টেলিকম ও প্রযুক্তি
মানুষের কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করার প্রযুক্তি আনলো ওপেনএআই
নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই আসছে। তবে কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দাপট দেখাচ্ছে। বর্তমানে ওপেনএআই এর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
এবার ওপেনএআই আনছে নতুন আরেক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করা যাবে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এর প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেনে উল্লেখ করা হয়, চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই ‘ভয়েস ইঞ্জিন’ নামে একটি প্রযুক্তি আনছে। যার মাধ্যমে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের একটি অডিও স্যাম্পল শোনালেই তা ওই কণ্ঠস্বর হুবহু ক্লোন করতে পারবে। শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে ওপেনএআই।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সংস্থাটি জানায়, এই প্রযুক্তিটি ঝুঁকি রয়েছে। প্রযুক্তিটি নিরাপদে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করবে তারা। এআই ব্যবহার করে তৈরি করা অডিও ক্লিপ সহজে শনাক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া এই প্রযুক্তিটি কীভাবে ব্যবহার করা হবে সেটা নিয়েও শক্ত নিয়মনীতি থাকবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
থ্রিজি সেবা বন্ধ করলো বাংলালিংক
দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে তৃতীয় জেনারেশনের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি থ্রিজি সেবা বন্ধ করেছে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন। গত ৫ মে থেকে থ্রিজি সেবা বন্ধ করে দেয় অপারেটরটি।
বাংলালিংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশজুড়ে দ্রুতগতির ফোরজি নেটওয়ার্কের গুণগত মান ও গতি বাড়াতে থ্রিজি সেবা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে ফোরজি নেটওয়ার্কে আরো বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করা সম্ভব হবে।
অপারেটরটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ কৌশলগত পদক্ষেপ সবার জন্য সেরা ফোরজি নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার প্রতিফলন। একই সঙ্গে এটি সারা দেশে চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অপারেটরটির অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করবে।
গ্রাহককেন্দ্রিক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ফোরজি সেবা গ্রহণ ও ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে থ্রিজি সেবা বন্ধ করার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এ কৌশলগত সিদ্ধান্ত বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওন সমর্থিত। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভিওন পরিচালিত মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানির সঙ্গেও এটি সংগতিপূর্ণ।
এছাড়া চলমান নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলালিংক সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি নতুন চুক্তি সম্পাদন করেছে। এসব চুক্তির কারণে টানা চার বছর ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলালিংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশে সরকারের আইন প্রণেতাগণ, অর্থনিতীবিদ, শিক্ষাবিদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের নেতৃবৃন্দসহ সকলেই তিন বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, এই কর অব্যাহতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বন্ধ হয়ে গেলে এই খাতে লভ্যাংশের হার আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পাবে এবং আইটি/আইটিইএস কোম্পানিসমূহের পুনঃবিনিয়োগ ক্ষমতাও কমে যাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নতির গতি মন্থর হয়ে যাবে এবং রপ্তানিও হ্রাস পাবে।
রবিবার (৫ মে) হোটেল শেরাটন, ঢাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভিসিপিয়াবের প্রেসিডেন্ট এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি শামীম আহসান তার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, আমাদের দাবিকৃত তিন বছরের কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষে, ১ শতাংশ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে একটি বার্ষিক কর হার প্রবর্তন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদান ১.০৯ শতাংশ। বিপরীতে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান ৭.৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৩.৪০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৪.২৩ শতাংশ, এস্টোনিয়ার ৭.০০ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এর ক্রমবিকাশ প্রাত্যহিক জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তি আরও বেশি করে যুক্ত হওয়ার প্রতিফলন স্বরূপ, যা সরকার এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। ডিজিটাল পাবলিক ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত শক্তিশালী ‘ডাটা ও ডিজিটাল ক্যাপিটাল’ গড়ে তুলে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের ‘এআই ইউজ কেস’ রাজধানীতে রূপান্তরের লক্ষ্য স্থির করতে পারি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির বিষয় তুলে ধরবো। আমাদের আইটি/আইটিইএস খাতে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার না করে বরং অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
বিশেষ অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আমি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতির যুক্তিসংগত দাবিকে সমর্থন করি। তাই, আগামী কয়েক বছরের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমান কর অব্যাহতি বজায় রাখার বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করার জন্য আমি বিনীতভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমানকে অনুরোধ করছি ।
বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মতো ক্রমবর্ধমান শিল্পের জন্য কর সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে, আমাদের অবশ্যই জ্ঞান-ভিত্তিক ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যান্য দেশের সাথে ব্যবধান কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু পর্যায়ে দ্রুত গতিতে নিজেদের এগিয়ে নেয়া অপরিহার্য; অন্যথায়, আমাদের ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকতে হবে।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য ও ভিসিপিয়াব উপদেষ্টা জারা জাবীন মাহবুব বলেন, সত্যিকার একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অগ্রণী ভূমিকাকে উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। তাদের অন্তর্ভুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নারীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটাইজেশন উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা শুধু নারীর স্বাস্থ্যের উন্নতিই না, বরং কার্যকরভাবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি।
জাতীয় সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, দেশে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের মিডিয়া, বিনোদন ও প্রযুক্তি শিল্প রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমাদের এই শিল্পকে ডিজিটালাইজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানটির পার্টনার হিসেবে ছিল এডিএন টেলিকম লিমিটেডের স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম (প্রা.) লিমিটেড, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) প্রা. লিমিটেডে, ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি, আইটি কনসালট্যান্টস পিএলসি, বিডিজবস লিমিটেড এবং ইজেনারেশন পিএলসি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, সিসিসিআই সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বিডিজবস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন; পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ; ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এম. রোকনুজ্জামান; এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ; স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফোরকান বিন কাসেম; কনস্টেলেশন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এর প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা তানভীর আলী; স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ব্রেন স্টেশন ২৩-এর সিইও রাইসুল কবির এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পলিসি অ্যাডভাইজার ইমরান আহমেদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন পলিসি
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মটিতে আসছে নতুন পলিসি। এই পলিসিতে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার ওপর জোর দেয়া হবে। নিয়ম ভাঙলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। ব্যবহার করা যাবে না হোয়াটসঅ্যাপ।
নতুন পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেছে কোম্পানি। শিগগিরই আসতে চলেছে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন ফিচার। অর্থাৎ বেশ কিছু নিয়ম চালু করা হবে। যা না মানলে চ্যাট করা বন্ধ হয়ে যাবে। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করবে মেটা। এই ফিচার খুব তাড়াতাড়ি রোল আউট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগে নতুন ফিচারটি সম্পর্কে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ বেটা ইনফো। যার অর্থ হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি লঙ্ঘন করলে কিছু সময়ের জন্য চ্যাটিং করতে পারবেন না। অ্যাপ খুলবে কিন্তু কাজ করবে না। সব ফিচার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তবে একটি সুবিধা থাকবে।
ইতিমধ্যে প্ল্যাটফর্মে একাধিক অটোমেটেড টুল বসিয়ে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যাদের কাজ হল অ্যাপে কোনও স্প্যাম, বাল্ক মেসেজ এবং অন্যান্য অপব্যাবহার হচ্ছে কি না দেখা। হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন থাকায় স্বাধীন ভাবে কাজ করে এই অটোমেটিক টুলগুলো। যদি কোনও অপব্যাবহার বা স্প্যামিং ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৩ বছরের কম বয়সি শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয়
১৩ বছরের কম বয়সি শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া উচিত নয়। এছাড়া ১৮ বছর বয়সের আগে শিশুদের টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নির্দেশে দেশটিতে এমন এক নীতিমালা তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতেই ম্যাঁক্রো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফ্রান্সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধে যে নজিরহীন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে।
গত জানুয়ারিতেই ফ্রান্সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন ম্যাক্রো। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে।
গবেষকরা বলেছেন, মুনাফালোভী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করার কৌশল থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। কোম্পানিগুলো শিশুদের পছন্দের বিষয়গুলো দেখিয়ে তাদের মনোযোগ স্মার্টফোনে আটকে রাখে। প্রযুক্তি বাজারে শিশুদের ‘পণ্য’ হিসেবে দেখা হয়।
প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেন, আমরা প্রযুক্তি শিল্পকে জানাতে চাচ্ছি, শিশুদের সঙ্গে তারা যা করছে, তা আমরা জানি এবং এসব করে তারা পার পাবেন না। মূলত পল-ব্রাউস হাসপাতালের মনোরোগ ও আসক্তি বিভাগের প্রধান অ্যামাইন বেনিয়ামিনার এবং স্নায়ু বিশেষজ্ঞ সার্ভেন মাউটনের নেতৃত্বে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে তিন মাস ধরে একটি গবেষণা করেন।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের স্মার্টফোনে কোনো কিছু দেখানো উচিত নয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। আর ১১ বছরের আগে কোনো শিশুরই নিজস্ব স্মার্টফোন থাকা উচিত নয়। যদি ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিতেই হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে সে ফোনে যেন ইন্টারনেট ব্যবহার করা না যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৫ বছরের শিশুরা মাস্টডোনের মতো শুধু নৈতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা যেন টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইউটিউব না ফেসবুকে বেশি টাকা আয়?
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।
মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভ্লগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন?
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে। ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি।
অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।
এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।