জাতীয়
নববর্ষ উদযাপনে ডিসিরা ৫০, ইউএনওরা পাচ্ছেন ৩০ হাজার টাকা
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপনের ব্যয় নির্বাহে ৬৪টি জেলার প্রতিটির জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ৪৩৪টি উপজেলার অনুকূলে ৩০ হাজার টাকা হারে সর্বমোট ১ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্ধারিত নিয়ম মেনে এ টাকা নেবেন।
সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাদ্দের চিঠিতে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘অনুষ্ঠান/উৎসবাদি’ খাতে বরাদ্দ করা অর্থ থেকে জেলা ও উপজেলাগুলোর অনুকূলে (জেলা সদর উপজেলা ব্যতীত) সর্বমোট এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দের শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে, অব্যয়িত অর্থ ৩০ জুনের মধ্যে ফেরত দিতে হবে এবং অনুষ্ঠান সম্পাদনের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার ৬৪টি জেলার প্রতিটির জন্য ৫০ হাজার টাকা হারে এবং ৪৩৪টি উপজেলার অনুকূলে ৩০ হাজার টাকা হারে সর্বমোট ১ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা জেলা ও উপজেলাগুলোর মধ্যে বরাদ্দের জন্য বিভাগীয় হিসেবে নিয়ন্ত্রক/জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়ার অথরিটি করবেন।
এতে আরও বলা হয়, সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর্থিক বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যয়ের বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরাসরি বিল দাখিল করে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক/জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উত্তোলন করবেন এবং বিল-ভাউচার পরবর্তী অডিটের জন্য তার কার্যালয়ে সংরক্ষণ করবেন।
উৎসব পরবর্তী দশ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে সচিত্র প্রতিবেদন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয় চিঠিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাত পোহালেই ১৫৬ উপজেলায় ভোট
রাত পোহালেই সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হবে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নিতে ১৫৬ উপজেলার ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন কারণে ৫টি উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়।
সোমবার (২০ মে) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক (বৈধ এবং সঠিকতা যাচাইকরণ) মুহা. সরওয়ার হোসেনের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২৪টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে হবে। ২৪টি উপজেলার ইভিএম মেশিনের কার্যক্রম নির্বাচন ভবনের ‘ইভিএম কন্ট্রোল রুম’ থেকে পরিচালনা করা হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ইভিএমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, মোবাইল কারিগরি টিম এবং ভোটগ্রহণকারী কারিগরি টিমের সঙ্গে ‘ইভিএম কন্ট্রোল রুম’ থেকে সার্বক্ষণিক সমন্বয় করা হবে। সেজন্য আইডিইএ প্রকল্প (পর্যায়-২), নিকস থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রচার শেষ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। একই সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। সেই অনুযায়ী, রোববার (১৯ মে) উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। কিছু কেন্দ্রে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পাঠানো হচ্ছে। ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, তারা কেন্দ্রীয়ভাবে এ ভোট মনিটর করবে। কোনও ধরনের অনিয়ম হলেই তাৎক্ষণিকভাবে তারা ব্যবস্থা নেবে।
ইসি গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫২৮ জন। গত ১ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটের মাঠের নিরাপত্তায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৭ সদস্যকে মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। ১৩ হাজার ১৬টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য রোববার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার ও দুজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডারের নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ এবং চারজন নারী আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন।
যেসব কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ছয়টির বেশি সেসব বুথের প্রতিটিতে অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনজন অস্ত্রসহ এবং বাকিরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৯ প্লাটুন (২৩৭০ জন) আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং/স্ট্যাটিক ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল টিমে/স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্বপালন করবেন।
এ ছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম বা স্ট্রাইকিং টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন প্রায় ১০৫ প্লাটুন (৩২৪০ জন) সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য। মোতায়েন করা সদস্যদের দায়িত্বপালন তদারকির জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও ২২৯০ জন সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। সবাই ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮২ শতাংশ: বিবিএস
চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর অল্প কিছুদিন বাকি আছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে দাঁড়াবে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সোমবার (২০ মে) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস বলছে, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৪৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
সাময়িক হিসাবে বলা হচ্ছে, এ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসছে শিল্পখাতে। শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধির হিসাবে সবচেয়ে খারাপ কৃষি খাতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের অর্থবছরে তা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে শিল্প ও কৃষিতে কমলেও আগের বছরের তুলনায় এবার সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে সরকারি এ সংস্থা। তারা বলছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে, আগের অর্থবছরে তা ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
যদিও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বলছে, প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবে। রপ্তানির ওপর নির্ভর করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিন হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ
৩০ দশমিক ৫ কোটি ইউরো বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা তিন হাজার ৮৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ফরাসি সরকারের অর্থায়নকারী এজেন্স ফ্রান্স ডি ডেভেলপমেন্টের (এএফডি) সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এএফডি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কর্টেজ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মোট ৩০ দশমিক ৫ কোটি ইউরো চুক্তি সই হয়। এর মধ্যে পাঁচ মিলিয়ন ইউরো অনুদান সহায়তা।
ইআরডি জানায়, পলিসি লোন ইন সাপোর্ট অব জিওবি ক্লাইমেট চেঞ্জ এজেন্ডা’ প্রকল্পের আওতায় এই চুক্তি সই হয়েছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য, ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান, দ্য মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপাইরিটি এবং ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্টিবিউশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা। জলবায়ুর নেতিবাচক অভিঘাতের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিষ্ণু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণভিত্তিক অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করা।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে এএফডি কার্যক্রম শুরু করে। এএফডি হলো একটি দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা, যা ফরাসি সরকারের পক্ষে উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। এফডি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহায়তা দেয়।
বর্তমানে এএফডি ১১টি চলমান প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। ১১টি প্রকল্পে অর্থায়নের পরিমাণ এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন ইউরো। এ পর্যন্ত এএফডি বাংলাদেশে দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ইউরো ঋণ ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিদেশে অর্থপাচার রোধে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: সিআইডি প্রধান
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিট কয়েনসহ অন্যান্য ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার রোধে উচ্চতর প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার ঠেকাতে দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল অ্যাসেটস সংক্রান্ত মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলা হবে।
সোমবার (২০ মে) সিআইডি সদর দপ্তরে ডিজিটাল সম্পদ সুরক্ষা: ম্যালওয়্যার বিশ্লেষণ, হ্যাকিং কৌশল এবং ক্রিপ্টো প্রতিরোধ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানুষ প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আমাদের দৈনন্দিন সব কাজই কোনো না কোনোভাবে তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। এখন মানুষ খুব সহজে সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারছে। মুহূর্তের মধ্যে তার ডিজিটাল ডিভাইসে রাখা ব্যক্তিগত তথ্য, ফাইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য ব্যবহার করতে পারছে। এতে করে মানুষ যেমন সুবিধা ভোগ করছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাইবার হ্যাকার ও অপরাধীরা ঝুঁকিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন-সাইবার প্রতারণা, অর্থ লোপাট, সাইবার অ্যাটাক, পর্নোগ্রাফি, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ডেটা ব্রিচ, সাইবার বুলিংসহ নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে।
এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনাসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ডিজিটাল মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার রোধে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই
কর্মশালায় মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন,শুধু নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে আবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এসএমই মেলা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বিকাশে সহায়তা করছে। নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
সোমবার (২০ মে) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট অর্থায়ন: প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের মূলধারার জন্য সম্ভাব্য সমাধান’ জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ দেবে, তাকে তো কিছুর ওপর ঋণ দিতে হবে। সেটা যে অংকের ঋণই হোক। ২০২৪ এসে শুনতে হয় আমি ব্যবসার হিসাব রাখতে পারছি না। কত টাকা বিক্রি করছি, কত টাকার কিনছি তার হিসাব রাখতে পারছি না। যে জন্য ব্যাংকে যেতে পারছি না। কাচা খাতা বা এখন মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে হিসাব রাখা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে উদ্যোক্তারা অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর বাজেটে একশ কোটি টাকা রাখা হয় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য। সেটা ব্যবহার হয় না। কারণ নানা ধরনের শর্তের জন্য। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বারংবার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা যদি আরেকটু তৎপর হন তাহলে তাদের ব্যবসার অর্থায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা স্মার্ট ফাইন্যান্সিং করছি। এজন্য উদ্যোক্তাদের মাথায় রাখতে হবে। পাঁচ বছর পর ব্যবসা কোথায় নেবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্রশিল্প করপোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন। যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। জাতির পিতার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কাফি