ব্যাংক
ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ
আসন্ন ঈদে টানা ৬ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। এ সময়ে শাখা বন্ধ থাকলেও এটিএম বুথ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেলস (পস), কিউআর কোড ও অনলাইন ই–পেমেন্ট গেটওয়েতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়। কোনো ক্ষেত্রে কারিগরী ক্রুটি দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
ঈদের আগে ব্যাংকে নিয়মিত শেষ লেনদেন হবে আগামী মঙ্গলবার। এর আগে শুক্রবার থেকে আগামী রোববার টানা তিন দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর সোম ও মঙ্গলবার খোলা রেখে টানা ৬ দিন সরকারি ছুটি। সাধারণত ঈদের বন্ধে এটিএমসহ অনলাইনভিত্তিক লেনদেনে চাপ বাড়ে। এরকম সময়ে আবার টাকা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারিগরী ক্রুটির কারণে টাকা তুলতে না পারার খবর পাওয়া যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদের বন্ধে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময়ে যে কোনো ধরনের লেনদেনের এসএমএস অ্যালার্টের মাধ্যমে জানাতে হবে। গ্রাহক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কোনো অভিযোগ জানানোর জন্য সব সময় হেল্পলাইন চালু রাখতে হবে।
এটিএম বুথে পাহারাদারের সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যাংক কর্মকর্তা বুথ পরিদর্শন করতে হবে। পয়েন্ট অব সেলস এবং কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন সার্বক্ষণিক নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাল–জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে। এমএফএস সেবায় নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন ও এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত নগদ টাকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তফসিলি ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা আগামী বুধবার বন্ধ থাকবে। সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৬ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ৮ মে রংপুর বিভাগের ১৯টি, রাজশাহী বিভাগের ২৩টি, খুলনা বিভাগের ১৭টি, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ঢাকা বিভাগের ২৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৮টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, দেশের ১৪১টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, সবল হতে চায় নিজেরাই
মার্জার (একীভূত) থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছে পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ। কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হয়ে বরং নিজেরাই সবল হতে চায় বলে জানায় পর্ষদ।
সোমবার (৬ মে) ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আলহাজ খলিলর রহমান এ কথা বলেন। এসময় নতুন পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার (৫ মে) মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় আবারও বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির বিদ্যমান পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন পর্ষদ জানায়, নতুন পরচালনা পর্ষদ ন্যাশনাল ব্যাংকর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে নিয়ে ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও গ্রাহকের আস্থা অর্জনে নিরলস কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। এছাড়াও বিভিন্ন সূচকে উন্নয়ন নিশ্চিত করে ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনবে।
নতুন পরচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খলিলর রহমান বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন বুঝি। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ও তাদের পাশে থেকে ন্যাশনাল ব্যাংককে একটি ব্যবসায়ীবান্ধব ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বন্ধ পরিকর। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে ও তার হারানো এতিহ্য ফিরে পাবে বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি। ন্যাশনাল ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রায় আমরা সাংবাদিকদের পাশে চাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
তিন ইসলামী ব্যাংকের ‘ঋণ কেলেঙ্কারি’ তদন্তের নির্দেশ বাতিল
ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রয়োজন মনে করলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত জানান।
এর আগে বিদেশে এস আলম গ্রুপের সম্পদের অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত রুল চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্ট তিন ইসলামি ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। এস আলম গ্রুপ এই তিনটি ব্যাংকের প্রধান শেয়ার হোল্ডার।
এ বিষেয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ ও সিআইডি চাইলে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করতে পারে।
ওই তিন ইসলামি ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা উচিত হবে না এবং কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করেন।
অর্থ, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান এবং বিএফআইইউ এবং সিআইডির প্রধানদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত এ রুল জারি করেছিলেন আদালত।
২০২২ সালের নভেম্বরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক, বিবি, বিএফআইইউ ও সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্পদ কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি
এক মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল নিলামের মাধ্যমে ৩২টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ধার নেয়। তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ওই সময় জানা যায়, নিলামের মাধ্যমে ১৮টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই সাতদিন মেয়াদি রেপো সুবিধার মাধ্যমে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ধার নেয়। আর একদিনের তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছে ১৪টি ব্যাংক। সুদের হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ও ৮ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক
এসবের মধ্যেই এবার ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, একীভূতকরণ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে অর্থ তুলে নিচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে গত ১৫ই এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডেকে জানায় আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেয়া হবে না।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই করেছে। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে। যদিও এর আগে গভর্নর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ৮ থেকে ১০টি ব্যাংক একীভূত করা হবে।
আর্থিক খাতের দুরবস্থা কাটাতে কয়েক ব্যাংক বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের জন্য দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ঠা এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালা অনুসরণ না করে কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এভাবে চাপিয়ে দেয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে অস্বস্তি শুরু হয়।
কাফি