জাতীয়
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র খালেক ও লিটন
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রাপ্য হবেন।
তাদের সম্মানিভাতা ও অন্য সুবিধা স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তুত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নতুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন বাজেট অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে, গত ৭ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে আগামী অর্থবছরে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপির যে আকার নির্ধারণ করা হয়েছে, এটি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় দুই হাজার কোটি বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) তুলনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এডিপিতে সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তা মিলে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ধরলে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এডিপির ১৫টি খাতের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতের মধ্যে গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি তিন লাখ, স্বাস্থ্যে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ এবং কৃষি খাতে ১৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ছয় হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে চার হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদনে তিন হাজার ৪৯২ কোটি, সামাজিক সুরক্ষায় তিন হাজার ৩০৪ কোটি, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় তিন হাজার ৩০৮ কোটি এবং সাধারণ সরকারি সেবা খাতে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগকে। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩২ হাজার ৪২ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে ২৯ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ১৩ হাজার ৭২৫ কোটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ১২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আট হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প থাকছে এক হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প এক হাজার ১৪৯টি, কারিগরি সহায়তার ৮৬টি এবং সমীক্ষা প্রকল্প রয়েছে ২৩টি। মোট প্রকল্পের মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে স্থানান্তর হবে এক হাজার ২৭৭টি প্রকল্প। বাকিগুলোর মধ্যে নতুন অনুমোদিত প্রকল্প রয়েছে ৬০টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শূন্যপদে এতিম-প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদগুলোতে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা যথাযথভাবে পূরণের জন্য সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বুধবার (১৫ মে) কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক সভাপতি আ. ফ. ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. শামীম শাহনেওয়াজ, সাহাদারা মান্নান, এ, ডি, এম, শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক বাবুল, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ এবং শবনম জাহান অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য খাতে পরিচালিত সেবা কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য খাতের জন্য আরও কি কি পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হবে সেসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প তৈরির সুপারিশ করে।
বৈঠকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্যানসার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত অসহায় ও গরিব রোগীদের এককালীন যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় সেই সহযোগিতার কার্যক্রম আরও সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদগুলোতে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা যথাযথভাবে পূরণের জন্য সুপারিশ করে।
বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
তিন দিনের সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৪টায় তাকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ঢাকা সফরকালে ডোনাল্ড লু প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।
মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছে তিনি নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই ছিল নৈশভোজের আয়োজন।
বুধবার তিনি পররাষ্ট্র সচিব, পরিবেশমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তীব্র তাপদাহে চার জেলায় কৃষিখাতে ৩৬৩ কোটি টাকার ক্ষতি
তীব্র তাপদাহে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের ৪ জেলায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং জীবন জীবিকায় অন্তত ১৭৫৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু কৃষিখাতেই ক্ষতি হয়েছে ৩৬৩ কোটি টাকার। আর জীবন জীবিকার ওপর ক্ষতির পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকা মূল্যের। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
চুয়াডাঙ্গায় তাপদাহের প্রভাব নিয়ে চালানো এক সমীক্ষা প্রতিবেদন সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন।
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলায় কৃষি-মৎস্য-প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ ও জীবন-জীবিকার ওপর তীব্র তাপদাহের প্রভাব মূল্যায়ন বিষয়ক গবেষণা চালায় ওই সংস্থাটি। বুধবার (১৫ মে) সকালে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপনে উল্লেখ করা হয়, তাপদাহের প্রভাবে চলতি বছর চুয়াডাঙ্গা জেলা ও এর পাশের তিন জেলায় কৃষিখাতে ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৎস্য খাতে ৯৭ কোটি ৮৮ লাখ ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় জীবন ও জীবিকার ওপরেও বড় প্রভাব পড়েছে। তাপদাহের কারণে কর্মঘণ্টা হ্রাস পাওয়ায় প্রতিদিন ৬১ কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৫ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ২০ দিনে জীবন জীবিকায় ১২২৬ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৪ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দিনে ৯ ঘণ্টার পরিবর্তে তীব্র গরমে কর্মঘণ্টা নেমে আসে ৬ ঘণ্টায়। এতে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন ২৩৪ টাকা আয়ের ঘাটতি হয়।
সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়, এ চারটি জেলার মধ্যে ১০টি উপজেলায় গবেষণা চালায় বেসরকারি ওই সংস্থাটি। গবেষণায় ৫৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, অসংগঠিত দলের ২০ জন, দলীয় আলোচনায় ১০০ জন, ৫৪৫ জন দিনমজুর, রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, মৎস্যজীবী, ছোট ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী এবং ৬ জন সিভিল সোসাইটি ও এনজিও কর্মীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে সমীক্ষাপত্রে বেশ কিছু সুপারিশ ও করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
সমীক্ষার মুখ্য গবেষক ড. মোহা. হাসান আলী সংবাদ সম্মেলনে জানান, তীব্র তাপদাহের প্রভাবে আগামীতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। এ তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। ঢাকার বাতাসের মান আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৯টায় ১২৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
পাকিস্তানের লাহোর, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর কিনশাসা ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২৭২, ২০৫ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
কাফি