আন্তর্জাতিক
ভারত সফর করবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শতকোটিপতি ইলন মাস্ক
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শতকোটিপতি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারত সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতেই তিনি এই সফরে যাবেন।
মাস্ক অবশ্য এই সফরের দিন–তারিখ উল্লেখ করেননি। তবে তিনি ভারতে বড় ধরনের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে গত বুধবার মাস্ক একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি!’
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত মাসে বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতাদের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। যাঁরা অন্তত ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চান এবং তিন বছরের মধ্যে ভারতে স্থাপিত কারখানায় গাড়ি উৎপাদন শুরু করার অঙ্গীকার করবেন, তাঁরাই কেবল করছাড়ের এই সুযোগ পাবেন।
এর আগে ২০২১ সালে টেসলার বস ইলন মাস্ক বলেছিলেন যে ভারতের উচ্চহারে আমদানি শুল্ক আরোপের কারণে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল এই অর্থনীতিতে তাঁর কোম্পানি টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
ইলন মাস্ক শুধু টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাই (সিইও) নন, তিনি মহাকাশযান প্রস্তুতকারক, উৎক্ষেপণ পরিষেবা প্রদানকারী ও স্যাটেলাইট যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস করপোরেশনের (যা স্পেসএক্স নামে সমধিক পরিচিত) চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) এবং প্রতিরক্ষা ঠিকাদারও।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনে সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২৪ সালের বৈশ্বিক বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ইলন মাস্ক। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ১৯ হাজার ২০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে ইলন মাস্কের পতন ঘটেছে। তাঁকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অতিধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন মেটার (ফেসবুক) মার্ক জাকারবার্গ। গত মাসের শুরুর দিকে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সে প্রথম স্থানে ছিলেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
এদিকে ভারতের এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিকে জানান, মোদি–মাস্কের বৈঠকটি চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে হওয়ার কথা এবং এটি রাজধানী নয়াদিল্লিতে মোদির সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
বিবিসি জানায়, মোদি–মাস্ক বৈঠকে প্রধানত ভারতে টেসলা কোম্পানির বৈদ্যুতিক গাড়ি উত্পাদন শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েই আলোচনা হবে। এ নিয়ে বিবিসি যোগাযোগ করলেও টেসলার পক্ষ থেকে তাৎক্ষিণকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পরিস্থিতিতেই ইলন মাস্ক এ সফর করছেন। ভারতে ছয় সপ্তাহব্যাপী লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার চেষ্টায় আছে। ফলে নির্বাচনের সময় টেসলার বিনিয়োগের ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগকে আরও জোরালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানিকে ভারতে উত্পাদন কার্যক্রম শুরু ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
এর আগে গত বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইলন মাস্ক দেখা করেছিলেন। তখন বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতের মাল্টি বিলিয়নিয়ার শতকোটিপতি মাস্ক বলেছিলেন, ‘মোদি আমাদের ভারতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন, যা আমরাও করতে চাই।’
অবশ্য ভারতে টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনাটি এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে কোম্পানিটির গাড়ি বিক্রি কমছে। টেসলার ইউরোপীয় কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, বৈশ্বিক শিপিং তথা জাহাজীকরণে বিঘ্ন ও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে এ বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের গাড়ি সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে চীনা কোম্পানি বিওয়াডির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়ে টেসলা তার বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বারবার কমিয়েছে। চলতি বছরে তাদের গাড়ি বিক্রি এক–তৃতীয়াংশ কমেছে।
ভারতের বাজার খুবই সম্ভাবনাময়। দেশটি ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়, যাদের ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইউরোপে প্রতিদিন হৃদরোগে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ হাজার মানুষ
বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগে প্রতিবছর ৪০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শুধু ইউরোপেই প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের হৃদরোগে মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বছর এ জটিলতায় প্রায় চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন।
বুধবার (১৫ মে) আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় নারীদের চেয়ে পুরুষ এগিয়ে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউরোপে গড়ে নারীদের তুললায় আড়াইগুণ বেশি পুরুষের হৃদরোগে মৃত্যু হয়। এজন্য সংস্থাটি ইউরোপীয়দের লবণ খাওয়া কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ শাখার পরিচালক হ্যান্স ক্লাগ বলেন, ইউরোপের লোকজন প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্তি লবণ গ্রহণে অভ্যস্ত। এটি এ রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ। খাবারে লবণের মাত্রা ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারলে ২০৩০ সাল নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ কমানো সম্ভব।
হ্যান্স ক্লাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুরোনো এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে ইউরোপ। তিনি জানান, এ মহাদেশের ৩০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে গড়ে তিনজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১২৫ কোটি ডলারে ফুডপান্ডা অধিগ্রহণ করবে উবার
তাইওয়ানে ফুডপান্ডার ব্যবসা অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে উবার। অ্যাপস-ভিত্তিক জায়ান্ট দুটির এ চুক্তির আর্থিক পরিমাণ ১২৫ কোটি ডলার। ফুডপান্ডার প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান ডেলিভারির হিরোর চুক্তিটি সম্পন্ন করেছে উবার। খবর রয়টার্স।
উবার অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও খাবার সরবরাহ এর অন্যতম আয়ের উৎস। ফুডপান্ডার তাইওয়ানের অংশ অধিগ্রহণের পাশাপাশি কৌশলগত পদক্ষেপটিতে যুক্ত থাকছে জার্মান কোম্পানি ডেলিভারি হিরোর নতুন শেয়ারের মালিকানা।
২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪০০ কোটি ডলার চুক্তির পর ডেলিভারি হিরোর বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয় এশিয়া। তবে মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ অঞ্চলে নতুন কিছু পদক্ষেপ নেয় কোম্পানিটি, যার সর্বশেষটি হলো উবারের সঙ্গে চুক্তি।
কভিড-১৯ মহামারীর পর এশিয়ার খাদ্য সরবরাহ পরিষেবাগুলো ধীর হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি সে মন্থরতা কাটিয়ে উঠেছে অ্যাপ-ভিত্তিক কোম্পানিগুলো। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য মূল্যছাড়ের মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে কোম্পানিগুলো। সেই সঙ্গে প্রচারেও প্রচুর ব্যয় করছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশেষ ভাড়া ঘোষণা কাতার এয়ারওয়েজের
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকা রুটের প্লেনের রিটার্ন টিকিটে বিশেষ ভাড়ার ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উড়োজাহাজ সংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ। তবে শর্ত হিসেবে তারা জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে শুধু সুনির্দিষ্ট তারিখের মধ্যেই এই ভাড়ায় যাতায়াত করা যাবে।
বুধবার (১৫ মে) কাতার এয়ারওয়েজ জানায়, আকাশপথের যাত্রাকে আরও সুখকর করতে যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ ভাড়া ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীরা ইকোনমি ক্লাসে সর্বনিম্ন ৮৫ হাজার টাকায় ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে শুধু কাতার এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমেই টিকিট কাটা যাবে।
এয়ারওয়েজটি জানায়, বিশেষ ভাড়ায় গ্রিসের মাইকোনোসে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০, কাতারের দোহায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৪০, স্পেনের মালাগায় ১ লাখ ৪৫ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৬, পাকিস্তানের লাহোরে ২ লাখ ২ হাজার, জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৩২ টাকায় রিটার্ন টিকিট পাওয়া যাবে।
এছাড়া জর্দানের আম্মানে ১ লাখ ৩০ হাজার, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৮, ইতালির রোম ৮৭ হাজার ৫১৪, কুয়েত ৮৫ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ১ লাখ ৩৭ হাজার, লস এঞ্জেলসে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় রিটার্ন টিকিট কাটা যাবে।
এদিকে ছাড় দিলেও টিকিটের সঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। তারা জানায়, বিভিন্ন উৎসবসহ ব্ল্যাকআউটের দিনগুলোতে অফারের টিকিট পাওয়া যাবে না। এছাড়া শিশু ও নবজাতকের ভাড়ার ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এশিয়ার স্পট মার্কেটে দাম বেড়েছে এলএনজির
চলতি সপ্তাহে এশিয়ার স্পট মার্কেটে দাম বেড়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি)। এশিয়ার বাজারে জ্বালানিটির দাম বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মূলত জ্বালানিটির বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শিল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জুনের সরবরাহের জন্য প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির গড় দাম চলতি সপ্তাহে ১০ ডলার ৫০ সেন্টে উঠেছে, এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১০ ডলার ৪০ সেন্ট।
বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেপলারের এলএনজি বাজারবিষয়ক বিশ্লেষক রিহানা রাশদি জানান, এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে এলএনজির দাম বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার জার্গন এলএনজি প্রকল্পে সংকট দেখা দেয়ায় মূলত জ্বালানিটির বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব পড়েছে। জার্গন প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি প্রকল্প। এমন একটি প্রকল্পে সংকট দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ সংকোচনের মুখে পড়ে।
তবে এ সংকট বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এ বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘ইউরোপ ও উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় শিগগিরই চাহিদা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এসব অঞ্চলে গ্যাস ও এলএনজির মজুদও পর্যাপ্ত।’
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জার্গন গ্যাস ফ্যাসিলিটির একটি উৎপাদন ট্রেইন (এলনজি খাতে গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধন ও তরলীকরণের সার্বিক কার্যক্রমকে ট্রেইন বলা হয় ) বন্ধ হয়ে পড়েছিল। বিশ্লেষকরা জানিয়েছিলেন, এটি অন্তত পাঁচ সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। তবে শেভরন অস্ট্রেলিয়া গত সপ্তাহে জানায়, সেখানে পুরোদমে ফের উৎপাদন শুরু করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কমোডিটি প্রাইসিং এজেন্সি আর্গাসের এলএনজি প্রাইসিং বিভাগের প্রধান স্যামুয়েল গুড বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ক্রেতারা দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার পরিমাণ সীমিত করেছে। বর্তমানে তারা বাড়তি চাহিদা মেটাতে টার্মিনালগুলোয় থাকা মজুদের ওপরই নির্ভর করছেন।
তিনি জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিপোর্ট এলএনজির রফতানি টার্মিনালে এলএনজি উৎপাদন বেড়েছে। তিন ট্রেইন ফ্যাসিলিটির দুটিতেই ফিডগ্যাসের সরবরাহ পূর্ণ সক্ষমতা কাছাকাছি পর্যায়ে অবস্থান করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের কারণে কাতার থেকেও এলএনজির সরবরাহ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। কাতার এলএনজি রফতানিতে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দেশ। সরবরাহ কমে যাওয়ার এ আশঙ্কাও মুল্যবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
এদিকে এলএনজির পরিবহন ব্যয়ও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। কারণ ইউরোপমুখী জাহাজগুলো লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে। ফলে বিকল্প পথে এলএনজির পরিবহনে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ। প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ১০ ডলারের ওপরে উঠে যাওয়ায় ভারত ও চীনসহ এশিয়ার ক্রেতা দেশগুলো ফের আমদানির পরিমাণ কমাতে শুরু করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফ্রান্সে অ্যামাজনের আরও ১৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
ফ্রান্সে চলমান বিনিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে আরও ১৩০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে অ্যামাজন। এর মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে তিন হাজারের বেশি স্থায়ী কর্মসংস্থান যোগ করবে বৈশ্বিক জায়ান্টটি। খবর রয়টার্স।
অ্যামাজন এক বিবৃতিতে নতুন বিনিয়োগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের (এডব্লিউএস) বিনিয়োগ ফ্রান্সের বিকাশমান জেনারেটিভ এআই পরিষেবাকে সমৃদ্ধ করবে। এর মাধ্যমে প্যারিস এলাকায় ক্লাউড অবকাঠামোর সক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়া সম্প্রসারণ হবে আলপস অঞ্চলের লজিস্টিক অবকাঠামো।
অ্যামাজন ২০১০ সাল থেকে ফরাসি কার্যক্রমে ২ হাজার কোটি ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করেছে। ক্লাউড ও অনলাইন খুচরা ব্যবসায় ২২ হাজারের বেশি স্থায়ী কর্মী নিয়োগও দিয়েছে।
এমআই