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু সাপ। তাই এটি নদীর স্রোত ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়েছে। এ জন্য সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কামড় এড়াতে করণীয়
— যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
— লম্বা ঘাস, ঝোপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন। গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢোকাবেন না।
— সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট ও লম্বা প্যান্ট পরুন।
— রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চলাইট ব্যবহার করুন।
— বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন।
— পতিত গাছ, জ্বালানির লাকড়ি ও খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
— সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না।
— প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন অথবা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।
কামড় খেলে রাসেলস
— যেখানে কামড় খেয়েছেন, শরীরের সেই জায়গাটি নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে কামড়ালে বসে পড়তে হবে, হাঁটা যাবে না। হাতে কামড়ালে হাত নড়াচাড়া করা যাবে না। হাত-পায়ের গিরা নড়াচড়ায় মাংসপেশির সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
— আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছে ফেলতে হবে।
— শরীরে ঘড়ি, অলংকার, তাবিজ, তাগা থাকলে, সেটা খুলে ফেলুন।
— আক্রান্ত স্থান কাটবেন না, সুই ফোটাবেন না কিংবা কোনো রকম প্রলেপ বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা উচিত নয়।
— সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
— যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে যান।
— আতঙ্কিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষের প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম আছে। সব জায়গায় হাসপাতালগুলোয় অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাদুর্ভাব কমাতে করণীয়
বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বনবিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ইগল, সারস, মদনটাক পাখি এবং কিছু প্রজাতির সাপও রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব বন্য প্রাণী মানুষ নির্বিচার হত্যার কারণে প্রকৃতিতে রাসেলস ভাইপার বেড়ে যাচ্ছে। তাই বন্য প্রাণী দেখলেই অকারণে হত্যা ও আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মনে রাখা প্রয়োজন, রাসেলস ভাইপার বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী একটি সংরক্ষিত প্রাণী। এই সাপ ইঁদুর খেয়ে যেমন ফসল রক্ষা করে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাপের বিষ থেকে অনেক জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হয়। সাপ মারা দণ্ডনীয় অপরাধ, সাপ মারা থেকে বিরত থাকুন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ বন বিভাগ উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এ ছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সচেতন সমাজের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কাফি

জাতীয়
সেন্টমার্টিনে প্রচুর নেতিবাচক পরিবর্তন দেখছি

সেন্টমার্টিনে প্রচুর নেতিবাচক পরিবর্তন দেখছি বলে মন্তব্য করেছে এক ব্যক্তি।
সম্প্রতি এক সেমিনার শেষে তিনি একথা বলেন।
জাতীয়
ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ, প্রতিবাদ জানালো সেনাবাহিনী

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ ঘোষণা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজের মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রোববার (১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ টু ডিক্লেয়ার কক্সবাজার টু বান্দরবান এরিয়া অ্যাজ আ মিলিটারি অপারেশন্স জোন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ধরনের সংবাদ ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করা।
প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে’— এই ধরনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যা একেবারে ভিত্তিহীন, অসত্য এবং এক ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচার। প্রমাণবিহীন এই ধরনের কল্পনাপ্রসূত সংবাদ একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ, যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং বিভেদ উসকে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং সংবিধান রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে সেনাবাহিনী কখনোই আপস করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না।
এ ধরনের বানোয়াট প্রতিবেদনকে সাংবাদিকতা বলা যায় না; এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ। বাংলাদেশ সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে এবং দেশের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।
কাফি
জাতীয়
আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

আদালতের নির্দেশনা কমিশনে পৌঁছালে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
আজ রবিবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা ইসিতে পৌঁছালে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।
এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।
তবে এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে গত বছর জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পতনের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়।
কাফি
জাতীয়
নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় নয়: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী বলেছেন, হাটে পশু কেনা-বেচায় সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে ইজারাদাররা অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী কোনো যানবাহনকে হাটে জোরপূর্বক প্রবেশ করানো যাবে না। পশুর হাট অবশ্যই সিটি করপোরেশন নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রোববার (১ জুন) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটের নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী বলেন, যত্রতত্র কোরবানির পশু লোড-আনলোড করা যাবে না। রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে বা জোরপূর্বক ব্যাপারীদের পশু বিক্রয়ে বাধ্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাট থেকে কেনা কোরবানির পশু পরিবহনে যেন কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেজন্য তিনি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, যে কোনো ধরনের সমস্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানাবেন। ঘটনার প্রমাণ রাখবেন, ভিডিও করে রাখবেন। রাস্তার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করবেন না। অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আচরণ করলে বা রাস্তা ব্লক করে পশুর হাট বসালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, হাটের চৌহদ্দির মধ্যে পশুর বাজার সীমিত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় হাট বসিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। বাজারে পশুর সংকট মর্মে গুজব ছড়িয়ে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোরবানির পশুর বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিপিডিসি, ডেসকো, ঢাকা জেলা প্রশাসন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, লবণ ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পশুর হাট কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগরীর পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত, পরামর্শ ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এছাড়াও সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
জাতীয়
মাতারবাড়ি প্রজেক্টে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান: প্রেস সচিব

মাতারবাড়ি প্রজেক্টে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (১ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, মাতাবাড়ি নিয়ে মাস্টার প্ল্যানে জাপান সহযোগিতা করবে। ২৯ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে বড় অংশ দেবে তারা।
এ ছাড়া জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইতিবাচক কথা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করাও সফরের উদ্দেশ্য ছিল, তাও অনেকটা সফল।
তিনি আরও বলেন, জাপানের মেইন ইনভেস্টমেন্ট এজেন্সি-জেটপোর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিনিয়োগে পজেটিভ রেসপন্স দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, জাপানে কর্মী পাঠানো এবং দেশটির ম্যান পাওয়ার মার্কেট নিয়ে কাজ করারও অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জাপান পাঁচ বছরে ১ লাখ লোক নিতে চায়, এ বিষয়েও কাজ করা হবে।
এ ছাড়া জাপানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ভিসা জটিলতা তৈরি হতো তারও সমাধানে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার ও সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি