Connect with us

জাতীয়

দেশের ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা

Published

on

ডিএসই

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সিসার সংস্পর্শে আসার ফলে শিশুদের বুদ্ধিমত্তার অবনতি ঘটছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যার বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ মিলিয়ন আইকিউ পয়েন্ট।

বুধবার (৩ এপ্রিল) এসডো এবং ইউনিসেফ-বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকার শৈলপ্রপাত কনফারেন্স রুম, পর্যটন ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের সিসা বিষক্রিয়া মোকাবিলা শীর্ষক ইন্সেপশন ওয়ার্কশপে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে শিশু স্বাস্থ্যের ওপর সিসা বিষক্রিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব এবং সমস্যাটির সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য অনেক অঞ্চলের মতো বাংলাদেশেও শিশুরা সিসার সংস্পর্শে আসায় ক্ষতিকারক প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। সিসা বিষক্রিয়ার সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসকে রফিকুল ইসলাম, চিফ কন্ট্রোলার (অতিরিক্ত সচিব), অফিস অফ চিফ কন্ট্রোলার অফ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্টস। তিনি বলেন বর্জ্য অব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ই-ওয়েস্ট থেকে নির্গত সীসা শিশুদের স্বাস্থ্যেকে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে । এ সমস্যা মোকাবিলায় রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, যা কিছুই শিশু স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে তা থেকে তাদের নিরাপদ রাখায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সম্মানিত অতিথি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, শিশুদের সিসা বিষক্রিয়া নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সার্বিক সহযোগিতা করার আশা ব্যক্ত করেন।

আনজির লিটন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নিশ্চয়তায় সিসা দূষণ রোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সন্তান এবং জাতির স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য পরিবেশ রক্ষায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

সম্মানিত অতিথি এস এম ফেরদৌস আলম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বলেছেন যে, সীসা দূষণ একটি উদ্বেগজনক সমস্যা। আমরা এসডো এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের উদ্যোগকে সমর্থন করি এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চাই। এসডো দ্বারা পরিচালিত গবেষণার মাধ্যমে বিএসটিআই সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ মাত্রা নির্ধারণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্ট বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে সীসা বিষক্রিয়ার জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এসডোর সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শিশুদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের লক্ষ্যে নেওয়া এ সম্মিলিত উদ্যোগটি উল্লেখযোগ্য প্রদর্শন হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন।

এসডো’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, মানুষের সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রয়োজন। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

এসডো’র নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা উল্লেখ করেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা সিসার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে আমাদের শিশুদের নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। তাই প্রকল্পটি আমাদের দেশের শিশুদের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

সিসা দূষণ একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে শিশুরা এই সিসা বিষক্রিয়া দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এটি তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, শারীরিক বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ দূষণ মোকাবিলায় দেশে নানান প্রচেষ্টা চলমান থাকা সত্ত্বেও, শিল্প কারখানা থেকে নিঃসৃত দূষিত পানি এবং সীসাযুক্ত রং দ্বারা শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এর কারণে বাংলাদেশ আনুমানিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে যা কি না ২০১৯ সালের দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৩.৫% এর সমান। অতএব সীসা বিষক্রিয়া প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

থিমাটিক প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেছেন সাদমিন সাদাফ জাহান, রিসার্চ অ্যান্ড ক্যাম্পেইন এসোসিয়েট, এসডো।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ

Published

on

ডিএসই

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। এ তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। ঢাকার বাতাসের মান আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৯টায় ১২৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

পাকিস্তানের লাহোর, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর কিনশাসা ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২৭২, ২০৫ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

দেশে ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

Published

on

ডিএসই

সারাদেশে আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করলো আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার এই সতর্কতা জারি করা হয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত জারি করা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়– রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বলা হয়, এই পাঁচ বিভাগের ওপর দিয়ে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার অব্যাহত থাকবে হিটওয়েভ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এদিন সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ হজযাত্রী

Published

on

ডিএসই

হজের ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৫৩টি।

এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৯টি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৩৪১ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৪৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদন করার সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। সেই সময়ের মধ্যেও সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। পরে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এখনো ভিসা কার্যক্রম চলছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৮৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৪৭ জন হজ করতে যাবেন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ডিএসই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’

তিনি বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া এবং জাপান ও ইউএনএফপিএ’র সাথে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগগুলো খুঁজে বের করে আলোচনার বিশ্বের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। তিনি বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।

জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সকলের বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।’

এই সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই-বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা ‘আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’-এর ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২কে আরো হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২ কে হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হালনাগাদ নীতিমালার মাধ্যমে কর্মক্ষম জনগোষ্টিকে দক্ষতা উন্নয়ন, অগ্রগতি, এবং বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করা হবে। এই নীতিমালা ২০৪১ সাল থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ বছর ৩ মাসে পৌঁছেছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম।’

মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি।

স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তাঁর সরকারের চালু করা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০ প্রকারের প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে বিতরন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে ‘স্কিলড বার্থ এটেনডেন্স’ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।

এছাড়াও, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে, ২,২০০টি কেন্দ্র হতে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার মিডওয়াইফারি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন। যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।

বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।’

তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ১ হাজার ২৫৩টি ইউনিয়ন পর্যায়ের সেবা কেন্দ্রে কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কর্নার প্রতিষ্ঠা করেছি। পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশব্যাপী ‘স্কুল মিল’ চালু করা হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের বিশ্বের সর্ববৃহৎ কর্মসূচি চালুর অংশ হিসেবে ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৪৬৪ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান সরকার প্রধান। উপরন্তু নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তি ব্যবস্থা চালু এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতীয় বাজেটের মোট ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। বেইজিং ঘোষণা ও কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ও জাতীয় কর্মসূচি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শ্রম শক্তির ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ’ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২৩’ অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং এই অঞ্চলে প্রথম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারী প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আগের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি ছিল।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা

Published

on

ডিএসই

সিনিয়র স্কেলে (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদোন্নতি পেয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০১ কর্মকর্তা। এ পদোন্নতির ফলে তারা এখন জাতীয় বেতন গ্রেড-২০১৫ এর ষষ্ঠ গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। এ গ্রেডের মূল বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বাড়তে বাড়তে ৬৭ হাজার ১০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে।

বুধবার (১৫ মে) এ পদোন্নতির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীন সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সিনিয়র স্কেলে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি পাওয়া ২০১ জন সিনিয়র সহকারী সচিবের বিষয়ে বলা হয়েছে, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের বরাবর ই–মেইলে যোগদান করবেন।

একইসঙ্গে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা বর্তমান কর্মস্থলে কর্মরত থাকবেন।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ডিএসই
জাতীয়2 mins ago

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ

ডিএসই
জাতীয়18 mins ago

দেশে ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার24 mins ago

একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

ডিএসই
জাতীয়28 mins ago

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ হজযাত্রী

ডিএসই
বীমা39 mins ago

বিমা কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশ ব্যয় কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতায়

ডিএসই
রাজধানী41 mins ago

রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার

ডিএসই
জাতীয়57 mins ago

টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী

ডিএসই
জাতীয়10 hours ago

সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা

ডিএসই
জাতীয়10 hours ago

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে: ইসি হাবিব

পায়রা বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে ভিড়লো বিদেশি জাহাজ
জাতীয়10 hours ago

পায়রা বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে ভিড়লো বিদেশি জাহাজ

ডিএসই
জাতীয়11 hours ago

মাদকের নতুন ডিজি মোস্তাফিজুর রহমান

ডিএসই
আইন-আদালত11 hours ago

কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিকের জামিন

ডিএসই
খেলাধুলা11 hours ago

সাকিবের কাতারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা

ডিএসই
জাতীয়11 hours ago

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের ভাইস মিনিস্টারের বৈঠক

ডিএসই
অর্থনীতি11 hours ago

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য ৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার12 hours ago

একাদশে ভর্তি আবেদন শুরুর তারিখ ২৬ মে

ডিএসই
খেলাধুলা12 hours ago

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানালেন ডোনাল্ড লু

ডিএসই
আবহাওয়া12 hours ago

দুই দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

ডিএসই
অর্থনীতি12 hours ago

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার13 hours ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে সিঙ্গার

ডিএসই
রাজধানী13 hours ago

ডিএনসিসির খালে ময়লা ফেললেই শাস্তি: মেয়র

ডিএসই
পুঁজিবাজার13 hours ago

ডিএসইর বর্তমান পর্ষদ বাজারের উন্নয়নে কাজ করছে: হাসান বাবু

ডিএসই
স্বাস্থ্য13 hours ago

ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২১ জন

ডিএসই
আবহাওয়া13 hours ago

দাবদাহ নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার14 hours ago

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১