আবহাওয়া
বাংলাদেশে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ চলতি বছরেই!

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে পারেনি। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের মোট চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়েই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাংলাদেশে কোনও স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদগুলোতে নিদাঘের সূর্য তাতিয়ে উঠছে প্রতিদিন। বৈরি হয়ে উঠছে প্রকৃতি। হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণীকুল। দিবাভাগে অস্বস্তিকর প্রহর কাটাচ্ছে মানুষ। সর্বত্রই দিনের ব্যবধানে একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দু’টি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে। বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে বাতাসে এখন জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এতে করে মানুষের শরীরে অস্বস্তিবোধ বৃদ্ধি হতে পারে।
বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোর ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সাল ছিল উত্তপ্ত বছর। কিন্তু এগুলোর মাঝে ২০২৩ সালের কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সারা দেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। গতবার দেশে রেকর্ডধারী তাপমাত্রা ছিল। সেই তুলনায় এবার তো এখনও কম আছে। শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে না, সারা বিশ্বেই ২০২৩ সাল উষ্ণতম বছর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল।
ওই বছর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহকে আবহাওয়াবিদ মল্লিক সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে, ২০২৩ বছরের তাপপ্রবাহকে ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি’ তাপপ্রবাহ বলে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে একটানা ২০ থেকে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে, তা ৮ ও ৯ এপ্রিল নাগাদ কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এসময় তাপমাত্রা এমনিতেও বেশি থাকে। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া দরকার। যখন ঝড় হয়, তখন ভারি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আর বাড়ে না। কিন্তু আট-নয় তারিখের আগে ভারি বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেইযোগ করেন তিনি।
এদিকে তাপপ্রবাহ কতদিন থাকবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনও প্যাটার্ন নেই। তবে তীব্র তাপপ্রবাহ সাধারণত গড়ে তিন থেকে সাতদিন ধরে চলে। মৃদু তাপপ্রবাহের দৈর্ঘ্য আবার অনেক বেশি থাকে। বাংলাদেশে মৃদু তাপপ্রবাহ সর্বোচ্চ ২৩ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ারও রেকর্ড রয়েছে বলে জানান মল্লিক। তিনি মনে করেন, তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হলে তা নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য বজ্রবৃষ্টি দরকার।
আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, অনেকদিন ধরে তাপপ্রবাহ হলে কোনও কোনও এলাকার বায়ুরচাপ কমে যায়। বায়ুরচাপ কমলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বাতাসের কোথাও জড়ো হতে শুরু করে এবং তখন সেখানে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই মেঘ বৃষ্টিপাত ঘটায় বাংলাদেশ বা ভারতের বিহার, আসাম, উড়িষ্যা, মেঘালয়, ত্রিপুরা, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। তাই, তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো বজ্রবৃষ্টি।
এটা ঠিক যে বাংলাদেশে এপ্রিল মাস উষ্ণতম। কিন্তু প্রতি বছর এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ শুরু হয় না। কোনও কোনও বছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়। আবার কোনও কোনও বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর তাপপ্রবাহ শুরু হতে দেখা দেয়।
আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার কোনও পর্যায়ভিত্তিক আবর্তনরীতি নাই। এই মাসের এক তারিখ তাপপ্রবাহ হল, আগামী বছরও যে একই তারিখে হবে, বিষয়টা এমন না।”
২০১৪ সাল ছিল বাংলাদেশের উষ্ণতম বছরগুলোর মাঝে অন্যতম। সে বছর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ এপ্রিল, ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০১৬ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৪ এপ্রিলেই, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি।
২০১৯ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭ দশমিক এক ডিগ্রি। আবার, ২০২০ সালে আবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৭ এপ্রিল, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর পরের তিন বছরেও কখনও এপ্রিলের শেষে, কখনও বা মার্চের শেষে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।
আবহাওয়াবিদ ড. মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়। এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি। এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। বাংলাদেশের তাপমাত্রার উর্ধ্বগতিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ছোঁয়া লেগেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের হিসেব অনুযায়ী তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করে। কোনও স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।
এমআই

আবহাওয়া
ছয় অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

দেশের ছয়টি অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই সেসব এলাকার নদীবন্দরে তোলা হয়েছে সতর্ক সংকেত।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ ছয় বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সারাদেশেই বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম-এর দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত অন্ধ থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুদ্ধ থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
আবহাওয়া
ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস

রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে এবং হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য প্রকাশিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। বুধবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া
দেশের ২০ অঞ্চলের জন্য সতর্কবার্তা

রাতের মধ্যে দেশের ২০ অঞ্চলে ঝড়ের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই ২০ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রাত ১টার মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ/পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
দিক পরিবর্তন করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, সতর্কতা জারি

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও, বর্তমানে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছে। তবে এর প্রভাবে ভারত ও ওমান উপকূলে তীব্র জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই উভয় অঞ্চলেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ রোববার সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে পৌঁছে আবার পূর্ব দিকে বাঁক নিতে শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি রেকর্ড করা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, মুম্বাইসহ ভারতের মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। ‘শক্তি’ গতিপথ পরিবর্তন করায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি এলেও, কর্তৃপক্ষ সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
অন্যদিকে, ওমানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি তাদের আল-সারকিয়া উপকূলের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, তবে আজ রাত থেকেই এটি দুর্বল হতে শুরু করবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাতের শেষ ভাগ ও সোমবার সকালে ঝড়টি পূর্ব দিকে সরে গিয়ে আবার আরব সাগরের মাঝামাঝি অঞ্চলে ফিরে যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র ওমান উপকূল থেকে আনুমানিক ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। যদিও এটি স্থলভাগে বড় কোনো আঘাত হানবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবুও সামুদ্রিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা এবং স্থানীয়দের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘শক্তি’ এখন ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে, তবে এর অবশিষ্ট প্রভাব ভারি বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বাতাসের ঝাপটায় রূপ নিতে পারে। তাই ভারত ও ওমান—উভয় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।