খেলাধুলা
সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে সকালে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও চিত্রটা ছিল এমনই। দুই ম্যাচ শেষে ছিল সমতা। সেখান থেকেই শেষ ম্যাচে গিয়ে খেই হারায় বাংলাদেশ। এক নুয়ান থুসারার কাছেই হাতছাড়া হয় টাইগারদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। এবার নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও একই পরিস্থিতির সামনে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল সোমবার সকালে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তরা।
সিরিজ নির্ধারিত এই ম্যাচে যারাই জয় পাবে তারাই জিতবে ট্রফি। টাইগাঁর ক্রিকেটের লাকি ভেন্যু হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল দশটায়। সিরিজের এই ম্যাচে বাংলাদেশ দল থেকে এরইমাঝে দুজন ছিটকে গিয়েছেন। দল থেকে ফর্মহীনতায় বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ লিটন দাস। আর ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
ম্যাচের জয়ের আগে টাইগার অলারাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ম্যাচের আগের দিন আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ বলেন, আমরা তো অবশ্যই ১০০% আশাবাদী। ইনশাল্লাহ আমরা ম্যাচটা জিতব এবং আমরা সিরিজটা জিতব।
শেষ ওয়ানডে অবশ্য রাতে না থাকায় শিশিরের ঝামেলা থাকছে না। মিরাজ অবশ্য খুশি এই নিয়ে, না আলহামদুলিল্লাহ। একটা জিনিস দেখেন যে শেষ ম্যাচটা আমরা হেরেছি। যে জিনিসটা বললেন কন্ডিশন, আমরা তো জানি আমাদের কন্ডিশন সম্পর্কে যেহেতু ডে ম্যাচ এটা অবশ্যই আমাদের সুবিধা থাকবে। কারণ রাতের খেলা নির্ভর করে অনেকটা টসের উপরে। টস যারা জিতে তাদের সুবিধা বেশি থাকবে। অবশ্যই কালকের ম্যাচটা আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।
শেষ দুই ওয়ানডে খেলা হয়েছে স্পোর্টিং উইকেটে। বাংলাদেশ প্রায়ই ঘরের মাঠে স্পিনিং উইকেটের ওপর নির্ভর করে। তবে এবার স্পোর্টিং উইকেটে খেলে তৃপ্ত মিরাজ, আমার কাছে মনে হয় এটাই আদর্শ উইকেট। এরকম উইকেটে আমাদের ম্যাচ খেলাটা, যদি এখন থেকে অভ্যাস করতে পারি। ব্যাটাররা বড় রান করতে পারি বোলাররা কীভাবে ডিফেন্ড করতে পারি (তা শিখতে পারি)। এটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমাদের বড় টুর্নামেন্টে আমাদের সাফল্য আসবে।
লঙ্কান দলেও এই ম্যাচে পরিবর্তন দেখা যাবে। ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। গত ম্যাচে লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়েছেন তিনিই। এই ম্যাচে তার অনুপস্থিতিতে দেখা যাবে নতুন কাউকে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার আগের ৯টি সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ সিরিজেই এসেছিল সেই সাফল্য। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসের পারদ আজ উঁচু থাকবে বাংলাদেশের জন্য। দুই দলের মধ্যেকার ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র। বাকি ৬ সিরিজের ট্রফি গিয়েছে লঙ্কানদের শো-কেসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জিতলেই কোটি টাকা পাবেন বাবর-রিজওয়ানরা
বাজছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা। আসরটি মাঠে গড়াতে বাকি আর সপ্তাহ তিনেক। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের গোছাতে ব্যস্ত। সবার লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। আর এবার এই মিশন আরো চাঙা করতে লোভনীয় পুরস্কারের ঘোষণা দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেই খেলোয়াড়েরা পাবেন পিসিবির পক্ষ থেকে কোটি টাকা।
গতকাল রোববার পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। মূলত তিনি সেখানে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহর ভিন্ন দুটি মাইলফলক ছোঁয়ার অভিনন্দন জানাতে। পরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন পিসিবির প্রধান।
সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেছিলেন নাকভি, আর সেখানেই প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উদ্দেশে দেন কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা। এর আগে বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়ে পিসিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারো পরোয়া কোরো না। শুধু পাকিস্তানের হয়ে খেলো। সবাই দল হিসেবে থাকো, একসঙ্গে পারফর্ম করো। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের সঙ্গী হবে। তোমাদের কাছে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আশা করছি, তোমরা পাকিস্তানের পতাকা উঁচিয়ে ধরবে।’
এ সময় খেলোয়াড়দের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানেরও আশ্বাস দেন পিসিবির প্রধান। পরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথাক্রমে ৩ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়ার জন্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দেন চেয়ারম্যান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টাইগার পেসারদের বন্দনায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার
গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক ঘটেছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। নিজের প্রথম ম্যাচেই প্রতিভার কথা ব্যাট হাতে জানান দিয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পবেল প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টাইগারদের পেসারদের।
ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আসলে দুই দলের পেসাররাই দারুণ। শরিফুল দারুণ বোলিং করেছে শুরুতে। বল সুইং করিয়েছে। একই কাজ তাসকিনও করেছে। ভালো গতিতে বল করেছে সে। আমাদের দুই পেসারও পাওয়ারপ্লেতে ভালো করেছে। নতুন বল এখানে একটু বেশি সুইং করে যে কারণে পাওয়ারপ্লেতে ভালো করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই জায়গাটির উপর নির্ভর করে দল ভালো রান পাবে নাকি পাবে না। খুব কঠিন হয়ে যেতে পারে এখানে বড় রান তাড়া করাটা।’
মাঝের সময়ে জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে ক্যাম্পবেল জানান, ‘আসলে আমরা নিজেদের ম্যাচে রাখতে চেয়েছিলাম। এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, এখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে (হাসি)। শুধু নিজেদের খেলার মাঝে ধরে রাখো, রান রেটটাকে যত বেশি বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করো যেন তারা ভুল করে বসে।’
নিজেদের শুরুর ব্যাটিং নিয়ে হতাশ ক্যাম্পবেল , ‘আসলে আমরা আরও একবার ভালো শুরু পাইনি। যা নিয়ে আমাদের পরের কিছু ম্যাচে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি আমি এবং ব্রায়ান বেনেট যেভাবে মাঝের ওভারে খেলেছি তা দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ক। ৯-১০ রানের ওভার এসেছে। এটা ভালো ব্যাপার। শুরুটা ভালো হলে হয়ত আরও ভালো কিছু হত।’
সামনে আরও রানের আশা ক্যাম্পবেলের, ‘(উইকেট) ভালো। ভালো উইকেট। উইকেট নিয়ে খুশি। সিরিজ আগালে হয়ত বড় রান হবে। সবাই কন্ডিশন বুঝতে পারবে আরও ভালোভাবে তখন আরও রান হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ
আরও একটি সহজ জয় বাংলাদেশের। প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয়টিতেও পাত্তা পেলো না জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামে আজ (রোববার) ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টাইগাররা জিতেছে ৬ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রান তাড়ায় শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে ৩৫ বলে ৪১ রান তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাস। আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান তামিম অবশ্য ভালো করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৮ রানেই থামে তার ইনিংস। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে।
নাজমুল হোসেন শান্তও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। ১৫ বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ১৬। লিটন দাস শুরুটা ভালো করলেও এরপর ফর্মে ফেরার চেষ্টায় বল নষ্ট করেন। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ২৩ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই রান আসে ১০ ওভারে।
এর মধ্যে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন টাইগার সমর্থকরা। বাংলাদেশ যে তখন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানে পিছিয়ে ছিল।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলি অনিক। তবে তাদের জুটিটি টেকেনি ২৩ বলে ৩১ রানের বেশি। জাকের আলি বোল্ড হন ১২ বলে ১৩ করে।
তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। ১৬ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২৬ রানে মাহমুদউল্লাহ আর ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে আর ২ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।
এর আগে জিম্বাবুয়ে ইনিংসে অনেকটাই যেন প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি। শুরুতে টাইগার বোলারদের তোপে কোণঠাসা সফরকারীরা, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে মান বাঁচানো পুঁজি।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ১২৪। এবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত দাঁড় করায় ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের সংগ্রহ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল জিম্বাবুয়ে। ধীরগতিতে শুরু করে তারা। কিন্তু লাভ হয়নি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তাদিওয়ানাশে মারুমানি ২ করে হন তাসকিনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার।
উইকেট বাঁচানোর চেষ্টায় অনেক বল খেলে ফেলেন আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। ৩০ বলে ১৭ করে তিনি অবশেষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দশম ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৩) আর ক্লাইভ মাদান্দে (০) ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ১৬ বলে ১৩ করে শেখ মেহেদীকে উইকেট দেন ক্রেইগ আরভিন। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে আজই অভিষেক হওয়া জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তি অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান ক্যাম্পবেল দলের হাল ধরেন। ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করে দিয়ে যান তিনি।
অবশেষে এই জুটিটা ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। মিডউইকেট বাউন্ডারিতে সাইফউদ্দিনের ক্যাচ হয়ে ফেরেন এই অভিষিক্ত। ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান ক্যাম্পবেল।
শেষদিকে ঝড় তুলেছেন বেনেট। ২৯ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার।
তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ১৮ আর রিশাদ হোসেন ৩৩ রানে শিকার করেন দুটি করে উইকেট। শরিফুল ৪ ওভারে দেন ২৬, শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ১৮ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের টার্গেট দিলো জিম্বাবুয়ে
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে বোলিং বেছে নেয়া বাংলাদেশ ৪২ রানের মধ্যে অতিথি দলের ৫ উইকেট তুলে নিলেও শেষ পর্যন্ত দলটি ১৩৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায়।
তাসকিন আহমেদ ও সাইফউদ্দিনের তোপের মুখে দলীয় ৩০ রানে তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও জয়লর্ড গাম্বিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর স্পিনার রিশাদ হোসেনের জোড়া আঘাতে অতিথি দলের স্কোরটা হয়ে যায় ৩৬/৪। তিনি সিকান্দার রাজা ও ক্লাইভ মাদান্দের উইকেট নেন। একাদশতম ওভারে ক্রেগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার মেহেদী হাসান।
এরপর সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের পুত্র জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের স্কোর একশ ছাড়ায়। ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে তিনি ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করেন। ১৮তম ওভারে শরিফুলের শিকার হন জোনাথন। ২৪ বলে ৪টি বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। বেনেট ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে দলের সংগ্রহটা ভদ্রস্থ করেন।
তাসকিন আহমেদ ১৮ রানে দুটি, রিশাদ হোসেন ৩৩ রানে দুটি এবং শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ একাদশে আজ পরিবর্তন নেই। জিম্বাবুয়ে একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। অভিষেক ঘটেছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। আর দলে এসেছেন আইনস্লে এনদোলভু। বাদ পড়েছেন শন উইলিয়ামস ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ পায় দাপুটে জয়। জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দেয় টাইগাররা।
সেই ধারা বজায় রাখতে আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। একাদশে বাংলাদেশ কোনো পরিবর্তন আনেনি আজ। প্রথম ম্যাচে খেলা সেই একাদশ নিয়েই নেমেছে মাঠে। তবে তিন পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদী, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, সিকান্দার রাজা, ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গুয়ে, জনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, আইনস্লে এনডলোভু।